ব্যবসাসূত্রে উপার্জন বৃদ্ধি। বিদ্যায় মানসিক চঞ্চলতা বাধার কারণ হতে পারে। গুরুজনদের শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন থাকা ... বিশদ
এদিকে ওই যুবক খুনের ঘটনা নিয়ে বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে। তৃণমূলের দাবি, খুন হওয়া যুবক তাদের দলের যুবকর্মী ছিলেন। অন্যদিকে অভিযুক্ত বিজেপি কর্মী। পার্টি অফিসে নিয়মিত যাতায়াত ছিল। বিজেপি নেতাদের সঙ্গেও তাকে দলের কাজে দেখা যেত। স্বয়ং জেলার পুলিস সুপার জানিয়েছেন, অভিযুক্ত যুবক বিজেপি নেতা। ফলে পুর ভোটের মুখে এই খুনের ঘটনায় গেরুয়া শিবির চরম অস্বস্তিতে পড়েছে। বিজেপি অবশ্য জানিয়েছে, অভিযুক্তের সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই।
পুলিস সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠি বলেন, পারিবারিক জমি বিবাদকে কেন্দ্র করে খুনের ঘটনা ঘটেছে। অভিযুক্ত যুবক বিজেপি দলের নেতা। অভিযুক্তকে ধরতে তল্লাশি চলছে। তবে খুনের ঘটনায় অভিযুক্তের বোন জামাইকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মৃতের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।
গত বছরের নভেম্বর মাসে আলিপুরদুয়ার-১ ব্লকের উত্তর পাটকাপাড়ায় খুন হন যুব তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী রঙ্গলাল চৌধুরী। ওই খুনের ঘটনাতেও অভিযুক্ত হিসেবে বিজেপি কর্মীদের নাম জড়িয়েছিল। তারপর বৃহস্পতিবার রাতে শহরের বুকে ফের আরও এক তৃণমূল যুব কর্মীর খুনের ঘটনায় ক্ষুব্ধ শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস।
আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, অভিযুক্ত বিজেপি নেতা বিপ্লব আরএসএসের সক্রিয় কর্মী। পুলিসি নিষ্ক্রিয়তার জন্য পরপর আমাদের দলের কর্মীরা খুন হচ্ছে। শহরের বুকে এই খুন মানা যায় না। পুলিসকে বলেছি দ্রুত ওই বিজেপি নেতাকে গ্রেপ্তার করতে হবে।
তৃণমূল যুব কংগ্রেস শুক্রবার আলিপুরদুয়ার থানায় পুলিসের কাছে অভিযুক্তকে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানায়। যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি বাবলু কর বলেন, খুন হওয়া যুবক আমাদের সংগঠনের কর্মী ছিলেন। পুলিসের কাছে আমাদের দাবি, অভিযুক্ত বিজেপি নেতাকে দ্রুত গ্রেপ্তার করতে হবে। তা না হলে আন্দোলন হবে।
বিজেপির জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা বলেন, মিটিং মিছিলে নেতাদের সঙ্গে কেউ থাকলেই সেই লোক দলের কোনও কর্মী হতে পারে না। তাই অভিযুক্তের সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই। আমরাও এই খুনের ঘটনার নিন্দা করছি। পুলিস সুপার অভিযুক্তকে কোনও রাজনৈতিক দলের নেতা বলতে পারেন না। তাই আমরা পুলিস সুপারকে আইনি নোটিস পাঠাব।
অভিযুক্ত যুবকের বিপ্লবের আলিপুরদুয়ার চৌপথিতে চশমার দোকান আছে। অন্যদিকে খুন হওয়া যুবক বাপি আইটিআই পাশ করে কোচবিহারে একটি সংস্থায় কাজ করতেন। মৃত যুবকের মা বা বোন কেউ নেই। সে বাবার সঙ্গেই থাকত।
হঠাৎ করে এভাবে ছেলের খুনের ঘটনায় বাক্রুদ্ধ হয়ে পড়েন মৃত যুবকের বাবা বিপ্রদাসবাবু। তিনি বলেন, আমার ছেলেকে খুন করার জন্য অভিযুক্তের কঠোর শাস্তি চাই আমি। ছেলেকে অভিযুক্ত বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়ে গুলি করে খুন করেছে।
যদিও অভিযুক্তের বাবা বাদল দাস বলেন, আমার ছেলে কোনওভাবেই এ কাজ করতে পারে না। পুলিস সঠিকভাবে ঘটনার তদন্ত করলেই সব পরিষ্কার হয়ে যাবে।