প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে আগ্রহ বাড়বে। তবে তা বাস্তবায়িত হওয়াতে সমস্যা আছে। লোহা ও ... বিশদ
কফি সম্বন্ধে আমার যথেষ্ট জ্ঞান। মরিশাসে বাসকালে বাড়িতে একটা ফলন্ত কফি গাছ ছিল। পাকা ফল তুলে, শুকিয়ে, রোস্ট কবে— পরে মিক্সিতে পিষে দুধ-চিনি সহযোগে সেবন করেছি। একেবারে ফ্রেশ, ঘরে তৈরি কফির স্বাদই আলাদা। পরে আমেরিকায় বিখ্যাত স্টারবাক কফি-ফ্যাক্টরিতে গিয়ে ভালো কফি কীভাবে তৈরি হয় দেখে পানও করেছি। এবার ইন্দোনেশিয়ার সুস্বাদু লুয়াক কফি তৈরি দেখলাম। বাগানে প্রবেশের মুখে পাতায় তৈরি ডালায় বিভিন্ন ধরনের কফি দানা শুকাতে দেওয়া। পাশের ঘরে টিভিতে কফি তৈরির নিয়মকানুন দেখাচ্ছে। কফি বাগানে প্রবেশ করলেই ইন্দোসুন্দরীরা ‘লুয়াক কফি’ তৈরির পদ্ধতি জানাবে। তারপর বিনা অর্থে হাসি মুখে এক কাপ কফি ও বিস্কুট দেবে। কোনও কোনও ট্যুরিস্ট খুশি হয়ে ৫-১০ প্যাকেট কিনবেও। সুন্দরীরা হাসিমুখে ছবি তুলে ট্যুরিস্টদের গাড়িতে উঠিয়ে দেবে। আন্তরিকতার তুলনা হয় না। বাগানে কফি গাছের সঙ্গে কোকো গাছও ছিল। আরও ছিল খাঁচায় কালো রং, লাল চোখের পশু। অনেকটা আমাদের দেশের বেজির মতো। তবে আকারে বড়। নাম লুয়াক। ওদের প্রিয় খাদ্য লাল খয়েরি পাকা কফি চেরি। কফি গাছগুলো যখন পাকা ফলে খয়েরি রঙে সেজে ওঠে, পশুগুলো দলে দলে যায় ফল খেতে। ফলগুলো ওদের পাকস্থলীতে প্রবেশের পর রাসায়নিক নানা রসে ফার্মেন্টেশন হয়ে শুধু উপরের শাসটা হজম হয়। বীজটা অক্ষত থাকে। ফলের ক্ষতিকারক ক্ষার নষ্ট হয়ে পশুদের মলের সঙ্গে সম্পূর্ণ কফিবীজ বেরিয়ে আসে। সেগুলো কর্মীরা সংগ্রহ করে জলে ধুয়ে পরিষ্কার করে রোদে শুকতে দেয়। শুকানোর পর ঠিক কাঁঠালের বীজের মতো উপরের পাতলা খোসা ছড়িয়ে আবার শুকতে দেয়। শুকনো দানা রোস্ট করে, গ্রাইন্ডারে পিষে কফি পাউডার তৈরি হয়। তারপর গরম জলে দুধ-চিনি মিশিয়ে সুস্বাদু কফি পান। বিজ্ঞানীদের মতে এ কফি শুধু সুস্বাদুই নয়, অত্যন্ত উপকারী। পাকা ফলের খারাপ অ্যাসিড ভাগটা পশুর পেটে হজম হয়ে দানাটা সুগন্ধে ভরপুর থাকে। পশুর নাম অনুসারে নাম ‘লুয়াক কফি’ ওরা বলে ‘Luwak Kopi’ বা ‘পু-কফি’।