উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
মৃন্ময়ের প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৪। তিনি ৯৮.৮ শতাংশ নম্বর পেয়েছেন। বাবা তাপস মণ্ডল মালয়েশিয়ায় একটি কোম্পানিতে ইলেকট্রিক মিস্ত্রির কাজ করেন। গোবরডাঙায় ভাড়াবাড়িতে থাকেন মৃন্ময় ও তাঁর মা লিপিকা মণ্ডল। লিপিকাদেবী সেখানেই সেলাই মেশিন বসিয়ে সেলাইয়ের কাজ করেন। মৃন্ময় তাঁদের একমাত্র সন্তান। এদিন টিভিতে ফলাফল প্রকাশের সময় তৃতীয় স্থানে মৃন্ময়ের নাম ঘোষণা আনন্দের জলে দু’চোখ ভরে উঠে লিপিকাদেবীর। মৃন্ময় বলেন, তৃতীয় হতে পেরে খুবই ভাল লাগছে। আমি একজন চিকিৎসক হতে চাই। মা লিপিকাদেবী বলেন, ভাল ফল করবে এটা প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু, রাজ্যের মধ্যে তৃতীয় স্থান পাবে এটা ভাবিনি। অনেক কষ্ট করেই সংসার চালাই। তবে, মৃন্ময়ের কোনও অভাব রাখিনি। ও ডাক্তারি নিয়ে পড়তে চায়। যত কষ্টই হোক ছেলেকে পড়াব।
বরানগর নরেন্দ্রনাথ বিদ্যামন্দিরের ছাত্র স্বর্ণজিৎ পোদ্দার ৪৯০ নম্বর পেয়ে রাজ্যে ষষ্ঠ স্থান দখল করেছেন। তিনি ৯৮.০ শতাংশ নম্বর পেয়েছেন। ওই স্কুলেরই দীপপ্রকাশ বসু ৪৮৬ নম্বর পেয়ে রাজ্যে দশম স্থান অর্জন করেছেন। তিনি ৯৭.২ শতাংশ নম্বর পেয়েছেন। দীপপ্রকাশ বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। বাবা ভাস্কর বসু ব্যবসায়ী। মা সুপ্রিয়া বসু গৃহবধূ। দীপপ্রকাশ বলেন, খুবই ভাল লাগছে। প্রথম ১০-এ থাকব এই প্রত্যাশা একটা ছিল। আমি ডাক্তারি নিয়ে পড়াশোনা করতে চাই। বারাসত মহাত্মা গান্ধী মেমোরিয়াল হাইস্কুলের ছাত্র ঋষিত ঘোষ ৪৮৮ নম্বর পেয়ে রাজ্যের অষ্টম স্থান দখল করেছেন। তিনি ৯৭.৬ শতাংশ নম্বর পেয়েছেন। তাঁর বাবা আনন্দ ঘোষ ব্যবসায়ী। মা পিয়ালি ঘোষ গৃহবধূ। ঋষিত জানিয়েছেন, তিনিও চিকিৎসক হতে চান।
কল্যাণী ইউনিভার্সিটি এক্সপেরিমেন্টাল হাইস্কুলের ছাত্র অয়ন চক্রবর্তী ৪৮৮ নম্বর পেয়ে রাজ্যের অষ্টম স্থান দখল করেছেন। তিনি ৯৭.৬ শতাংশ নম্বর পেয়েছেন। বাবা উদয়শংকর চক্রবর্তী ব্যবসা করেন। মা সোমাদেবী গৃহবধূ। অয়ন তাঁদের একমাত্র সন্তান। বাবা উদয়শংকরবাবু বলেন, টিভি দেখেই প্রথম জানতে পারি। খুবই ভাল লাগছে। অয়ন মেডিক্যাল নিয়েই পড়াশোনা করতে চায়। কল্যাণী স্প্রিংডেল হাইস্কুলের ছাত্র মানসপ্রতিম বিশ্বাস ৪৮৭ নম্বর পেয়ে রাজ্যের নবম স্থান দখল করেছেন। তিনি ৯৭.৪ শতাংশ নম্বর পেয়েছেন। বাবা মানবেন্দ্র বিশ্বাস রেলের অ্যাকাউন্টস বিভাগে চাকরি করেন। মা পিকু বিশ্বাস গৃহবধূ। তাঁদের এক ছেলে, এক মেয়ে। মানসপ্রতিম ছোট। বড় মেয়ে মৌমিতা বিশ্বাস হাইস্কুলের শিক্ষিকা। গত সেপ্টেম্বর মাসেই তিনি চাকরি পেয়েছেন। বাবা মানবেন্দ্র বিশ্বাস বলেন, ফলাফল শুনে খুবই ভাল লাগছে। মানসপ্রতিম পদার্থবিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করতে চায়। ওর ইচ্ছে, ভবিষ্যতে ফিজিক্সের উপরেই গষেবণা করবে।