বিদ্যায় সাফল্য ও হতাশা দুই-ই বর্তমান। নতুন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠবে। মামলা-মোকদ্দমার কোনও পরিবেশ তৈরি ... বিশদ
জানা গিয়েছে, এই বন্যায় উচ্চ অসমের ধেমাজি ও লখিমপুর এবং নিম্ন অসমের বরপেটা ও বঙ্গাইগাঁও সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উচ্চ অসমের বিভিন্ন অংশ থেকে বন্যার জল নিম্ন অসমের দিকে প্রবাহিত হচ্ছে। এর ফলে নিম্ন অসমের পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে বলে আশঙ্কা করছেন আধিকারিকরা। ইতিমধ্যেই বরপেটার প্রায় ৮৫ হাজার মানুষ আশ্রয়ের খোঁজে অন্যত্র চলে গিয়েছেন বলে সরকারি সূত্রে খবর। প্রবল বৃষ্টিতে ব্যাহত হচ্ছে ট্রেন চলাচলও। লামডিং-বদরপুর পার্বত্য অঞ্চলের জাটিঙ্গা লামপুর-নিউ হারাঙ্গাজাও স্টেশনের মধ্যেকার ট্রেন লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে রেল সূত্রে খবর। বানভাসি অবস্থা উচ্চ অসমের কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যানেরও। বন আধিকারিকরা জানিয়েছেন, বন্যার জল থেকে বাঁচতে পশুপাখিদের নিরাপত্তার জন্য যে উঁচু জায়গা তৈরি করা হয়েছে, সেখানেই আপাতত আশ্রয় নিয়েছে একশৃঙ্গ গন্ডার সহ অন্যান্য প্রাণীরা। বন্যার জল থেকে বাঁচতে পশুপাখিরা উঁচু জায়গায় যাওয়ার চেষ্টা করতে পারে। সেকথা মাথায় রেখে কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যান সংলগ্ন জাতীয় সড়কে দ্রুতগতিতে যানবাহন চলাচলের উপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
সর্বশেষ পরিস্থিতি জানতে বন্যা কবলিত জেলাগুলির ডেপুটি কমিশনারদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনেওয়াল। কন্ট্রোল রুম থেকে প্রতি মুহূর্তে পরিস্থিতির উপর নজর রাখা এবং সাধারণ মানুষের ফোনের জবাব দেওয়ার জন্যও নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বন্যার মধ্যেই এনসেফেলাইটিসে আক্রান্তের সংখ্যাও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে অসমে। পরিস্থিতির মোকাবিলায় আগামী সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত স্বাস্থ্য দপ্তরের সমস্ত চিকিৎসক-কর্মীদের ছুটি বাতিল করেছে রাজ্য সরকার। অসমের ন’টি জেলাকে বিশেষভাবে চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে বলে অসমের স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে।