বিদ্যায় সাফল্য ও হতাশা দুই-ই বর্তমান। নতুন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠবে। মামলা-মোকদ্দমার কোনও পরিবেশ তৈরি ... বিশদ
সেই নীতি তৈরি করার জন্য মুখ্যসচিব মলয় দে’র নেতৃত্বে একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি তৈরি করা হয়েছে। সেই কমিটিতে কৃষি দপ্তরের প্রধান সচিব, কৃষিপণ্য বিপণন দপ্তরের প্রধান সচিব, উদ্যান পালন দপ্তরের প্রধান সচিব, মৎস্য দপ্তরের প্রধান সচিব এবং প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন দপ্তরের প্রধান সচিবকে রাখা হয়েছে। এই কমিটি ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে রিপোর্ট পেশ করবে। তারপর কৃষিপণ্যের উপর রপ্তানি নীতি তৈরি করবে রাজ্য। এই নীতি প্রণয়নের জন্য নোডাল দপ্তর হিসেবে কাজ করবে কৃষি বিপণন দপ্তর।
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, এখন বিভিন্ন পণ্য আলাদা করে বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করা হয়। সব মিলিয়ে কত পরিমাণ বা কী কী পণ্য রপ্তানি হচ্ছে, সেই তথ্য সরকারের কাছে থাকলেও তা অগোছালো অবস্থায় রয়েছে। খানিকটা ব্যক্তিগত উদ্যোগে চাল, আলু, বিভিন্ন সব্জি রপ্তানি করা হয়। বিভিন্ন ব্যক্তি ও উদ্যোগী সংস্থা রপ্তানি করে থাকে। এবার গোটা বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করতে এই কৃষিপণ্য রপ্তানি নীতি তৈরি করছে রাজ্য সরকার। অবশ্য এবিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের একটি সুস্পষ্ট নীতি রয়েছে। সেই নীতির উপরে ভিত্তি করেই রপ্তানি হয়। এবার রাজ্য সরকার কেন্দ্রীয় রপ্তানি নীতির সঙ্গে সাযুজ্য রেখেই রপ্তানি নীতি তৈরি করবে। যার মাধ্যমে পুরোটাই একটি সিস্টেমের মধ্যে চলে আসবে। তাতে উপকৃত হবেন কৃষিপণ্যের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন সংস্থা ও ব্যক্তি।
তবে রপ্তানিজাত কৃষিপণ্যের গুণগত মান আরও উন্নত করতে চায় রাজ্য সরকার। নবান্নের এক শীর্ষস্থানীয় অফিসার বলেন, বিক্ষিপ্তভাবে বিভিন্ন জিনিস রপ্তানি হয়। বিদেশের বাজারে আমাদের রাজ্যের বেশ কিছু জিনিসের প্রবল চাহিদা রয়েছে। যে দেশে বাঙালির সংখ্যা বেশি, সেখানে এখানকার সব্জির চাহিদা বেশি। রপ্তানির ফলে রাজ্যের রাজস্ব আদায়ও বৃদ্ধি পেয়েছে। এই খাতে আয় বৃদ্ধি এবং রপ্তানিকে একটি সিস্টেমে বাঁধতেই রপ্তানি নীতি তৈরি করছে রাজ্য।