শারীরিক কারণে কর্মে বাধা দেখা দেবে। সন্তানরা আপনার কথা মেনে না চলায় মন ভারাক্রান্ত হবে। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নাগরিকত্ব ইস্যুই মূল সমস্যা মতুয়াদের। এই ইস্যুকে হাতিয়ার করে এক সময়ে তৃণমূল এই সমাজের মধ্যে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করেছিল। গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি নাগরিকত্বে আশ্বাস দিয়ে বনগাঁ আসনটি ছিনিয়ে নেয় তৃণমূলের কাছ থেকে। কিন্তু তারা এখন এনিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে। খোদ অমিত শাহের মুখ থেকে ভোটের আগে নাগরিকত্ব পাওয়া যাবে না জেনে হতাশ হয়েছে মতুয়া সমাজের বড় অংশ। এই হতাশার মধ্যেই তৃণমূলের প্রার্থী ঘোষণার পর দলের মধ্যে ক্ষোভবিক্ষোভ মাথাচাড়া দিয়েছে।
এদিন ধ্যানেশনারায়ণ গুহ বলেন, আমি ২০০২ সাল থেকে তৃণমূল করছি। দল এতদিন যা দায়িত্ব দিয়েছে, তা পালন করেছি। কিন্তু এখন দেখছি, আমার দলও মতুয়াদের মধ্যে বিভাজনের নীতি নিয়েছে। তাই আমি দলত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। গাইঘাটায় যাঁকে প্রার্থী করা হয়েছে, তাঁর বিরুদ্ধে দুষ্কৃতীমূলক কাজকর্মের অভিযোগ রয়েছে। তিনি সোনা প্রতারণার অভিযোগে অভিযুক্ত। ধ্যানেশবাবু বলেন, নাগরিকত্ব ইস্যু নিয়ে মতুয়াদের ভুল বোঝাচ্ছে আমার দল। মমতাবালা ঠাকুরকেও প্রার্থী না করে তাঁর সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। এদিন ওই সাংবাদিক সম্মেলনে জেলা পরিষদের সদস্য সুভাষ রায়ও দল ছাড়ার কথা ঘোষণা করেন। কিন্তু বিকেলের মধ্যেই অবস্থান বদল করে তিনি জানিয়ে দেন, দলনেত্রীর প্রতি তাঁর আস্থা রয়েছে। ফলে এখনই দল ছাড়ছেন না। ধ্যানেশবাবুর বক্তব্য প্রসঙ্গে মমতাবালা ঠাকুর বলেন, এটা ওনার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। এ নিয়ে আমি কিছু বলব না। যে যা রাজনীতি করুন না কেন, ঠাকুরবাড়িতে বিভাজন না থাকাই ভালো।
মমতাদেবী ক্ষোভের প্রসঙ্গে বলেন, স্বরূপনগরের ভক্তরা আমাকে প্রার্থী হিসেবে দেখতে চেয়েছিলেন। দলকে সেকথা জানিয়েছিলাম। আমাকে টিকিট না দিয়ে মতুয়া ভক্তদের কাউকেও তো প্রার্থী করতে পারত? মতুয়াদের প্রার্থী না করায় আমি ক্ষুব্ধ। তবে আমি দল ছাড়ছি না। গাইঘাটার তৃণমূল প্রার্থী নরোত্তম বিশ্বাস বলেন, আমি দুষ্কৃতী কি না, সেটা গাইঘাটার মানুষ বিচার করবেন। আমি এদিন ধ্যানেশবাবুকে প্রণাম করতে গিয়েছিলাম। আমি ওনাকে ‘দাদা’ হিসেবেই মানি।
সোনা প্রতারণার প্রসঙ্গে বলেন, আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। দলের জেলা সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, ধ্যানেশবাবুকে পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ করা হয়েছে। ওনার স্ত্রী পঞ্চায়েত প্রধান। উনি বিধানসভা ভোটে টিকিট পাননি বলে কুৎসা করছেন। মানুষই সব কিছু বিচার করবে। মমতাবালা ঠাকুর প্রসঙ্গে জ্যোতিপ্রিয়বাবু বলেন, ওনাকে সামনে রেখেই আমরা ভোট লড়ছি। তবে ধ্যানেশবাবুরা চলে গেলে দলের কোনও ক্ষতি হবে না।