ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগ প্রত্যাশিত সাফল্য নাও দিতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি শ্বাসকষ্ট ও বক্ষপীড়ায় শারীরিক ক্লেশ। ... বিশদ
কেন্দ্রীয় পর্ষদের হিসেব অনুযায়ী, করোনা মোকাবিলায় গত ২২ মার্চ জনতা কারফিউ ডেকেছিলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী। সেই দিন থেকেই দূষণ অনেকটা কমতে শুরু করেছিল। ২৫ মার্চ লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকে এই চিত্র আরও ভালো হতে থাকে। কেন্দ্রীয় রিপোর্টে জানানো হয়েছে, গত ২৫-২৯ মার্চের মধ্যে দেশের সন্তোষজনক এবং ভালো আবহাওয়ার শহরের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। গত ২৫ মার্চ সংখ্যাটি যেখানে ছিল ৮১, সেখানে ২৯ মার্চ সংখ্যাটি ৯১-এ গিয়ে ঠেকেছে। এটা পরিবেশের দিক থেকে বেশ ভালোই বলে বিশেষজ্ঞদের মত। উল্লেখ্য, গত ১৬ মার্চ যখন গোটা দেশ স্বাভাবিকভাবে চলছিল, সেই সময় দূষণের নিরিখে সন্তোষজনক এবং ভালো শহরের সংখ্যা ছিল ৫৫টি। ১৭ থেকে ২১ মার্চের মধ্যে সংখ্যাটা আরও কমে যায়। কিন্তু এরপরেই ২৫ মার্চ ৮১টি, ২৭ মার্চ ৯০টি এবং ২৯ মার্চ ৯১টি শহর হয়। মূলত রাস্তায় গাড়ি না থাকা, কল-কারখানা বন্ধ হওয়ার কারণেই এই দূষণমুক্তি বলে পর্ষদের বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন।
পর্ষদের হিসেব অনুযায়ী, কলকাতায় গত ২২ মার্চ বায়ু দূষণ সূচক ছিল ৬৩। যা ২৩ মার্চ কমে ৩৮ হয়। আবার হাওড়ার ক্ষেত্রে সেই মাত্রাই ২২ মার্চ ৭৮ ছিল। ২৩ মার্চ তা কমে ৪২ হয়েছিল। যা তার আগের স্বাভাবিক দিনগুলির তুলনায় অনেকটাই ভালো।
পর্ষদের পুরনো হিসেব বলছে, গতবছর ২৫ মার্চ কলকাতার বায়ু দূষণ সূচক ছিল ২০২ (খারাপ)। এবছর ওইদিন কলকাতার বায়ু দূষণ সূচক ছিল ৯৭ (সন্তোষজনক)। একইভাবে গতবছর ২৬ মার্চ কলকাতার বায়ু দূষণ সূচক ছিল ২০৪। এবছর ওইদিন সেই মাত্রা ছিল ৮৬। কলকাতার পার্শ্ববর্তী হাওড়ার দূষণ চিত্রও লকডাউনের জেরে অনেকটা ভালো হয়েছে। গতবছর ২৫ থেকে ২৯ মার্চ হাওড়ার বায়ু দূষণ সূচক ছিল যথাক্রমে ১৪৮, ১৪৫, ১৪০, ১১১, ১০৯। এবছর সেই মাত্রা ছিল ৮৫, ৭১, ১০০, ৮৭, ৭৬। কেন্দ্রীয় রিপোর্টে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, বায়ু দূষণ সূচকের নিরিখে গত ১৬ থেকে ২১ মার্চ (যে সময় পরিস্থিতি স্বাভাবিক ছিল) গড়ে প্রত্যেকদিনই দেশের ৫-১২টি শহরের মাত্রা খারাপ ছিল। কিন্তু লকডাউন পর্বে সেই শহরের সংখ্যাটা একেবারেই কমে গিয়েছে। ২৯ মার্চ সংখ্যাটা একেবারে শূন্য হয়ে গিয়েছিল।