উচ্চতর বিদ্যায় সফলতা আসবে। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে মানসিক অস্থিরতা ... বিশদ
করোনায় মৃত্যু হলে এক লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছে মধ্যপ্রদেশ সরকার। দিল্লির অরবিন্দ কেজরিওয়াল সরকারও জানিয়েছে, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে অক্সিজেন অভাবে কোনও ব্যক্তির মৃত্যু হলে, তাঁর পরিবারকে পাঁচ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। সেইমতো ২০০৫ সালের বিপর্যয় মোকাবিলা আইন অনুযায়ী, করোনায় মৃতদের পরিবারগুলিকে চার লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য কেন্দ্র ও রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দেওয়ার আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে একটি মামলা দায়ের হয়েছিল। পাশাপাশি, মৃত্যুর শংসাপত্রের ক্ষেত্রে অভিন্ন নীতির আর্জি জানিয়েও একটি পিটিশন দায়ের হয়েছিল। এই দুটি পৃথক পিটিশনের শুনানিতে কেন্দ্রের কাছে জবাব চেয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। একইসঙ্গে, বিচারপতি অশোক ভূষণ ও বিচারপতি এম আর শাহর ভ্যাকেশন বেঞ্চ করোনায় মৃতদের ডেথ সার্টিফিকেট দেওযার ক্ষেত্রে আইসিএমআরের নির্দেশিকা জমা দিতে বলেছিল। আদালত বলেছিল, এ ব্যাপারে অভিন্ন নীতি থাকা দরকার।
সেইমতো শনিবার ১৮৩ পাতার একটি হলফনামা পেশ করে অমিত শাহের মন্ত্রক। তাতে বলা হয়েছে, করোনায় ইতিমধ্যে দেশজুড়ে ৩ লক্ষ ৮৫ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে চলেছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যগুলি ভয়াবহ অর্থকষ্টের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। বিপর্যয় মোকাবিলা আইনে কী বলা রয়েছে সেকথা উল্লেখ করে কেন্দ্র জানিয়েছে, ভূমিকম্প ও বন্যার মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে মৃত্যুতে ক্ষতিপূরণের সংস্থান রয়েছে। কিন্তু, সেই ধারা করোনার মতো মহামারীতে মৃত্যুর ক্ষেত্রে কার্যকর করা যায় না। এরপরেই করোনাকালে স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি এবং রাজস্ব আদায় হ্রাস পাওয়ার কথা তুলে ধরে কেন্দ্র। তারা জানায়, কেন্দ্র ও রাজ্যগুলির আর্থিক অবস্থা ভালো নয়। তাই করোনায় মৃতদের প্রত্যেকের পরিবারকে চার লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া সম্ভব নয়। কারণ, এতে বিপর্যয় মোকাবিলা তহবিলই শেষ হয়ে যাব। ফলে ভবিষ্যতে করোনার সম্ভাব্য ঢেউ মোকাবিলার প্রস্তুতিতে কেন্দ্র ও রাজ্যগুলিকে সমস্যায় পড়তে হবে।