শারীরিক কারণে কর্মে বাধা দেখা দেবে। সন্তানরা আপনার কথা মেনে না চলায় মন ভারাক্রান্ত হবে। ... বিশদ
করোনার কারণে এবার এই জেলায় বুথের সংখ্যা সাড়ে আট হাজার থেকে বেড়ে ১১ হাজারের উপর হয়েছে। ফলে অতিরিক্ত ভোটকর্মীর প্রয়োজন। এই বাড়তি ভোটকর্মী জোগাড় করতে গিয়ে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়েছে জেলার কর্তাদের। এদিকে, যখন ভোটের কাজের জন্য পোলিং পার্সোনেল কিংবা প্রিসাডিং অফিসারদের প্রশিক্ষণ শুরু হল, তখন দেখা গেল, প্রায় সিংহভাগ কেন্দ্রেই ১০০ শতাংশ হাজিরা নেই। কোথাও ৮০ শতাংশ, কোথাও আবার ৯০ শতাংশ ভোটকর্মী প্রশিক্ষণ নিতে এসেছেন। আবার এমনও কেন্দ্র রয়েছে, যেখানে হাজিরার হার ছিল ৬০ শতাংশ। অনুপস্থিতের হারে পুরুষ কর্মীরাই বেশি বলে জানা গিয়েছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় চার হাজার পুরুষ ভোটকর্মীকে শো-কজের চিঠি পাঠানো হচ্ছে। পরিসংখ্যান বলছে, তার মধ্যে সাড়ে তিন হাজার ভোটকর্মী প্রথম দফার প্রশিক্ষণ নিতে যাননি। আর দ্বিতীয় দফার প্রশিক্ষণ পর্বে যাননি ২২০০’র মতো ভোটকর্মী। এর মধ্যে দু’দিনই প্রশিক্ষণ নিতে যাননি, এমন কর্মীও আছেন। সে সব বাদ দিলে এই সংখ্যা চার হাজারে দাঁড়াচ্ছে। এদিকে, মহিলা ভোটকর্মীদের মধ্যে প্রথম ধাপের প্রশিক্ষণে গরহাজির ছিলেন ৬৮৫ জন। দ্বিতীয় ধাপে যাননি, ৪৫৮ জন। দু’টি মিলিয়ে হাজারের বেশি হলেও, দু’দিনই প্রশিক্ষণ নিতে যাননি, সেই সংখ্যক কর্মীকেও এর মধ্যে ধরা হয়েছে। সব কাটছাঁট করে ৭০০-৮০০ জন মহিলা ভোটকর্মী শেষ পর্যন্ত শো-কজের চিঠি পেতে চলেছেন বলে জানা গিয়েছে।
কোন ক্ষেত্রের কর্মীদের মধ্যে অনুপস্থিতির হার বেশি? প্রশিক্ষকদের বক্তব্য, কোথাও শিক্ষকদের হাজিরা কম, কোথাও আবার সরকারি অফিসের কর্মীরা প্রশিক্ষণ নিতে আসেননি। তবে জেলার রিপোর্ট বলছে, পূর্ব রেলের কর্মীদের অনুপস্থিতি অন্যান্যদের তুলনায় কিছুটা বেশি ছিল। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, যেসব ভোটকর্মী প্রশিক্ষণ নিতে যাননি, তাঁদের আরও একটা সুযোগ দেওয়া হবে। চিঠিতে বলা হয়েছে, বড়সড় শাস্তির মুখে পড়তে না হলে, মপ-আপ প্রশিক্ষণে আসতে হবে। তাতেও যদি কেউ না আসেন, তখন নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অনুসারে সাসপেন্ড করা হতে পারে সংশ্লিষ্ট কর্মীকে। আগামী সপ্তাহে এই মপ-আপ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে চলেছে প্রশাসন। এদিকে, যাঁরা প্রশিক্ষণ নিয়েছেন, সেই সংখ্যা বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, এই জেলায় মোট ভোটকর্মীর সংখ্যা ৫৭ হাজার থেকে ৫০ হাজারের নীচে নেমে এসেছে। তার উপর একাংশ ভোটকর্মীকে নানা সুপারিশের কারণে ভোটের দায়িত্ব থেকে বাদ দিতে হয়েছে। শেষ পর্যন্ত তিন দফায় ভোট করাতে গিয়ে লোকবলের সঙ্কট হবে না তো, চিন্তায় রয়েছে প্রশাসন।