লাহোর: ৯ মে’র ঘটনার পর প্রবল চাপে ইমরান খান। একদিকে পাক সরকার পিটিআইকে ‘নিষিদ্ধ’ করার বার্তা দিয়েছে। অন্যদিকে, চাপ বাড়িয়েছে সামরিক বাহিনীও। দল ছেড়েছেন ইমরানের বহু বিশ্বস্ত সঙ্গী। এই পরিস্থিতিতে শাহবাজ সরকারকে সমঝোতার বার্তা দিতে আলোচনায় বসতে চেয়েছিলেন কাপ্তান ইমরান। সাধারণ নির্বাচনের তারিখ নিয়ে আলোচনার জন্য সাত সদস্যের এক প্রতিনিধি দলও গঠন করা হয়। কিন্তু তাঁর সেই আলোচনার প্রস্তাব পত্রপাঠ খারিজ করে দিয়েছে পাক সরকার। শাহবাজ সরকারের সাফ বার্তা,জঙ্গিদের সঙ্গে কোনও কথা নয়। পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ স্পষ্টই জানান, রাজনৈতিক দলগুলির আলোচনায় বসতে সরকারের কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু সন্ত্রাসবাদীদের সঙ্গে কোনওভাবেই আলোচনায় বসা হবে না। পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী মারিয়ম ঔরঙ্গজেব জানান, যারা রাষ্ট্রের বুকে হামলা চালায়, তাদের সঙ্গে কোনও সমঝোতা নয়। তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করবে প্রশাসন। যারা শহিদদের অপমান করে, স্মৃতিসৌধ জ্বালিয়ে দেয়, তাঁদের সঙ্গে কীসের আলোচনা, কীসের সমঝোতা? তাঁর খোঁচা, দলের নেতারা যখন একে একে পদত্যাগ করছেন, তখনই ইমরানের আলোচনার কথা মনে পড়ল।
ইমরানের গ্রেপ্তারির পর গোটা দেশে পিটিআই সমর্থকরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ। তাদের হাত থেকে রেহাই পায়নি দেশের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সৌধ, সামরিক বিমানঘাঁটি থেকে শুরু করে সেনাপ্রধানের বাসভবনও। এরপরই ব্যাপক ধরপাকড় শুরু করে প্রশাসন। পিটিআইয়ের অভিযোগ, প্রায় ১০ হাজার কর্মী-সমর্থককে গ্রেপ্তার করা হয়। সামরিক বাহিনী ও শাসক দলের সাঁড়াশি চাপে দলও ভাঙতে শুরু করে ইমরানের। বস্তুত, প্রতিষ্ঠার প্রায় ২৭ বছর পর এই প্রথম এত কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে চলেছে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ।