মানসিক অস্থিরতার জন্য পঠন-পাঠনে আগ্রহ কমবে। কর্মপ্রার্থীদের যোগাযোগ থেকে উপকৃত হবেন। ব্যবসায় যুক্ত হলে শুভ। ... বিশদ
গোটা রাজ্যে ফাঁসির দড়ি তৈরিতে সুনাম রয়েছে বক্সার জেলের। গত সপ্তাহেই জেল কর্তৃপক্ষের কাছে ১০টি দড়ির তৈরির নির্দেশ এসেছে। সাধারণত, এই ধরনের দড়িগুলি বেশ শক্তপোক্ত হয়। কিন্তু তা বেশিদিন টেকে না। তাই নির্ভয়ার ধর্ষকদের দ্রুত ফাঁসি হতে পারে, এই জল্পনা আরও বেড়েছে। বক্সার জেল সুপারিন্টেন্ডেন্ট বিজয় কুমার অরোরা জানিয়েছেন, ‘কারা দপ্তরের পক্ষ থেকে আমাদের আগামী ১৪ ডিসেম্বরের মধ্যে ১০টি দড়ি তৈরি রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দড়িগুলি কোথায় ব্যবহার করা হবে, তা আমরা জানি না। ফাঁসির দড়ি তৈরিতে বক্সার জেলের দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য রয়েছে। সংসদ হামলার চক্রী আফজল গুরুর ফাঁসির সময়ও এখান থেকেই দড়ি পাঠানো হয়েছিল।’
অন্য সমস্যা আবার তিহার জেলে। এখানে ফাঁসুড়ে নেই। শেষবার সেখানে ফাঁসি হয়েছিল আফজল গুরুর। তাও ২০১৩ সালে। সম্প্রতি রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো ক্ষমাভিক্ষার আর্জিও ফিরিয়ে নিয়েছে নির্ভয়াকাণ্ডের অন্যতম দোষী বিনয় শর্মা। ধর্ষকদের কোনওমতেই ক্ষমা নয়, জানিয়ে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতিও। এরপরেই ফাঁসি দিতে তৎপরতা শুরু হয়েছে তিহারে। তিহার কর্তৃপক্ষ দেশের অন্য জেলগুলির কাছে ফাঁসুড়ে চেয়ে আবেদনও জানিয়েছে। সূত্রের খবর, এই নিয়ে উত্তরপ্রদেশের কারা দপ্তরের সঙ্গে বেসরকারিভাবে আলোচনা হয়েছে। এদিকে, ফাঁসুড়ে না থাকার খবর পেয়ে সারা দেশ থেকে বিভিন্ন পেশার মানুষ নির্ভয়ার ধর্ষক ও খুনিদের নিজের হাতে ফাঁসি দিতে চেয়ে রাষ্ট্রপতিকে চিঠি দিয়েছেন। তবে, শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মিরাট জেলের ফাঁসুড়ে পবন জল্লাদকেই ডাকা হতে পারে।
শেষবার ১ হাজার ৭২৫ টাকায় ফাঁসির দড়ি কেনা হয়েছিল বক্সার জেল থেকে। লোহা এবং পিতলের দাম অনুযায়ী এই দর ঠিক হয়। যা ফাঁস শক্ত করতে কাজে লাগে। একটি দড়ি তৈরি করতে পরিশ্রম করেন ৪-৫ জন। বন্দিদের অভাব না থাকায় ঠিক সময়েই দড়ি তৈরি হয়ে যাবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন বক্সার জেল সুপার।