উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
জেলাগুলির মধ্যে পাশের হারে শীর্ষে পূর্ব মেদিনীপুর (৯৪.১৯ শতাংশ)। দ্বিতীয় স্থানে কলকাতা (৯১.৪১ শতাংশ)। তবে, মেধা তালিকায় তাক লাগিয়ে দিয়েছে হুগলি। শুধু এই জেলা থেকেই রয়েছেন ১৭ জন কৃতী। এক্ষেত্রেও দ্বিতীয় স্থানে কলকাতা (১৬ জন)। মাধ্যমিকে কলকাতার পারফরম্যান্স বেশ কয়েক বছর ধরেই আশাব্যাঞ্জক হচ্ছে না। সেই আক্ষেপ পুষিয়ে দিয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক। এবার কলকাতার ফল দুর্দান্ত বললেও কম বলা হয়। গতবার কলকাতা থেকে মেধা তালিকায় ছিলেন ন’জন পরীক্ষার্থী। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হয়েছেন আরও সাতজন। কলকাতা এবার নিজের পারফরম্যান্সকেই ছাপিয়ে গিয়েছে। মাধ্যমিকের তুলনায় অনেক ভালো ফল করেছে সরকারি স্কুলগুলিও। প্রথম স্থানাধিকারী শোভন মণ্ডল সহ তালিকার মোট ২৪ জন ছাত্রছাত্রী সরকারি স্কুলকে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। মাধ্যমিকে এই সংখ্যা ছিল মাত্র তিন। শুধু তাই নয়, মেধা তালিকায় কিছুটা মাঝামাঝি বা নীচের দিকেই ছিলেন সেই পড়ুয়ারা।
এবছর মোট ৭ লক্ষ ১৯ হাজার ৪০১ জন (রেগুলার) ছাত্রছাত্রী পরীক্ষায় বসেছিলেন। উচ্চ মাধ্যমিকের ধারা মেনে এবারও পাশের হারে ছাত্রদের টপকে যেতে পারেননি ছাত্রীরা। ছেলেদের পাশের হার যেখানে ৮৭.৪৪ শতাংশ, সেখানে ৮৫.৩০ শতাংশ ছাত্রী পাশ করেছেন। এবার ৭০ শতাংশ থেকে ৯৯.৬ শতাংশ নম্বর পাওয়া ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা গতবারের তুলনায় অনেকটাই বেড়েছে। একইসঙ্গে কমেছে ৩০ থেকে ৬৯ শতাংশ নম্বর পাওয়া পরীক্ষার্থীর সংখ্যা। ট্যুইট করে সফল পরীক্ষার্থী এবং কৃতীদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রেস বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠিও। তবে, যাঁরা সফল হলেন না, তাঁদের হতাশ না হয়ে নতুন উদ্যমে ঝাঁপানোর পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
প্রথম স্থানাধিকারী শোভন মণ্ডল জানিয়েছেন, তিনি একজন সৎ চিকিৎসক হতে চান। সোশ্যাল মিডিয়ার সঙ্গে প্রত্যক্ষ যোগাযোগ তো দূরের কথা, তাঁর কোনও মোবাইল ফোনই ছিল না। এটা তাঁর সাফল্যকে ত্বরাণ্বিত করেছে বলে পরিবারের ধারণা। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন ছ’জন। মেয়েদের মধ্যে প্রথম এবং সার্বিকভাবে রাজ্যের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন বিধাননগর গভর্নমেন্ট স্কুলের সংযুক্তা বসু। আর তৃতীয় হয়েছেন চারজন। কলা বিভাগেও বেশ ভালো নম্বর উঠেছে। কলা বিভাগে প্রথম এবং সার্বিকভাবে চতুর্থ স্থান পাওয়া বীরভূমের সাঁইথিয়া টাউন হাইস্কুলের ছাত্র রাকেশ দে ৪৯২ অর্থাৎ ৯৮.৪ শতাংশ নম্বর পেয়েছেন। শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে সার্বিকভাবে মেধা তালিকায় দশম স্থানে রয়েছেন বর্ধমান মিউনিসিপ্যাল স্কুলের ছাত্র সাগর চন্দ (৪৮৬)। বাণিজ্যে প্রথম এবং সার্বিকভাবে দশম স্থান পেয়েছেন কমল সাউ এবং কোমল সিং। ঘটনাচক্রে দু’জনেই অবাঙালি। এদিন পরের বছরের উচ্চ মাধ্যমিকের রুটিন প্রকাশ করেনি সংসদ। এর কারণ হিসেবে মাধ্যমিকের রুটিন প্রকাশ না করাকেই তুলে ধরেছে তারা। তবে, উচ্চ মাধ্যমিকের পর কোন বিষয় নিয়ে পড়লে কোন কেরিয়ার ছাত্রছাত্রীরা বেছে নিতে পারবেন, সে ব্যাপারে একটি রূপরেখা প্রকাশ করেছে সংসদ। সংসদের নিজস্ব ওয়েবসাইটেই সেটা তুলে দেওয়া হয়েছে।