ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগ প্রত্যাশিত সাফল্য নাও দিতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি শ্বাসকষ্ট ও বক্ষপীড়ায় শারীরিক ক্লেশ। ... বিশদ
মোট ১৩টি প্রশ্ন এবং তার সবিস্তার জবাবে গ্রাহকদের বোঝানো হয়েছে, প্রয়োজনে তাঁরা কীভাবে এই পরিষেবা পাবেন। কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত অনুসারে, গ্রাহকেরা হয় তাঁর ইপিএফ অ্যাকাউন্টে মোট সঞ্চিত অর্থের ৭৫ শতাংশ অগ্রিম হিসেবে তুলে নিতে পারবেন অথবা তাঁর তিন মাসের মূল বেতন (বেসিক স্যালারি) এবং মহার্ঘ ভাতার (ডিএ) মোট পরিমাণ তুলতে পারবেন। যেটির পরিমাণ কম হবে, সেই পরিমাণ অর্থই তুলতে পারবেন গ্রাহকেরা। এক্ষেত্রে অগ্রিম হিসেবে টাকা তুললেও তা নন-রিফান্ডেবল। অর্থাৎ সংশ্লিষ্ট গ্রাহককে ওই টাকা ফের অ্যাকাউন্টে জমা করতে হবে না। এই ইস্যুতে সম্প্রতি ১৯৫২ সালের ইপিএফ আইনে সংশোধনও করেছে কেন্দ্র। প্রশ্নোত্তরে এগুলির উল্লেখ করা হয়েছে। একইসঙ্গে জানানো হয়েছে, এই পরিষেবা পাওয়ার জন্য গ্রাহক অথবা তিনি যে সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন, তার কর্তৃপক্ষকে কোনওরকম নথিপত্র জমা দিতে হবে না। এমনকী ‘ক্লেম’-এর জন্য কোনও ইপিএফও কার্যালয়ে যাওয়ারও প্রয়োজন নেই। পুরো প্রক্রিয়াটিই হবে অনলাইনে। তবে, এক্ষেত্রে ইউএএনের সঙ্গে আধার যোগ থাকা বাধ্যতামূলক। তা না হলে টাকা তোলার আবেদন গ্রাহ্য হবে না। তবে বহু ক্ষেত্রেই আধারে উল্লিখিত জন্ম তারিখের সঙ্গে পিএফ অফিসে জমা দেওয়া জন্ম তারিখের মধ্যে সামঞ্জস্য না থাকায় সংযোগ নিয়ে সমস্যা রয়েছে। এক্ষেত্রে বড়সড় একটি পদক্ষেপ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তারা জানিয়েছে, যদি আধারের জন্ম তারিখের সঙ্গে পিএফ দপ্তরের নথিতে থাকা তারিখের মধ্যে তিন বছরের ফারাক হয়, তাহলে তা গ্রাহ্য করা হবে। ইপিএফও দপ্তরের কলকাতার রিজিওনাল পিএফ কমিশনার (আরপিএফসি ওয়ান) নবেন্দু রাই বলেন, আধারে উল্লিখিত জন্ম তারিখকে আমরা প্রমাণ হিসেবে গ্রহণ করব, যেখানে আমাদের নথিতে থাকা কোনও কর্মীর জন্ম তারিখের সঙ্গে আধারের তারিখের মধ্যে পার্থক্য তিন বছরের কম হতে হবে। গ্রাহক এই ব্যাপারে অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।
ইউনিভার্সাল অ্যাকাউন্ট নম্বর (ইউএএন) থাকলে ইপিএফও’র অন্যান্য পরিষেবার মতো এটিও ঘরে বসেই করতে পারবেন গ্রাহকেরা। অগ্রিম হিসেবে কত টাকা পাওয়া যাবে, তারও একটি আনুমানিক হিসেব দিয়েছে ইপিএফও। প্রকাশিত এফএকিউতে বলা হয়েছে, যদি কোনও গ্রাহকের ইপিএফ অ্যাকাউন্টে ৫০ হাজার টাকা থাকে এবং তাঁর মূল বেতন ও মহার্ঘ ভাতার সর্বমোট পরিমাণ মাসে ১৫ হাজার টাকা হয়, তাহলে তিনমাসে এর পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে ৪৫ হাজার। অন্যদিকে, ইপিএফ অ্যাকাউন্টের ৫০ হাজার টাকার ৭৫ শতাংশ অর্থ হল ৩৭ হাজার ৫০০ টাকা। এক্ষেত্রে যেহেতু গ্রাহকের তিন মাসের বেসিক স্যালারি এবং ডিএ’র তুলনায় অ্যাকাউন্টের ৭৫ শতাংশ অর্থের পরিমাণ কম, তাই ওই গ্রাহক অগ্রিম হিসেবে সেই পরিমাণ, অর্থাৎ ৩৭ হাজার ৫০০ টাকা তুলে নিতে পারবেন। এক্ষেত্রে কেউ যদি ইতিপূর্বেই ইপিএফ অ্যাকাউন্ট থেকে অগ্রিম টাকা তুলে থাকেন, তাহলেও করোনার কারণে তিনি ফের এই ৭৫ শতাংশ অর্থ তুলে নিতে পারবেন। বেসরকারি প্রভিডেন্ট ফান্ড ট্রাস্টের আওতায় থাকা গ্রাহকেরাও এই পরিষেবা পাবেন। একইসঙ্গে ইপিএফও জানিয়েছেন, যেহেতু ইপিএফ স্কিমের আওতায় কোনও অগ্রিমের উপর আয়কর কার্যকর হয় না, তাই এক্ষেত্রেও গ্রাহকদের কোনওরকম কর দিতে হবে না।