কর্মক্ষেত্রে অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ও মানসিক কষ্ট। দূর ভ্রমণের সুযোগ। অর্থ প্রাপ্তির যোগ। যে কোনও ... বিশদ
এদিন ভোরে শিলিগুড়ির শহরের আকাশে হালকা মেঘ থাকলেও বৃষ্টি হয়নি। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মেঘ কেটে যায়। এরই মধ্যে সকালে মণ্ডপে মণ্ডপে হয় ষষ্ঠীপুজো। তখন মণ্ডপে ছিল এলাকার মাঝ বয়সি ও বয়স্ক মহিলাদের ভিড়। আর কচিকাঁচারা। দুপুরের পর শহরের আকাশে জমে কালো মেঘ। বিকেল নাগাদ এক পসলা বৃষ্টিও হয়। সন্ধ্যাতেও বৃষ্টি হয়েছে। এরই মধ্যে মণ্ডপে মণ্ডপে নিষ্ঠার সঙ্গে চলে দেবীর বোধন, অধিবাস। তখন কাঁসর, ঘণ্টা ও ঢাকের বোলে সরগরম হয়ে ওঠে বিভিন্ন এলাকা।
একইসঙ্গে নতুন পোশাক পড়ে রাস্তায় নামেন আমবাঙালিও। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তায় পাল্লা দিয়ে বেড়েছে কালো মাথার ভিড়। একসময় শহরের হিলকার্ট রোড, সেভক রোড, এসএফ রোড, মহাবীরস্থান, নিউ সিনেমা রোড, এনজেপি স্টেশনগামী রোড সহ অধিকাংশ রাস্তাতেই ছিলো কালো মাথার মিছিল। প্রতিটি রাস্তাই হয়ে ওঠে মণ্ডপমুখী। পাশাপাশি পুজো মণ্ডপ চত্বরে এবং বিভিন্ন রাস্তার ধারে বসেছিল আড্ডার আসর। তাতে অবশ্য যুবক-যুবতীদের ভিড় ছিল উল্লেখযোগ্য। পুজো উপলক্ষে সেন্ট্রাল কলোনির মণ্ডপের মাঠে, শক্তিগড় মাঠে, দেশবন্ধপাড়ায় সুব্রত সংঘের পাশের ফাঁকা জায়গায়, চম্পাসারিতে মেলা বসেছে। সংশ্লিষ্ট স্থানগুলিতেও ভিড় করেন দর্শনার্থীরা। প্রতিমা দর্শনের পর কেউ সংশ্লিষ্ট জায়গাগুলিতে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেন। আবার কেউ কেউ পেট পুজোও সারেন। দর্শনার্থীদের একাংশ বলেন, পুজোয় বৃষ্টি হওয়ার ব্যাপারে আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস দিয়েছিল। তাই ‘ভিলেন’ আবহাওয়াকে হার মানাতে ছাতা, রেনকোট নিয়েই রাস্তায় নেমেছি।
অন্যদিকে এদিন থেকেই পুজো কার্নিভালের সূচনা করেছে পর্যটন দপ্তর। এদিন সকালে শিলিগুড়ি কলেজ ময়দানে বয়স্কদের নিয়ে ফুটবল খেলার আয়োজন করা হয়। ওই খেলার উদ্বোধন করেন পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব। সন্ধ্যায় ওই মাঠেই আতশবাজি প্রদর্শনী হয়। চড়কি, তুবরি, কদমগাছ, ঝর্ণা সহ নানা রঙের বাজি পোড়ানো হয়। লাল, নীল, হলুদ, সবুজ সহ নানা রঙের আলোর ছটায় ঝলমলিয়ে ওঠে এলাকার আকাশ। পাশাপাশি এখানেই নানা আকারের ফানুস উড়ানো হয়। পাল্টে যায় আকাশের রূপ। পর্যটন দপ্তরের এই অনুষ্ঠানেও আমবাঙালির ভিড় উপচে পড়ে। উল্লেখ্য, কার্নিভাল উপলক্ষে শহরের কিছু এলাকায় সেল্ফি জোন তৈরি করা হয়েছে। পুজোর ক’দিন কয়েকটি জায়গায় নাচ, গান সহ নানা অনুষ্ঠানের আসর বসানো হবে।
অনেকে বলেন, আকাশে ওড়ানো ফানুস একসময় জোনাকি পোকার মতো দেখতে লাগছিল। প্রদর্শনীর উদ্বোধন করার পর পর্যটনমন্ত্রী বলেন, এই প্রথম শিলিগুড়িতে পুজো কার্নিভালের আয়োজন করা হয়েছে। আবহাওয়া প্রতিকূল হলেও এই আয়োজন মানুষের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। আগামী বছর আরও ধুমধাম করে এই অনুষ্ঠান করা হবে।