মাঝে মধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। গবেষণায় আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের নানা সুযো ... বিশদ
চিকিৎসায় গাফিলতিতে রোগী মৃত্যুর মতো গুরুতর অভিযোগ উঠেছিল সল্টলেকের ইজেডসিসি লাগোয়া প্রাইভেট হাসপাতালটির বিরুদ্ধে। মালা পাল নামের রোগীর প্রিয়জনের অভিযোগের ভিত্তিতে দু’পক্ষের শুনানি হয়। তিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের বক্তব্যও শোনেন কমিশনের সদস্যরা। এরপরই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ওই অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে স্বাস্থ্য কমিশন। সাড়ে নয় লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। ২৮ তারিখের ওই রায়ে এক মাসের মধ্যে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ওই অর্থ দিতে বলা হয়েছে।
আলিপুর লাগোয়া বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে বিল এবং ব্যবহার—এই দুটি বিষয়ে অভিযোগ করা হয়েছিল কমিশনে। কমিশন খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেয়, এক, দুর্ব্যবহার সংক্রান্ত সুনির্দিষ্ট কোনও ঘটনার অভিযোগ করা হয়নি। দুই, বিল সংক্রান্ত বিষয়ে কিছু ছাড় দেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছিল মাত্র। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ২০ হাজার টাকা ছাড় দিতে সম্মত হয়েছে। সুমন ধারা, সৌমিত দাস, রাহুল ঘোষ প্রমুখ বাড়ির লোকজনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সম্মতিতে সেই ২০ হাজার টাকা অনলাইন ট্রান্সফারের মাধ্যমে দিতে নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।
আলিপুরের ওই নামকরা হাসপাতালের বিরুদ্ধে আরও একটি অভিযোগ করেছিলেন অভিজিৎ সরকার নামে এক ব্যক্তি। অভিজিৎবাবুর অভিযোগ ছিল, ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তাঁর বাবা যখন ওই হাসপাতালে আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন, তাঁর দেখভালে নিযুক্ত নার্স বাবাকে থাপ্পড় মারেন। বিষয়টি নিয়ে কমিশন তদন্ত করে। কিন্তু, বারংবার বলা সত্ত্বেও অভিযুক্ত নার্সের বিরুদ্ধে পুলিসে কোনও অভিযোগ করেনি হাসপাতাল। এমনকী পুলিস ওই নার্স সম্পর্কে তথ্য জানতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে তিনবার অনুরোধ করেছিল। তা সত্ত্বেও কোনও সহযোগিতা করেনি হাসপাতাল। রায়ে আলিপুরের ওই হাসপাতালকে ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি কড়া ভাষায় ভৎর্সনাও করেছে কমিশন। সদস্যরা রায়ে এও লিখেছেন, এমন জঘন্য আচরণের জন্য নিন্দার কোনও ভাষা খুঁজে পাচ্ছেন না তাঁরা। এছাড়া বিজন চক্রবর্তী নামে এক ব্যক্তির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আরও একটি গাফিলতির অভিযোগের ঘটনায় ২০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।