পারিবারিক ক্ষেত্রে কলহের আশঙ্কা। ঠান্ডা মাথায় চলুন। বিজ্ঞানী, ব্যবসায়ী, সাহিত্যিকদের শুভ সময়। ... বিশদ
ব্রিটিশ অ্যাকাডেমি অব সাউন্ড থেরাপি একটি সমীক্ষা সামনে এনেছে সম্প্রতি। সাড়ে সাত হাজার মানুষকে নিয়ে সেটি করা হয়েছে। সমীক্ষায় দাবি, ৮৯ শতাংশ মানুষ বলেছেন, ‘তাঁরা গানবাজনাকে ওষুধ হিসেবে গ্রহণ করছেন এবং ভালোও আছেন।’ যদি খুব ধীর লয়ে কোনও গান বাজতে থাকে এবং সেই গানে কোনও আলাদা লিরিক না থাকে ও সুরে কোনও জটিলতা না থাকে তাহলে তা মানুষকে আরাম দিতে শুরু করে ১৩ মিনিটের মধ্যে। অনেকে শুনে জানিয়েছেন, পেশির যন্ত্রণার উপশম হয়েছে। নেতিবাচক চিন্তা দূর হয়েছে। মন একটু একটু করে প্রফুল্ল হয়ে উঠেছিল। তাঁরা মনে করছেন, আরও ভালো ঘুম হবে। সমীক্ষায় বলা হয়েছে, এর পাশাপাশি যদি কোনও গানের সুন্দর এবং সদর্থক লিরিক বা কথা থাকে এবং তাতে সুললিত ছন্দ থাকে এবং দ্রুত লয়ে চলতে থাকে, তাহলে ন’মিনিটের মাথায় মানসিক শক্তি দৃঢ় হতে থাকে মানুষের। তাঁরা মানসিকভাবে চাঙ্গা অনুভব করেন। এমন গান শুনে ৮৯ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন, ‘তাঁদের ‘এনার্জি লেভেল’ বেড়ে গিয়েছিল। ৬৫ শতাংশের ক্ষেত্রে হাসির মাত্রা বেড়ে গিয়েছে এবং সফলভাবে আত্মনিয়ন্ত্রণও করতে পেরেছেন। যদি কোনও গানে ভালো কথা থাকে, তাহলে ১৩ মিনিটের মাথায় মনখারাপও দূরে সরতে শুরু করে।
বিশিষ্ট অস্থিরোগ বিশেষজ্ঞ ও মিউজিক থেরাপিস্ট ডাঃ সুমন্ত ঠাকুরের কথায়, রোগীকে ওষুধ দিয়ে ব্যথা কমানোয় কোনও বাহাদুরি নেই। চিকিৎসকরা সেটাই করে থাকেন। কিন্তু আমি এবং আমার টিম দীর্ঘ বছরের অভিজ্ঞতায় দেখেছি, গানবাজনা মানুষকে অনেক বেশি আরাম দেয়। সঙ্গীতের মাধ্যমে রোগীর মানসিকতাকে যন্ত্রণা থেকে দূরে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়। শুধু গান শুনিয়েই রোগীর সব ব্যথার উপশম সম্ভব নয়। কিন্তু ওষুধ ও সঙ্গীতের ‘ব্যালান্স’ রোগীকে অনেক ভালো রাখে। আমরা অপারেশন থিয়েটারে মিউজিক থেরাপি দিয়ে থাকি। অপারেশনের পরও তার ধকল কাটাতে আমাদের টিম গানবাজনা করে। তাতে রোগীরাও অংশ নেন। আমরা আশ্চর্য হয়ে যাই তাঁদের শান্ত থাকতে দেখে। বিশ্বসঙ্গীত দিবসে যতটা সম্ভব গানবাজনা দিয়েই সেবা করব রোগীদের। তার জন্য তৈরি রয়েছে টিম।