বিদ্যায় সাফল্য ও হতাশা দুই-ই বর্তমান। নতুন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠবে। মামলা-মোকদ্দমার কোনও পরিবেশ তৈরি ... বিশদ
এদিকে ডেঙ্গু প্রতিরোধের জন্য প্রস্তুতিতে গতি আনতে এদিন দুপুরে কলকাতা পুরসভার শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের শীর্ষ কর্তারা। রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব (স্বাস্থ্য) রাজীব সিনহার নেতৃত্বে সেই বৈঠকে রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডাঃ অজয় চক্রবর্তী, অতিরিক্ত সচিব শরদ দ্বিবেদি, ডেঙ্গুর দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদের অন্যতম রূপম বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। কলকাতা পুরসভার তরফে উপস্থিত ছিলেন কমিশনার খলিল আহমেদ সহ পুর স্বাস্থ্য দপ্তরের টিমের সবাই। এদিকে, স্বাস্থ্যভবনে এদিন সকালেও ডেঙ্গু নিয়ে ভিডিও কনফারেন্সিং (ভিসি) হয়। ওই ভিসি থেকে স্বাস্থ্য দপ্তরের শীর্ষকর্তারা ডেঙ্গু সংক্রমণের দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ জেলাগুলির জেলাশাসক এবং মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
দপ্তর সূত্রের খবর, গত বছরের পরিসংখ্যান, হাতেকলমে জেলায় জেলায় পরিদর্শন করা, পর্যবেক্ষণে যাওয়া পরিদর্শকদের রিপোর্ট, ডেঙ্গু চিকিৎসকদের পরামর্শ ইত্যাদি খতিয়ে দেখে রাজ্য সরকার ডেঙ্গুর দিক থেকে কলকাতা সহ ১২টি ‘হাই ফোকাস’ জেলাকে চিহ্নিত করেছে। এগুলির মধ্যে কলকাতা এবং আশপাশের আরও পাঁচটি জেলা হল দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি এবং নদীয়া। তালিকায় উত্তর এবং দক্ষিণবঙ্গের তিনটি করে আরও ছ’টি জেলার নামও রয়েছে। উত্তরবঙ্গে তিন জেলা হল মালদহ, শিলিগুড়ি এবং উত্তর দিনাজপুর। দক্ষিণবঙ্গের আরও তিন জেলা হল পশ্চিম মেদিনীপুর, মুর্শিদাবাদ এবং পুরুলিয়া। সূত্রের খবর, গত বছরও দেখা গিয়েছে, রাজ্যে যত মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে, তার ৯০ শতাংশই এইসব জেলার বাসিন্দা। উল্লেখযোগ্যভাবে দেখা গিয়েছে, এই ১২টির মধ্যে আবার কলকাতা ও লাগোয়া আরও পাঁচ জেলা থেকেই ৬১ শতাংশ ডেঙ্গু পজিটিভ হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের এক শীর্ষ কর্তা বলেন, ইতিমধ্যেই কলকাতা সহ সংলগ্ন ছয় জেলার জন্য মোট ১১টি ‘স্টেট ডেঙ্গু অবজার্ভার টিম’ গঠন করা হয়েছে। এর মধ্যে কলকাতার হাসপাতালগুলির জন্য পাঁচটি এবং লাগোয়া জেলাগুলির জন্য ছ’টি টিম রয়েছে। এছাড়াও ১২টি ‘হাই-ফোকাস’ জেলার প্রতিটির জন্য দুটি করে টিম থাকবে। অন্যদিকে, বাকি প্রতিটি জেলার জন্য থাকবে একটি করে পরিদর্শক টিম। এছাড়াও কলকাতা পুরসভা এলাকায় সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে পরিদর্শনের জন্য আরও চারটি টিম থাকবে। হাসপাতাল ও নার্সিংহোমগুলিতে ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা নিয়ম মেনে হচ্ছে কি না, কোথায় কোথায় খামতি হচ্ছে ইত্যাদি খতিয়ে দেখতে এই টিম। খামতি, সমস্যা, সুবিধা-অসুবিধা সমস্ত তথ্যই জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের মাধ্যমে স্বাস্থ্যভবনে জানানো হচ্ছে।