উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
এদিন সকাল ১০টার পর ঘণ্টাদুয়েক কাটতেই বোঝা যায়, তদন্তকারী সংস্থার জেরা এড়াচ্ছেন রাজীব কুমার। প্রাক্তন নগরপালের ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে রবিবারই ইঙ্গিত মিলেছিল, রবিবার দুপুরেই কলকাতা ছেড়েছেন দাপুটে এই আইপিএস। জানা যায়, তিনি উত্তরপ্রদেশে রয়েছেন। বেলা ১২টার কিছু সময় পর সিআইডির ইকনমিক অফেন্স উইংয়ের ইন্সপেক্টর অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় ও ডিএসপি মধুসূদন ঘোষ রাজীব কুমারের প্রতিনিধি হয়ে সিবিআইয়ের দপ্তরে এসে একটি চিঠি জমা দেন। জানা গিয়েছে, চিঠিতে রাজীব জানিয়েছেন, তাঁর সাতদিনের ছুটি শেষ হবে আগামী সপ্তাহে। আইনজীবী মহলের মতে, আসলে আইনি সুরক্ষা নিয়েই সিবিআই জেরার মুখোমুখি হতে চাইছেন রাজীব। সেই কারণে টালবাহানা করছেন। আইনজীবীদের একাংশের বক্তব্য, হাজিরা না দিয়ে বিপদ আরও বাড়াচ্ছেন এই আইপিএস। এমনকী তদন্তে সহযোগিতা করছেন না বলে আদালতকে জানাতে পারে সিবিআই। এতে রাজীবের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার সুযোগ এসে যাবে তাদের সামনে।
এদিকে, রাজীবের চিঠি পাওয়ার পর দিল্লিতে বৈঠকে বসেন তদন্তকারী দলের শীর্ষকর্তারা। সূত্রের খবর, তাঁরা আর সময় দিতে নারাজ। বিষয়টি খুব শীঘ্রই তাঁরা জানিয়ে দেবেন প্রাক্তন নগরপালকে। তবে ছুটির বিষয়টি নিয়ে গভীরে যেতে চাইছেন আধিকারিকরা। দেখতে চাইছেন কতদিন আগে এ জন্য আবেদন করেছিলেন তিনি। তাতে অনুমোদন দিয়েছিলেন কে। সেই কারণেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছ থেকে এই বিষয়ে তথ্য চাওয়া হয়েছে। জানতে চাওয়া হয়েছে, তিনি মন্ত্রক থেকে রিলিজ অর্ডার নিয়েছেন কি না। পাশাপাশি হঠাৎ করে ব্যক্তিগত কাজে তাঁকে উত্তরপ্রদেশে যেতে হয়েছে, না আগে থেকেই ঠিক করে রেখেছিলেন, তা নিয়েও চলছে খোঁজখবর।
তবে রাজীব কুমারের হাজিরা না দেওয়ার বিষয়টি হালকাভাবে নিচ্ছে না সিবিআই। তাঁর বিরুদ্ধে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া যায়, তা নিয়ে আইনজীবীদের সঙ্গে আলোচনা করে তারা। আদালতে গোটা বিষয়টি তুলে ধরা হবে। যাতে তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে কোনও প্রশ্ন উঠতে না পারে। সর্বোচ্চ পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে বলেও ইঙ্গিত মিলেছে। সিবিআইয়ের এক কর্তার কথায়, গ্রেপ্তারি থেকে শুরু করে পলাতক দেখানোর মতো একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণের রাস্তা রয়েছে। তবে তাঁরা তাড়াহুড়ো করতে চান না। রাজীব কী করছেন, তার উপরই সতর্ক নজর রয়েছে তাঁদের। এদিকে, রাজীবের তরফে এদিন বারাসত আদালতে আগাম জামিনের আবেদন করা হয়। কিন্তু আইনজীবীর মৃত্যুর কারণে শুনানি হয়নি।