শরীর নিয়ে চিন্তায় থাকতে হবে। মাথা ও কোমরে সমস্যা হতে পারে। উপার্জন ভাগ্য শুভ নয়। ... বিশদ
হায়দরাবাদের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ পাবলিক হেলথ-এ অধ্যাপনার পাশাপাশি দেশ-বিদেশের একাধিক জনস্বাস্থ্য বিষয়ক গবেষণার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন ধারা। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘কোভিডের মোকাবিলায় নেমে আমাদের দেশে একাধিক পদক্ষেপ গৃহীত হয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম লকডাউন। এখন সবারই নজর কোভিডের কবল থেকে যেনতেন প্রকারে মুক্ত হওয়া। অন্যদিকে, চরম অবহেলিত হয়ে পড়ছে কলেরা, যক্ষ্মা সহ বিভিন্ন সংক্রামক রোগ প্রতিরোধের ব্যবস্থা। অপুষ্টিজনিত রোগও রয়েছে সেই তালিকায়।’ তিনি বলেছেন, ‘এখন লকডাউনের জেরে সবচেয়ে বেশি স্বাস্থ্য সঙ্কটে পড়েছেন প্রসূতিরা। তাঁদের যে পরিমাণ পুষ্টির প্রয়োজন, তা তাঁরা পাচ্ছেন না।’ প্রসূতি মায়েদের পুষ্টির এই অভাব পরবর্তী প্রজন্মের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলবে বলেও মনে করেন তিনি।
তবে, কোভিড মোকাবিলায় লকডাউন ছাড়া আর কোনও বিকল্প পথ নেই বলেই জানিয়েছেন ধারা। তাঁর কথায়, ‘কোভিড রোধে লকডাউনই মোক্ষম হাতিয়ার। এই মারণ ভাইরাসের ছোবলে ভারতে মৃত্যুর হার কম হলেও সংক্রমণ বাড়বে হু হু করে। মে মাসের শেষে সংক্রামিতের সংখ্যা ১০ লক্ষের কাছাকাছি পৌঁছে যেতে পারে। পর্যায়ক্রমে লকডাউন উঠলে সংক্রমণের লেখচিত্র খুব দ্রুত ঊর্দ্ধমুখী হবে।’ এক্ষেত্রে ধারার পরামর্শ, লকডাউন শিথিল হলেও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নিয়ম কঠোরভাবে মানতে হবে সকলকেই। তা না হলে ভারতের মতো ঘন জনবসতিপূর্ণ দেশে ভয়ঙ্কর চেহারা নেবে কোভিড।