ব্যবসাসূত্রে উপার্জন বৃদ্ধি। বিদ্যায় মানসিক চঞ্চলতা বাধার কারণ হতে পারে। গুরুজনদের শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন থাকা ... বিশদ
বনদপ্তরের সূত্রের আরও দাবি, গত ছ’মাস ধরেই তারা অভিযুক্তদের সন্ধানে ছিল। ছ’মাস আগেও মূল অভিযুক্ত অনিন্দ্য মুখোপাধ্যায় এয়ারপোর্টের কাছে একটি হোটেলে বাঘের চামড়াটি বিক্রির চেষ্টা করেছিল। সেই সময় অল্পের জন্য বনদপ্তরের হাত ফস্কে চলে যায় অভিযুক্ত। এবার ফের সেই বাঘের চামড়াটিকে বিক্রির চেষ্টা করছিল অনিন্দ্য। ধৃত বাকি দু’জন মূলত অনিন্দ্যর হয়ে গ্রাহক খুঁজে আনার কাজ করত। বৃহস্পতিবারও কোনও গ্রাহকের পরামর্শে তারক এবং ইব্রাহিম বাঘের চামড়া নিয়ে ওই হোটেলে উঠেছিল। সেখানে বনদপ্তরের যৌথ দল যখন হানা দেয়, তারক এবং ইব্রাহিম সেই সময় চামড়াটি মাপজোক করছিল। তদন্তে নেমে বনদপ্তর জানতে পারে, ওই দু’জন এদিন সকালেই হোটেলে এসেছে। কিন্তু, মূল অভিযুক্ত আসেনি। সে হোটেলের বাইরেই গাড়িতে সারাদিন ছিল। যদিও বনদপ্তরের আধিকারিকদের ঢুকতে দেখে সে চম্পট দেয়। এরপরে ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে মূল অভিযুক্তর কলকাতার ডেরার হদিশ পায় বনদপ্তর। সঙ্গে সঙ্গে বনদপ্তরের একটি দল সেখানে হানা দেয়, অনিন্দ্যকে সেখান থেকেই গ্রেপ্তার করা হয়।
জেরাও বনদপ্তর জানতে পেরেছে, অনিন্দ্যর আসল বাড়ি হাওড়ার ইছাপুরে। সেখানে একটি লোহার কারখানাও রয়েছে তার। অনেকদিন ধরেই সে ওই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। কিন্তু, আরও টাকার লোভেই সে অনেকদিন ধরে এই চামড়াটি বিক্রির চেষ্টা করছিল। জেরাও তদন্তকারীরা আরও জানতে পেরেছে, ৫০ লক্ষ টাকা বাঘের চামড়া এবং দাঁত বিক্রি করতে চেয়েছিল অভিযুক্ত। কিন্তু, গ্রাহক না পাওয়ায় শেষ পর্যন্ত ১০-১২ লক্ষ টাকায় গ্রাহক খুঁজতে বলেছিল সহকারী তারক এবং ইব্রাহিমকে। তবে গ্রাহকের হাতে পৌঁছানোর আগেই বমাল তিনজন গ্রেপ্তার হল।