বিদ্যায় সাফল্য ও হতাশা দুই-ই বর্তমান। নতুন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠবে। মামলা-মোকদ্দমার কোনও পরিবেশ তৈরি ... বিশদ
বিকাশ ভবন সূত্রে খবর, ২০১৬-১৭ সালে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল। সেই বিজ্ঞপ্তিকে উদ্ধৃত করে গত বছর ২২ জুন একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। সেখানে বলা হয়, ২০১৬-১৭ সালে যে ফি সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি করা হয়েছিল, সেটিই ২০১৭-১৮ এবং ২০১৮-১৯ সালে অনুসরণ করা হবে। তার সঙ্গে ওই বিজ্ঞপ্তির ফি’র কাঠামোও তুলে ধরা হয়। কিন্তু এবছর এখনও পর্যন্ত নির্দিষ্ট করে এমন কোনও বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়নি। কেন তা করা হয়নি, তার কোনও ব্যাখ্যাও মেলেনি।
গতবারের যে বিজ্ঞপ্তি করা হয়েছিল, তাতে বলা হয়েছিল প্রথম বর্ষে ৮০ হাজার, দ্বিতীয় বর্ষে ৮২ হাজার, তৃতীয় বর্ষে ৮৪ হাজার, চতুর্থ বছরে ৮৬ হাজার টাকা নিতে পারবে কলেজগুলি। কোনও কলেজ যাতে এই বেঁধে দেওয়া ফি’র বাইরে টাকা না নেয়, সেই কথাও স্পষ্ট করে বলা হয়েছিল। ভর্তির শেষে প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে একটি রিপোর্টও পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে এই বছর সেই বিজ্ঞপ্তি জারি না হওয়ায় কিছুটা বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। কিছু কলেজ পুরনো বছরের ফি নিলেও, অনেকেই এই ব্যাপারে কোনও তথ্য দিতে চায়নি। শিক্ষামহলের মতে, কলেজগুলি এই সুযোগে বাড়তি ফি নিতে পারে।
সরকারি কলেজ কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ফি তেমন একটা বেশি নয়। উচ্চ শিক্ষা দপ্তর যে ফি বেঁধে দেয়, তা কেবলমাত্র প্রযোজ্য হয় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলির জন্য। বর্তমানে দ্বিতীয় দফার কাউন্সেলিং শুরু হচ্ছে। এক দফা হয়ে গিয়েছে। এখনও ফি নিয়ে কোনও বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ না হওয়ায় বিতর্ক দানা বেঁধেছে। এদিকে, জানা গিয়েছে ফি কাঠামো গঠন করার জন্য কমিটি তৈরি হয়েছে। শীঘ্রই বিজ্ঞপ্তি জারি হয়ে যাবে। কিন্তু এর মধ্যে যদি কোনও কলেজ বাড়তি ফি নিয়ে থাকে, তাহলে কী হবে? এক শিক্ষাকর্তা বললেন, এমনিতেই কত টাকা পর্যন্ত ফি নেওয়া যাবে, তার জন্য সরকারি ভাবে একটা নির্দেশ থাকেই। তার বাইরে গিয়ে কেউ অতিরিক্ত ফি নিলে, পরে তা ফেরত দিতে হতে পারে।