উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
দোষ কার? মূলত এই প্রশ্নেই এদিন বৈঠকের শুরু থেকেই যথেষ্ট উত্তপ্ত হয়েছে সিপিএমের পলিটব্যুরো বৈঠক। বঙ্গ সিপিএমের পক্ষে দলের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র, বিমান বসু এবং মহম্মদ সেলিম যে রিপোর্ট পেশ করেছেন, তাতে স্পষ্ট করে উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলায় সিপিএম তথা বামেদের ‘কমিটেড’ ভোটার অন্য রাজনৈতিক দলে ‘শিফট’ করে গিয়েছে। দলীয় সূত্রের খবর, এদিনের বৈঠকে প্রশ্ন উঠেছে লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় দলের গৃহীত রণকৌশল নিয়েও। এদিনের বৈঠকে পলিটব্যুরোর সদস্যরা প্রশ্ন করেন, তৃণমূল হটাওয়ের ডাক না দিয়ে সিপিএম শুধু বিজেপি তথা সঙ্ঘ পরিবারের উপর নজর দিলে কি সাধারণ মানুষের কাছে কি গোটা বিষয়টি তুলনায় বেশি বিশ্বাসযোগ্য হতো? উত্তরে বাংলার নেতারা জানিয়েছেন, ২০১১ সালে পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতা পরিবর্তনের পর থেকে যেভাবে বাম নেতারা তৃণমূলী হামলার শিকার হয়েছেন, তাতে এই স্লোগান থেকে তৃণমূলকে বাদ দিলে দলের নিচুতলার কাছেই বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়ে ফেলত দল। দলের ত্রিপুরা ইউনিটও দায়ী করেছে ওই রাজ্যের শাসক দল বিজেপির ‘সন্ত্রাস’কেই। কেরল তুলেছে সবরীমালার ইস্যু।
জানা গিয়েছে, এদিনের বৈঠকে ইয়েচুরি বলেছেন, দলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আমি এই হারের দায় অস্বীকার করতে পারি না। তা মাথায় নিয়ে দলের পদ থেকে আমি সরে দাঁড়াতে পারি। পলিটব্যুরোর অন্য সদস্যরা তাঁকে বলেছেন, এর দায় কোনও ব্যক্তিবিশেষের একার নয়। তাহলে সব রাজ্য কমিটির শীর্ষ নেতৃত্বকেই পদত্যাগ করতে হয়। উল্লেখ্য, আগামী ৪ জুন কলকাতায় দলের বঙ্গ ব্রিগেড বৈঠকে বসছে। তাতে রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র কী জবাব দেন, সেটাই দেখার।