প্রণয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকবে। কারও কথায় মর্মাহত হতে হবে। ব্যবসায় শুরু করা যেতে পারে। কর্মে সুনাম ... বিশদ
কল্যাণী মহকুমার জনজীবন এখনও বিপর্যস্ত হয়ে আছে। মূলত বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে না শহর বা গ্রামীণ এলাকা। কবে বিদ্যুৎ সংযোগ আসবে তার স্পষ্ট বলতে পারছেন না বিদ্যুৎ বিভাগের আধিকারিকরা। কল্যাণী শহরে উম-পুনের তাণ্ডব চলেছে বেশি। ৪৫০টি গাছ ভেঙে পড়েছে। ফলে লণ্ডভণ্ড হয়ে আছে গোটা শহর। বিদ্যুৎ এবং পানীয় জলের দাবিতে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে গত দু’দিন ধরে দফায় দফায় বিক্ষোভ চলছে। কল্যাণী শহরে রবিবার পর্যন্ত ৬০শতাংশ এলাকায় বিদ্যুৎ এসেছে। বাকি শহর এখনও অন্ধকারে। চাকদহ, গয়েশপুর ও হরিণঘাটা শহরেও একই চিত্র।
কল্যাণী মহকুমার গ্রামীণ এলাকায় মাত্র ৪০শতাংশ এলাকায় বিদ্যুৎ এসেছে। ফলে পানীয় জলের হাহাকার চলছে। বাসিন্দারা জানান, বাধ্য হয়ে নলকূপ ও কুয়োর জলই পান করতে হচ্ছে। জল নিতে দীর্ঘ লাইন পড়ছে। পরিস্রুত পানীয় জলের ২০ লিটারের জার পাওয়া যাচ্ছে না। কারণ বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় বেসরকারি সংস্থাগুলি ভূগর্ভস্থ জল তুলে পরিস্রুত করতে পারছে না। বাসিন্দারা বলেন, রাতে মোমবাতিই ভরসা। আবার দোকানে চাহিদামতো মোমবাতিও মিলছে না। মোবাইলে চার্জ নেই। নেটওয়ার্কের সমস্যা। কারও সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মতো বসবাস করছি।
এই মহকুমার শহরগুলিতে অনেকেই লকডাউনে বাড়িতে বসে কাজ করছেন। বিদ্যুতের অভাবে তাঁদের কাজকর্ম লাটে উঠেছে। এব্যাপারে বিদ্যুৎ বণ্টন দপ্তরের নদীয়ার জেনারেল ম্যানেজার রমেশ মধুকে ফোন করলে তিনি ধরেননি। তবে বিদ্যুৎ বিভাগের আধিকারিকরা জানান, দপ্তরের কর্মীরা যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করছেন। দ্রুত সর্বত্র বিদ্যুৎ পরিষেবা পৌঁছে যাবে।