উচ্চতর বিদ্যায় সফলতা আসবে। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে মানসিক অস্থিরতা ... বিশদ
যদিও তা মানতে নারাজ স্বাস্থ্যমন্ত্রক। সরকারের তৈরি দ্য ইন্ডিয়ান সার্স কোভ-টু কনসোর্টিয়াম অন জিনোমিক্স (ইনসাকগ) এ ব্যাপারে পরীক্ষা নিরীক্ষা করছে। কেন্দ্রের করোনা সংক্রান্ত কমিটির সদস্য ডাঃ বিনোদকুমার পল বলেছেন, মার্চ মাস থেকেই ভারতে ডেলটা প্লাস ভেরিয়েন্টসের হদিশ মিলেছে। কিন্তু মারাত্মক বলে এখনও প্রমাণ হয়নি। তাই এটিকে এখনই ভেরিয়েন্টস অব কনসার্ন বলা যাচ্ছে না।
একইভাবে তৃতীয় ঢেউ ইস্যুতে ডাঃ গুলেরিয়ার সঙ্গে সহমত নন আইসিএমআরের মহামারীবিদ্যা বিভাগের প্রধান বিজ্ঞানী ডাঃ সমীরণ পান্ডা। নির্দিষ্ট কোনও বৈজ্ঞানিক তথ্যের বাইরে আগামী ৬-৮ সপ্তাহের মধ্যে করোনার তৃতীয় ঢেউ অবশ্যম্ভাবী বলে গুলেরিয়ার তত্ত্ব মানতে নারাজ ডাঃ সমীরণ পান্ডা।
তিনি বলেন, শুধু শুধু মানুষকে ভয় দেখিয়ে লাভ কী? এমনিতেই দ্বিতীয় ঢেউয়ে বহু রাজ্যই সংক্রমণের সর্বোচ্চ চূড়ায় পৌঁছেছে। কিছুদিন আগে পর্যন্তও গোটা দেশে লাগাতার দৈনিক সংক্রমণ চার লক্ষ ছিল। কিন্তু এখন নিম্নগামী। আইসিএমআরের এই প্রধান বিজ্ঞানী জানান, লাগাতার তিন সপ্তাহ যদি কোনও এলাকা বা রাজ্যে সংক্রমণের হার (পজিটিভিটি রেট) এক থাকে, তাহলে বুঝতে হবে সেই রাজ্য সংক্রমণের সর্বোচ্চ চূড়ায় পৌঁছে গিয়েছে। উদাহরণ হিসেবে দিল্লি, মহারাষ্ট্রের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, এখানে প্রচুর পরিমাণে আক্রান্ত হওয়ায় মানুষের শরীরে স্বাভাবিক ইমিউনিটি তৈরি হয়েছে। একইসঙ্গে চলছে টিকাকরণ। সঙ্গে আবশ্যিক মাস্ক, শারীরিক দূরত্ব ও হ্যান্ড হাইজিন। আর এগুলি বজায় রেখে ধীরে ধীরে লকডাউন তুললেও আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। ঠিক যেভাবে দিল্লিতে এখন জীবনযাত্রা প্রায় স্বাভাবিক হতে চললেও সংক্রমণ কিন্তু বাড়ছে না। একই কথা খাটে মহারাষ্ট্রের ক্ষেত্রেও। তাই সামান্য সাবধানতা বজায় রাখলেই করোনার তৃতীয় ঢেউ রুখে দেওয়া যায়। আতঙ্কিত হওয়ারও কিছু নেই।
এদিকে, তামিলনাড়ুর ২৭ জেলায় লকডাউন বিধি সিথিল করা হয়েছে। সোমবার থেকেই রাজ্যে বাস চলতে পারে। হরিয়ানাতে ২৮ জুন পর্যন্ত লকডাউন থাকলেও, বিধি নিষেধ অনেকটাই সোমবার থেকে উঠে যাচ্ছে। জম্মু-কাশ্মীরের ৮টি জেলায় নাইট কার্ফু তুলে নেওয়া হচ্ছে। দিল্লিতে সোমবার থেকে বার ও রেস্তরাঁরার জন্য বিধিনিষেধ আরও কম করছে। পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের বাইরে চলছে স্যানিটাইজেশন। ছবি: পিটিআই