কর্মপ্রার্থীদের কোনও সুখবর আসতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদন্নোতির সূচনা। গুপ্ত শত্রু থেকে সাবধান। নতুন কোনও প্রকল্পের ... বিশদ
এরাজ্যে পেশাদারিত্বের সঙ্গে যে চিংড়ি চাষ হয়, তার সিংহভাগ দখল করে আছে পূর্ব মেদিনীপুর ও দুই ২৪ পরগনা। সেই চিংড়ির মূল বাজার বিদেশ। চিংড়িগুলি আসে কলকাতা ও তার আশপাশে থাকা প্রসেসিং সেন্টারগুলিতে। মৎস্যদপ্তরের হিসেব বলছে, রাজ্যে প্রায় ৫০টি প্রসেসিং সেন্টার আছে, যেখানে মূল কাঁচামাল চিংড়ি। পাশাপাশি কিছু সামুদ্রিক মাছও প্রসেস করা হয় সেখানে। বিদেশের বাজারে চাহিদার নিরিখে সবার আগে ছিল বাগদা। কিন্তু কালো ডোরাকাটা সেই ’টাইগার প্রন’-এর উৎপাদন এখন কিছুটা কমে গিয়েছে। সেই জায়গা দখল করেছে সাদা ভেনামি চিংড়ি। ইউরোপ এবং আমেরিকা তে বটেই, সেই চিংড়ি মন কেড়েছে অস্ট্রেলিয়া, জাপান এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহিরও।
এদিকে, যখনই করোনা ভাইরাস বাইরের দেশগুলিতে একটু একটু করে থাবা বসাতে শুরু করেছে, তখনই একের পর এক বাতিল হতে শুরু করে চিংড়ির কনসাইনমেন্ট বা বরাত। এরপর এখানে লকডাউন শুরু হওয়ায়, বন্ধ হয়ে যায় প্রসেসিং সেন্টারগুলিও। বিদেশিদের পাতে দেওয়ার জন্য লালিতপালিত হওয়া চিংড়ি সটান চলে আসে রাজ্যের খুচরো বাজারগুলিতে। মোটামুটি বড় আকারের সাদা ভেনামি ২০০ টাকা থেকে ২৫০ টাকা কেজিতে বিকোতে শুরু করে। সেই ধারা গত মাস দুই ধরেই অব্যাহত।
মৎস্য দপ্তরের এক কর্তার কথায়, গত আর্থিক বছরে প্রায় ১.২৫ লক্ষ মেট্রিক টন চিংড়ি রপ্তানি হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ থেকে। যা থেকে প্রায় ৪ হাজার ৮০০ কোটি টাকা আয় হয়েছে। কিন্তু ভেনামির আঁতুড়ঘরে এবার চাষাবাদ থমকে দিয়েছে করোনা। ওই কর্তার কথায়, জুনপুটের কাছে যেখানে ভেনামির চারা বা বীজ চাষ হয়, সেখানে উৎপাদন বন্ধ। সাদা চিংড়ির বীজের সিংহভাগ আসে চেন্নাই থেকে। লকডাউনে তাও আসেনি। ফলে চাষ আপাতত হচ্ছে না। যেটুকু হয়েছিল, তা খোলা বাজারে আসছে রোজ। ফলে অদূর ভবিষ্যতে ভেনামি চিংড়ির আকাল শুরু হতে চলেছে। প্রসেসিং প্ল্যান্টগুলি খুললেও, কাঁচামালের সঙ্কট চলতেই থাকবে, আশঙ্কা মৎস্য দপ্তরের।