পারিবারিক ক্ষেত্রে কলহের আশঙ্কা। ঠান্ডা মাথায় চলুন। বিজ্ঞানী, ব্যবসায়ী, সাহিত্যিকদের শুভ সময়। ... বিশদ
হলং বনবাংলোর সঙ্গে আবেগঘন স্মৃতি জড়িয়ে আছে অনেকেরই। প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু প্রায় প্রতি বছরই সেখানে গিয়ে দিনকয়েক বিশ্রাম নিতেন। কংগ্রেসের এক প্রবীণ নেতার মনে পড়েছে, রাজীব গান্ধী নাকি একরাত গিয়ে সেখানে ছিলেন। একাধিক স্বনামধন্য চিত্রতারকা গিয়ে থেকেছেন সেখানে। তবে শোনা যায়, একবার এই হলং বনবাংলো বিদেশি অতিথিদের জন্য বুক করা থাকলেও তৎকালীন সিপিএমের প্রভাবশালী নেতা তা বাতিল করে দিয়েছিলেন। তা নিয়ে বিরাট বিতর্ক তৈরি হয়। আবার এই হলং বনবাংলোয় ঘর বুক করার জন্য হাপিত্যেশ করে বসে থাকতেন পর্যটকরা।
হলং বনবাংলোর অগ্নিদগ্ধ ছবি সামনে আসার পরই সমাজ মাধ্যমে অনেকেই তাঁদের স্মৃতি ও আবেগ শেয়ার করেছেন। এক দম্পতি লিখেছেন, ‘মধুচন্দ্রিমায় গিয়ে হলং বাংলোয় থাকার স্মৃতি ভোলার নয়। সেই সফরে প্রথম হাতির পিঠে সওয়ার হয়েছিলাম।’
দেশ-বিদেশের পর্যটকদের কাছে অন্যতম সেরা ডেস্টিনেশন ছিল এই হলং বনবাংলো। জেলা সফরে এলে ভিভিআইপিদের কাছে প্রথম পছন্দ ছিল সেখানে থাকা। কিন্তু সেটা আগুনে ভস্মীভূত হয়ে যাওয়ার পর প্রশ্ন উঠেছে, জেলায় এবার ভিভিআিইপিরা এলে কোথায় থাকবেন?
পর্যটক মহল ইতিমধ্যেই দাবি তুলতে শুরু করেছেন, দুর্গাপুজোর আগেই ওই বাংলোকে পূর্বেকার কাঠের চেহারায় ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক। জলদাপাড়া লজ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিশ্বজিৎ সাহা দাবি তুলেছেন, আমাদের দাবি, ঐতিহ্য ধরে রাখতে কাঠের হলং বনবাংলোকে ঠিক তার আগের চেহারায় ফিরিয়ে দেওয়া হোক। দুর্গাপুজোর আগেই বাংলোটি তৈরি করুক সরকার। কংক্রিটের বাংলো কোনওভাবেই মানব না।