পারিবারিক ক্ষেত্রে কলহের আশঙ্কা। ঠান্ডা মাথায় চলুন। বিজ্ঞানী, ব্যবসায়ী, সাহিত্যিকদের শুভ সময়। ... বিশদ
ওয়েস্ট বেঙ্গল বুলিয়ান মার্চেন্টস অ্যান্ড জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার কলকাতায় ‘৯৯৯’ বিশুদ্ধতার ১০ গ্রাম সোনার বাটের দর ছিল ৫৭ হাজার ২০০ টাকা। গত ১৯ সেপ্টেম্বর যা ছিল ৬০ হাজার টাকা। অর্থাৎ, সোনার দাম এই ক’দিনে কমেছে ২ হাজার ৮০০ টাকা। একই বিশুদ্ধতার খুচরো সোনার ১০ গ্রাম পিছু দর মঙ্গলবার গিয়েছে ৫৭ হাজার ৫০০ টাকা। ১৯ সেপ্টেম্বর তা ছিল ৬০ হাজার ৩০০ টাকা। ১৯ তারিখের পর থেকেই ধাপে ধাপে কলকাতার বাজারে নামতে থাকে সোনার দর। স্বর্ণশিল্প বাঁচাও কমিটির কার্যনির্বাহী সভাপতি সমর দে’র কথায়, ‘সোনার দাম কমতেই বিয়ের কেনাকাটা শুরু হয়ে গিয়েছে। যাঁরা ভেবেছিলেন ধনতেরাসে নানা অফার চালু হলে গয়নার বরাত দেবেন, তাঁরা এখনই তা দিতে শুরু করেছেন। অগ্রিম টাকা দিয়ে গয়নার বায়না যেমন শুরু হয়েছে, তেমনই ক্রেতারা পুরো টাকা দিয়েও গয়না কিনছেন। বঙ্গীয় স্বর্ণশিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক টগরচন্দ্র পোদ্দার বলেন, সোনার দাম কমার কারণে ছোট ব্যবসায়ীরাও কাজ পাচ্ছেন। কারিগরদের কাছে আগে থেকে যে গয়না মজুত ছিল, তা তাঁরা বিক্রি করার সুযোগও পাচ্ছেন।
কেন নামছে হলুদ ধাতুর দাম? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দাম কমছে। তার সুফল পাচ্ছেন এখানকার ক্রেতারা। এর মূল কারণ দু’টি। ডলারের দাম ও সুদের হার। মার্কিন ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় বিশ্ববাজারে লগ্নিকারীরা সেই মুদ্রাতেই বিনিয়োগ করছেন। এতে লগ্নির বাজারে সোনার চাহিদা কমছে। তাই দামও কমছে। অন্যদিকে, সুদের হার দুনিয়াজুড়ে এখনও চড়া। কারণ, মূল্যবৃদ্ধির কোপ থেকে এখনও রেহাই মেলেনি। ভারতে যেমন মূল্যবৃদ্ধি এখনও সাধারণ মানুষকে ভাবাচ্ছে, বিশ্বও তার ব্যতিক্রম নয়। আশা করা হয়েছিল, সুদের হার এবার কমতে পারে। কিন্তু আমেরিকার শীর্ষ ব্যাঙ্ক তেমন কোনও ইঙ্গিত দেয়নি। সুদ বেশি থাকায় বন্ডের বাজারও চাঙ্গা। সেই কারণে বিনিয়োগ হচ্ছে বন্ড-বাজারে। তাই লগ্নির উপকরণ হিসেবে সোনার চাহিদা ধাক্কা খাচ্ছে। সেই কারণে দাম নিম্নমুখী বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।