পারিবারিক ক্ষেত্রে কলহের আশঙ্কা। ঠান্ডা মাথায় চলুন। বিজ্ঞানী, ব্যবসায়ী, সাহিত্যিকদের শুভ সময়। ... বিশদ
লোকসভা ভোটে জয়ী দলীয় প্রার্থী এবং বাছাই করা নেতৃত্বের সঙ্গে কালীঘাটে শনিবার জরুরি বৈঠকের বসেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। বৈঠক শেষে তিনি বলেন, ‘নরেন্দ্র মোদির উপর আস্থা হারিয়েছেন দেশের মানুষ। তাই মোদিবাবুর উচিত ছিল, অন্য কাউকে দায়িত্ব ছেড়ে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে সরে যাওয়া। কারণ, স্থায়িত্ববিহীন, দুর্বল এই সরকারের দেশকে দেওয়ার কিছু নেই। আমি থাকলে এই দায়িত্ব নিতাম না।’ শুধুমাত্র গদি টিকিয়ে রাখার জন্য মোদি যেভাবে প্রধানমন্ত্রী হতে এগিয়েছেন, তাতে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ মমতা। তাঁর কথায়, ‘এই সরকারের প্রতি আমাদের কোনও শুভেচ্ছা বা শুভকামনা নেই। শপথের অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্র আসা বা না আসার থেকেও বড় বিষয় হল, আমাদের কোনও প্রতিনিধি শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যাবেন না। যারা বলেছিল ৪০০ পার করবে, তাদের কী হল? সেই প্রশ্নের উত্তর কোথায়? অগণতান্ত্রিক, অবৈধভাবে তৈরি এই সরকারকে আমি শুভেচ্ছা জানাতে পারলাম না।’ এরপর মমতার সংযোজন, ‘বেশিদিন টিকবে না এই সরকার। ক্ষমতায় আসবে ইন্ডিয়া। আমি ভবিষ্যৎদ্রষ্টা নই, তবে এই সরকার ১৫ দিন নাও টিকতে পারে। দেশে বড়সড় পরিবর্তনের অপেক্ষায় আছি।’ সংসদে তৃণমূল সাংসদদের ‘আগামী’ অবস্থান এদিনই নির্ধারণ করে দিয়েছেন মমতা। বলেছেন, ‘এনআরসি, সিএএ বাতিল এবং বাংলার প্রাপ্য আদায়—এই দাবি সামনে রেখে আন্দোলনের ঝাঁঝ আরও বাড়বে।’ এক্সিট পোলের জেরে শেয়ার বাজারে ওঠানামা, মোদির শরিক চন্দ্রবাবুর স্ত্রী-পুত্রের কয়েকশো কোটির মুনাফা—এসব নিয়ে বিগত চার-পাঁচদিন ধরে সরগরম জাতীয় রাজনীতি। সেই প্রেক্ষিতও এদিন উঠে এসেছে মমতার কথায়। বলেছেন, ‘শেয়ার সংক্রান্ত বিষয়ে তদন্ত হওয়া উচিত। সেখানে দুর্নীতি হয়েছে। আমরা সবদিক নজরে রাখব।’ এই অবস্থায় জোটকে আরও শক্তিশালী করার বার্তা দিয়েছেন তিনি। বলেছেন, ‘সবাই নিজের দলকে সামলে রাখুন। বিজেপি আবার দল ভাঙানোর চেষ্টা করবে।’