উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
প্রসঙ্গত, গৌরাঙ্গ মণ্ডলের বাড়ি মাজিদা পঞ্চায়েতের সাজিয়ারা গ্রামে। গত ৯ জানুয়ারি সকালে সাজিয়ারার একটি জমি থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। জেলার অতিরিক্ত পুলিস সুপার (গ্রামীণ) সৈকত ঘোষ বলেন, মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে পূর্বস্থলীর গৌরাঙ্গ মণ্ডল খুনের কিনারা হয়েছে। দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গৌরাঙ্গবাবুর গ্রামেই ওই দু’জনের বাড়ি। জেরায় ধৃতরা খুনের কথা স্বীকার করেছে। ত্রিকোণ প্রেমের জেরেই এই খুন বলে আমাদের অনুমান। পুলিস হেফাজতে নিয়ে ওই দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
পেশায় চাষি গৌরাঙ্গবাবুর ফলেয়া রেল বাজারে সব্জির দোকান ছিল। পুলিস ও স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে, গৌরাঙ্গবাবু স্ত্রী কয়েক বছর ধরেই অসুস্থ। সীমার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন গৌরাঙ্গবাবু। কিন্তু সীমার সঙ্গে নুর ইসলামের সম্পর্ক ছিল। গৌরাঙ্গবাবুর সঙ্গে সীমার মেলামেশা করা তার পছন্দ হয়নি। এরপরই গৌরাঙ্গকে খুনের জন্য সীমাকে নিয়ে জাল বুনতে শুরু করে। গত ৮ জানুয়ারি বিকেলে ফলেয়া রেল বাজারে এসেছিলেন গৌরাঙ্গবাবু। রাতে তিনি আর বাড়িতে ফিরে যাননি। সকালে জমি থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। তাঁর মাথায় আঘাতের চিহ্ন ছিল। মৃতের স্ত্রী যশোদা মণ্ডল পুলিসের কাছে দাবি করেন, তাঁর স্বামীকে পরিকল্পনা করে খুন করা হয়েছে।
তদন্তে নেমে পুলিস গৌরাঙ্গবাবুর মোবাইল ফোনের খোঁজ শুরু করে। খুনের পর ওই মোবাইলটির খোঁজ ছিল না। খুনিরা সম্ভবত ওই মোবাইলটি তার কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়েছিল বলে পুলিস জানতে পারে। ফোনের সূত্র ধরেই সীমাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই নুর ইসলামের নাম বলে সে। সোমবার রাতে লক্ষ্মীপুর রেল বাজার থেকে নুর ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়।