পারিবারিক ক্ষেত্রে কলহের আশঙ্কা। ঠান্ডা মাথায় চলুন। বিজ্ঞানী, ব্যবসায়ী, সাহিত্যিকদের শুভ সময়। ... বিশদ
কলকাতা পুলিসের ফেটাল স্কোয়াড সূত্রে খবর, দু’টি দুর্ঘটনার ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে, বাইকের বিপজ্জনক গতিই এর কারণ। তার জেরে গতি নিয়ন্ত্রণের দিকে নজর দিচ্ছে কলকাতা পুলিস। ট্রাফিক বিভাগ জানিয়েছে, কলকাতা পুলিসের অন্তর্গত ইএম বাইপাসে মোট ছ’টি স্পিড সেন্সিং ক্যামেরা রয়েছে। ৬০ কিমির বেশি গতিবেগ হলেই স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে জরিমানা করা হয়। এই দুই দুর্ঘটনার পর বাইপাসে স্পিড সেন্সিং ক্যামেরার সংখ্যা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। কলকাতা পুলিসের ট্রাফিক বিভাগের ডেপুটি কমিশনার (সাউথ) অমিতকুমার সাউ বলেন, লালবাজারে এই মর্মে একটি প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। তা সরকারিভাবে অনুমোদিত হলেই বাইপাসের দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকাগুলিতে উন্নত প্রযুক্তির ক্যামেরার সংখ্যা বাড়ানো হবে।
ট্রাফিক বিভাগের এক আধিকারিকের কথায়, ইএম বাইপাস যে সব ট্রাফিক গার্ডের এলাকাভুক্ত, তাদের স্পষ্ট নির্দেশ পাঠানো হয়েছে। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, রাত ১০টা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত স্পেশাল রেইড চালাতে হবে। কোথাও কোনও চালককে বিপজ্জনক গতিতে বাইক, গাড়ি চালাতে দেখলেই জরিমানা করা হবে। শুধু তাই নয়, রাতের শহরে হেলমেটহীন বাইকচালকরা জয়রাইডে মেতে ওঠেন। সেকথা মাথায় রেখে বাইপাস জুড়ে সারপ্রাইজড নাকা চেকিং চালাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
একইসঙ্গে, রাতের বাইপাসে সব জায়গায় দৃশ্যমানতা সমান নয়। সেকারণে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে চিঠি দিয়েছে ট্রাফিক বিভাগ। ট্রাফিকের ওই আধিকারিক জানিয়েছেন, বাঘাযতীন ফ্লাইওভারের উপর যেখানে দুর্ঘটনা ঘটেছে, সেই এলাকাটি অন্ধকার। তাই রাতে দৃশ্যমানতা বাড়াতে ফ্লাইওভারের রেলিং বরাবর লাগানো হচ্ছে রেট্রো রিফ্লেক্টিভ টেপ। রাতের বেলা গাড়ির আলো পড়লেই জ্বলজ্বল করবে সেই ফিতে।