শারীরিক কারণে কর্মে বাধা দেখা দেবে। সন্তানরা আপনার কথা মেনে না চলায় মন ভারাক্রান্ত হবে। ... বিশদ
করোনা মহামারী ঠেকাতে টানা লকডাউন। প্রায় আড়াই মাস সারা দেশের সঙ্গে নিশ্চল ছিল নিউটাউন। নিউ নর্মালে ধীরে ধীরে অফিস-কাছারি খোলে। বাড়ি বাড়ি পরিচারিকাদের যাতায়াত স্বাভাবিক হয়। কিন্তু গণপরিবহণ ব্যবহারে ঝুঁকি নিচ্ছিলেন না কেউই। তখন থেকেই মহিলাদের সাইকেল সফরে জোর দেয় হিডকো। পাশাপাশি পরিবেশে দূষণের মাত্রা কমানোও ছিল তাদের মূল লক্ষ্য। এর জন্য শুরু হয় প্রশিক্ষণ। প্রতি রবিবার সাইকেল চালানোর পাঠ নিতেন নিউটাউনের বিভিন্ন এলাকার মহিলারা। এখনও নিচ্ছেন। এখানেই শেষ নয়, তৈরি করা হয় পৃথক সাইকেল ট্র্যাকও। এখন পর্যন্ত ১৭ কিলোমিটার ট্র্যাক তৈরি হয়েছে। ভবিষ্যতে যুক্ত হবে আরও ১৭ কিলোমিটার। অর্থাৎ মোট ৩৪ কিলোমিটার সাইকেল ট্র্যাক তৈরি হবে নিউটাউনে। ট্র্যাকজুড়ে থাকবে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) প্রযুক্তি। তাকে কাজে লাগিয়ে নজর রাখা যাবে সাইকেলের গতিবিধি উপর। এ নিয়ে সম্প্রতি হিডকো, এনকেডিএ, বিধাননগর পুলিসের ট্রাফিক বিভাগের একটি যৌথ বৈঠক হয়। সেখানে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয় বলে জানা গিয়েছে। সাইকেল ব্যবহারে মহিলাদের অত্যুৎসাহ দেখে এই পরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়নও চায় হিডকো। খুব শীঘ্রই অ্যাপ নির্ভর সাইকেল পরিষেবাও চালু হবে নিউটাউনে। হিডকোর চেয়ারম্যান দেবাশিস সেন জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই অ্যাপ নির্ভর সাইকেলে ১২ হাজারেরও বেশি মানুষ রেজিস্ট্রেশন করেছেন। গত ছয় মাসে মহিলারা প্রায় দ্বিগুণ সংখ্যায় সাইকেল ব্যবহারে উৎসাহ দেখিয়েছেন।
এদিন প্রতিযোগিতায় মহিলাদের অংশগ্রহণও সেটাই প্রমাণ করছে। নিউটাউন বিজনেস ক্লাবে প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন দেবাশিসবাবু। প্রতিযোগিতায় ৩০ জনেরও বেশি মহিলা অংশগ্রহণ করেন। অ্যাকশন এরিয়া ১ এর বিজনেস ক্লাব থেকে শুরু করে নিউটাউন ইকো-আরবান ভিলেজ পর্যন্ত মোট পাঁচ কিমি সাইকেল-রাইডে অংশ নেন মহিলারা। সমীক্ষা থেকে জানা গিয়েছে, নিউটাউনে ‘প্রিমিয়াম’ অর্থাৎ উন্নত মানের সাইকেল বিক্রির হার বেড়েছে প্রায় ৭০ শতাংশের কাছাকাছি। সাধারণ সাইকেলের বিক্রি বেড়েছে ৩৫-৪০ শতাংশের কাছাকাছি।
নিউটাউনে মহিলাদের সাইকেল প্রতিযোগিতা।