উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
সোমবার ফল প্রকাশের পর এই ছাত্রের নাম ঘোষণা হতেই উল্লাসে ফেটে পড়েন স্কুলের পড়ুয়ারা। তাদের স্কুল মেধা তালিকায় অন্যতম শীর্ষস্থান দখল করেছে, এই আনন্দে মাতোয়ারা হয়ে ওঠে তারা। রেজাল্ট হাতে পাওয়ার পর দেখা যায়, মাসুম বাংলাতে ১০০, ইংরেজিতে ৯৫, রসায়নে ১০০, অঙ্কে ১০০, পদার্থবিদ্যায় ৯৭ এবং বায়োলজিক্যাল সায়েন্সে ৯৯ পেয়েছেন।
স্কুলের শিক্ষকরা জানালেন, মাসুম ২০১৭ সালে ৬৮৭ নম্বর পেয়ে মাধ্যমিকে চতুর্থ হন। একাধিক বিষয়ে লেটার ছিল তাঁর। তারপর থেকেই বরাবর ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন তিনি। এদিন যখন ফল বেরিয়েছে, তখন তিনি সল্টলেকে জয়েন্ট পরীক্ষা দিচ্ছিলেন। পরে তিনি বলেন, আমি আমার স্কুলের, বাবা-মায়ের নাম রাখতে পেরেছি বলেই খুব খুশি। পড়াশোনা করতাম। কিন্তু অন্যান্য বিষয়গুলির উপরেও নজর রাখতাম। মাধ্যমিকের পর থেকেই একটা জেদ চেপে গিয়েছিল। সেই জেদেই সাফল্য পেলাম।
তাঁর বাবা মহম্মদ সইদুল ইসলাম কাকদ্বীপ মহকুমা অফিসের নাজির। মা রামকৃষ্ণ হাইস্কুলের বাংলার পার্শ্বশিক্ষক। অতীতে কুলপির বাসিন্দা হলেও এখন কাকদ্বীপে তাঁরা থাকেন। এদিন এই খবর পেয়েই সুন্দরবন উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী মন্টুরাম পাখিরা মাসুমের খোঁজ নেন। তাঁর পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন। কাকদ্বীপ আদর্শ বিদ্যামন্দিরের প্রধান শিক্ষক শ্যামসুন্দর জানা বলেন, আমাদের আশা ছিল মাসুম এক থেকে দশের ভিতর থাকবে। কারণ মাধ্যমিকে চতুর্থ হয়েছিল। এবার স্কুলের টেস্ট পরীক্ষাতেও ৪৭০ নম্বর পায়। যা আমাদের বিদ্যালয়ে গত কয়েকবছর কেউ পায়নি। সেই নম্বর দেখে আরও নিশ্চিত হই এবার ভাল ফল করবে। সেটাই সত্যিই হল। প্রধান শিক্ষক এও বলেন, মাসুম খুব ভাল ছেলে। একেবারে অন্তর্মুখী। ক্লাসে খুব বেশি কথা বলে না। জানতে চাইলে তখন কথা বলে। কোন অহঙ্কার নেই। সহজ সরল একেবারে মিষ্টি ছেলে। যা সচরাচর দেখা যায় না। এক সময় নাটক করত। কুইজে অংশ নিয়েছে। অনেক পুরস্কারও পেয়েছে। কিন্তু সেই আবেগে ও ভেসে যায়নি।