অতি সত্যকথনের জন্য শত্রু বৃদ্ধি। বিদেশে গবেষণা বা কাজকর্মের সুযোগ হতে পারে। সপরিবারে দূরভ্রমণের যোগ। ... বিশদ
কীভাবে তাঁর নাম প্রকাশ্যে এল? চলতি বছরের গত নভেম্বর মাসে জামশেদপুরের নিরষা থানা এলাকায় দুটি কয়লার লরি ধরে ঝাড়খণ্ড পুলিস। চালকের কাছ থেকে কাগজপত্র দেখতে চাওয়া হয়। কিন্ত তারা তা দেখাতে পারেনি বলে দাবি পুলিসের। চালানের পরিবর্তে একটি স্লিপ দেখায়। দুই চালকই জানায়, স্লিপ দিয়ে বলা হয়েছে, এটি দেখালেই পুলিস থেকে শুরু করে যে কোন জায়গাতেই ছাড়পত্র মিলবে। উপযুক্ত নখি দেখাতে না পারায় গ্রেপ্তার করা হয় দুই চালককে। বাজেয়াপ্ত করা হয় কয়লা ভর্তি দুটি লরি। তাদের জেরা করে নিরষা থানার অফিসাররা জানতে পারেন, দুর্গাপুর ও আসানসোল থেকে এই বেআইনি কয়লা আসছিল। এভাবেই রোজ কয়লা আসে ঝাড়খণ্ডে। তারা আল্লারাখা ও লালার হয়ে কাজ করে। উদ্ধার হওয়া বেআইনি কয়লা ওই দু’জনের। ঝাড়খণ্ডে স্পঞ্জ আয়রন ও আয়রন অ্যান্ড স্টিল কারখানায় এই কয়লা পাঠান আল্লারাখা ও লালা। দুজনের বিরুদ্ধে এফআইআর করে নিরষা থানা। এর পরই লালার বাড়ি-অফিস সহ বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালায় আয়কর দপ্তর।
লালার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন আইনে মামলা করার পর, আল্লারাখার বিরুদ্ধে হওয়া এফআইআর নিয়েও সিবিআই অফিসাররা কথা বলেছেন ঝাড়খণ্ড পুলিসের সঙ্গে। তাদের কাছ থেকে এই সংক্রান্ত নথি চেয়ে পাঠানো হচ্ছে। খূব শীঘ্র এই সংক্রান্ত মামলার তদন্তভার সিবিআই নিতে চলেছে বলে খবর। আল্লরাখার বিষয়ে ঝাড়খণ্ড পুলিসের কাছ থেকে সিবিআই জেনেছে, এই কয়লা মাফিয়া আসলে ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা। তাঁর কাজকর্ম চলে দুর্গাপুর আসানসোলে থেকে। কয়েক হাজার যুবক তাঁর অধীনে কাজ করছেন। লালার সঙ্গে সমান তালে তিনিও অবৈধ খাদান থেকে কয়লা তুলছেন। দুজনের যোগসাজশে গোটা চক্র চলছে। লালার কয়লা এই রাজ্যের সমস্ত জায়গায় যায়। কিন্তু আল্লারাখার বেআইনি কয়লার পুরোটাই যায় ঝাড়খণ্ডে। সেখান থেকে কয়েকহাত ঘুরে পৌঁছয় উত্তরপ্রদেশে। তাঁর সঙ্গে যে সমস্ত নেতা ও প্রভাবশালী অংশের যোগ রয়েছে, তাই নিয়ে তথ্য এসে এসেছে তদন্তকারী অফিসারদের হাতে। কয়লা পাচারের বিনিময়ে মোটা টাকা তাঁদের কাছে মাসোহারা পাঠান আল্লারাখা। এই নিয়ে নথি জোগাড়ের কাজ শুরু হয়েছে।