Bartaman Patrika
 

বিরহ বড় ভালো লাগে
প্রসঙ্গ: দেবদাস

শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘দেবদাস’ উপন্যাস নিয়ে ঠিক ক’টা সিনেমা হয়েছে?
একটা আনুমানিক হিসেবে দেখা যাচ্ছে কমপক্ষে ১৬টা। তারমধ্যে চারটি হয়েছে ভারতের বাইরে। দুটি পাকিস্তানে, দুটি বাংলাদেশে। সঠিক হিসেবে এর থেকে বেশি সংখ্যকও হতে পারে। অথচ মজার কথা হল, শরৎচন্দ্র তাঁর এই উপন্যাসটিকে নিতান্ত কাঁচা কাজ হিসেবেই গন্য করতেন। এমনকী তাঁর সমবয়সী মামা সুরেন যখন ভাগলপুর থেকে উপন্যাসটির পান্ডুলিপি ‘ভারতবর্ষ’ পত্রিকায় পাঠিয়েছিলেন প্রকাশের জন্য, তখন সে খবর পেয়ে শরৎচন্দ্র ভারতবর্ষ পত্রিকার কর্ণধার প্রমথ ভট্টাচার্যকে চিঠি লিখে উপন্যাসটি প্রকাশ না করার অনুরোধ পর্যন্ত করেছিলেন। তিনি লিখেছিলেন, ‘... ওটার জন্য আমি নিজেও লজ্জিত।’ সম্ভবত সে চিঠি প্রমথবাবু যখন পান তখন আর সময় ছিল না। ভাগ্যিস ছিল না! না হলে নরেশ মিত্তির, প্রমথেশ বড়ুয়া, বিমল রায় থেকে শুরু করে হাল আমলের সঞ্জয় লীলা বনশালি, অনুরাগ কাশ্যপ থেকে ব্রাত্য বসু পর্যন্ত তাঁদের জীবনের অন্যতম সেরা একটি কাজ করা থেকে বঞ্চিত হতেন। বিখ্যাত হত না দিলীপকুমারের সেই সংলাপ—কৌন কামবখ্‌ত বরদাস্ত করনেকে লিয়ে পিতা হ্যায়...!
উল্লেখ্য, দেবদাসের মঞ্চ স্বাঙ্গীকরণও হয়েছে। অতি সম্প্রতি এই ২০১৮ সালে মুম্বইয়ের এজিপি ওয়ার্ল্ড নামে একটি সংস্থা হায়দর হাসান সফির পরিচালনায় হিন্দিতে ‘দেবদাস’ অবলম্বনে একটি মিউজিক্যাল প্রযোজনা করে। এছাড়া গত শতকের তিনের দশকের শেষাশেষি মিনার্ভা থিয়েটারে নিয়মিত অভিনয় হতো ‘দেবদাস’ নাটক। জহর গঙ্গোপাধ্যায় ও সরযূবালা দেবী অভিনয় করতেন যথাক্রমে দেবদাস ও পাবর্তীর ভূমিকায়। অনেক পরে দিলীপ রায় ও সুমিত্রা মুখোপাধ্যায় জুটি বেঁধে ‘দেবদাস’ নাটকটি করতেন ওয়ান ওয়াল থিয়েটার হিসেবে। পরিচালক ছিলেন দিলীপ রায়ই (সূত্র: ডঃ শঙ্কর ঘোষ)। এতসব সালতামামি যে কারণে তা হল, সম্প্রতি দমদম ব্রাত্যজন ফের মঞ্চে এনে হাজির করেছে শরৎচন্দ্রের দেবদাসকে। তবে এ দেবদাস হুবহু শরৎচন্দ্রের স্বাঙ্গীকরণ নয়। এ হল দেবদাসের বিনির্মাণ।
এখানে একটা প্রশ্ন উঠতেই পারে যে, কী এমন আছে এই উপন্যাসে যে বারেবারে যুগে যুগে এটিকে নিজেদের মতো করে বলতে চেয়েছেন বিভিন্ন মাধ্যমের শিল্পীরা। সম্ভবত দেবদাসের ট্র্যাজেডিই এই উপন্যাসের মূল আকর্ষণ। দেবদাসের করুণ পরিণতিতে দর্শক কিংবা পাঠকের মনে যে দুঃখবোধ জন্ম নেয়, তা তার বাস্তব জীবনের দুঃখকে অ঩নেকটাই লাঘব করতে পারে। যাকে ইংরেজিতে বলে ক্যাথারসিস। তাই এই উপন্যাস এতটা জনপ্রিয় এবং শিল্পীরা বারে বারে একে নিজেদের মতো করে ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করার চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন। যার শেষতম উদাহরণ হল দমদম ব্রাত্যজনের ‘দেবদাস’।
এ নাটকেও কাহিনীর পটভূমি বদলে, আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপট বদলে, চরিত্রের মনস্তত্ব বদলে নিজের মতো করে ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করা হয়েছে। যার মূল কারিগর ব্রাত্য বসু।
অনুরাগ কাশ্যপ তাঁর দেবদাসের বিনির্মাণ ‘দেব ডি’ সম্পর্কে একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘... আমাদের সমাজ কোনও ছেলে খারাপ পথে গেলে সমাজ তাকেই দোষ দেয়। কিন্তু সমস্যাটা আসলে ছেলেটার নয়। সে ছেলেটি দুর্বলচিত্তের, সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগে। তার দরকার ভালোবাসার, নির্ভরতার আর নৈতিক জোরের... । সমস্যটা আসলে ব্যক্তির নয়, সমাজের।’ ব্রাত্যর বিনির্মাণেরও মূল সুরটি সেই তারেতেই বাঁধা। নাটকের অন্তিমপর্বে দেবদাস তার অভিভাবকদের উদ্দেশে বলে, ‘তোমার কেউ আমার কথা একটুও ভাবলে না। আমার জেদ, রাগ, অভিমান এগুলোকেই বড় করে দেখলে। একবারও ভাবলে না আমি কতখানি অসহায়। এই এতবড় পৃথিবীতে তোমরা আমাকে একেবারে একলা করে দিলে! কেউ তো আমার হাতটা ধরতে পারতে। জানো তো আমি একলা চলতে পারি না। আমার ভয় করে।’
অনুরাগও তাঁর ছবিতে এই হাত ধরার ব্যাপারটাকেই বোঝাতে চেয়েছেন। দিগভ্রষ্ট মানুষকে হাত ধরে সঠিক পথে চালনা করতে পারে তার নিকটজন, আত্মীয়বন্ধু এবং সমাজই। দোষ দিয়ে দূরে ঠেলে দেওয়াটা দায়িত্ব এড়ানোরই শামিল।
এইভাবে শরৎচন্দ্রের উপন্যাসের মূল সুরটিকে ব্রাত্য অক্ষুণ্ণ রেখেছেন। উপন্যাসে শরৎচন্দ্র দেবদাসের করুণ পরিণতির জন্য সমাজকেই দোষী সাব্যস্ত করেছিলেন। ব্রাহ্মণের ছেলের সঙ্গে কায়েতের মেয়ের বিয়েতে আপত্তি তুলেছিল দেবদাসের বাবা-মা। দেবদাস সেই সামাজিক অন্যায়ের প্রতিবাদ করে রুখে দাঁড়াতে পারেনি। ফলে হতাশ পার্বতী অন্য জায়গায় বিয়েতে রাজি হয়। আজ সে যুগ নেই। স্বাভাবিক কারণেই ব্রাত্যর দেবদাসে দু’জনে বিয়ে না হওয়ার কারণ হিসেবে আমদানি করতে হয়েছে একটি খল চরিত্রকে। সে ছলচাতুরির আশ্রয় নিয়ে দেবদাস ও পার্বতীর ম঩঩ধ্যে ফাটল ধরায়। দেবদাসও আগুপিছু বিচার না করে পার্বতীকে দোষী ঠাউরে তাকে ত্যাগ করে—দুর্বলচিত্ত, অস্থিরমতি মানুষের যা স্বভাব! ব্রাত্যর নাটকে দেবদাসের মৃত্যু হয় না। অন্তিমপর্বে সে আর চন্দ্রমুখী বারোতলার ফ্ল্যাটে ভবিষ্যতের স্বপ্নের ফানুস ওড়ায়। বহিরঙ্গে অর্থাৎ পোশাক আসাকে নাটকটিকে ব্রাত্য শরৎযুগে ধরে রাখলেও এর প্রেক্ষাপট আধুনিক। ব্রাত্যর নাটকে দেবদাসের বাবা একজন প্রোমোটার, তিনি মোবাইলের টাওয়ার বসানোর ব্যবসাও করেন। মাঝে মাঝেই সংলাপে এসেছে ‘জিও’ শব্দটি। কলকাতায় যাওয়ার আগে দেবদাস পার্বতীকে মোবাইলের সিম দিয়ে যায়। বলে, এই সিম থেকে তাকে ফোন করতে। চন্দ্রমুখী চুণীবাবুর কাছে জানতে চায়, তাদের পেশায় কবে জিএসটি চালু হবে। দু’ হাজার টাকার নোট ব্যান হয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও প্রকাশ করে তারা। সঙ্গে আছে হিন্দি ও বাংলা ছায়াছবির প্রচুর জনপ্রিয় গান। গানগুলি সুপ্রযুক্ত। এটি ব্রাত্যর সিগনেচার। এর আগেও অনেক নাটকেই জনপ্রিয় হিন্দি গানকে প্রয়োগ করেছেন তিনি। নাটক চলতে চলতে মাঝে মাঝেই দেখা যায় পুলিসের এনকাউন্টারে একজন করে মারা যায়। কে এরা? দেবদাসের প্রশ্নের জবাবে চুণীবাবু ঠোঁট উলটে বলে যে সে জানে না। দেশের সাম্প্রতিক জ্বলন্ত অবস্থার কথা মনে পড়ে যায় দর্শকের!
দেবদাস আদতে ট্রাজেডি হলেও এই নাটকটি নাচে, গানে চোখা সংলাপে জমজমাট। এক মুহূর্তও দর্শককে সিটে হেলান দিতে দেবে না।
টুকরো টুকরো দৃশ্যে আমাদের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিকেও ব্যঙ্গের কষাঘাতে জর্জরিত করেছেন ব্রাত্য। নাটকের শেষলগ্নে মঞ্চে দুটি গ্লো-সাইন বোর্ড দেখা যায়। একটিতে লেখা ‘ইন্দ্রনাথ সিং ও প্রদীপ কাজোরিয়া নিবেদিত... বায়োপিকে দেবদাস, প্রান্তিক চৌধুরীর ছবি’। অপরটিতে লেখা ‘যশপাল মেহতা ও প্রদীপ বাজোরিয়া নিবেদিত গোয়েন্দা দেবদাস, প্রান্তিক চৌধুরীর ছবি’। উল্লেখ্য এই নাটকটির অন্তপ্রনর প্রদীপ মজুমদার। বিনির্মাণ সম্ভবত ব্রাত্যর প্রিয় বিষয়। এই বিষয়ে তাঁর দক্ষতা প্রশ্নাতীত। যাঁরা তাঁর ‘হেমলাট—দ্য প্রিন্স অব গরাণহাটা’ নাটকটি দেখেছেন তাঁরাই একবাক্যে সে কথা স্বীকার করবেন। ‘দেবদাস’-এও ব্রাত্য তাঁর সেই দক্ষতার প্রমাণ রেখেছেন।
দক্ষতার প্রমাণ রেখেছেন অভিনেতারাও। দুর্দান্ত অভিনয় করেছেন দেবদাসের ভূমিকায় সুমিতকুমার রায়, পাবর্তীর ভূমিকায় দেবলীনা সিংহ ও চুণীবাবুর ভূমিকায় সুমন্ত রায়। এছাড়া চন্দ্রমুখীর চরিত্রে ভালো লাগে দেবযানী সিংহকেও। এ নাটকের সব থেকে বড় সম্পদ দলগত নৈপুণ্য। মঞ্চে একসঙ্গে গোটা পনেরো চরিত্র ঘোরাফেরা করেছে অনেক দৃশ্যে। কিন্তু তাল কাটেনি একবারও। তেমনি ভালো পৃথ্বীশ রানার মঞ্চ ও আলোর পরিকল্পনা। আপ স্টেজের মধ্যিখানে একটি আয়তঘনাকার অংশকে ব্যবহার করা হয়েছে কখনও বিয়ের বাসর, কখনও দেবদাস, কখনও পার্বতীর বাড়ি আবার কখনও বার হিসেবে। দিশারী চক্রবর্তীর আবহও দারুন। নাট্যরূপ দিয়েছেন সুদীপ সিনহা, পরিচালনা প্রান্তিক চৌধুরী। সব মিলিয়ে বাংলা রঙ্গমঞ্চের সেরা আকর্ষণ হতে চলেছে ‘দেবদাস’।
স্বস্তিনাথ শাস্ত্রী
28th  December, 2019
আরও একটি গ্রিক ট্যাজেডি
হিপ্পোলিটাস

  আজ থেকে বহু হাজার শতাব্দী আগে প্রায় ৪০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে গ্রিস (এখনকার নাম) দেশে এক নাটক রচনা হয় ইউরিপিডিস। নাম হিপলিটাস। এই নাটকের নিরূপ রায় কৃত বাংলা রূপান্তর থেকে নাটকটি মঞ্চস্থ করলেন নির্দেশক সুরজিৎ ঘোষ। সম্প্রতি এটি উপস্থাপিত হয় গিরিশ মঞ্চে। এই নাটকের কোরিওগ্রাফ করেছেন স্টেলা।
বিশদ

 মঞ্চে বুদ্ধদেব গুহর মাধুকরী

  অনেক বছর আগে মরমী কথাকার বুদ্ধদেব গুহর একটি ধারাবাহিক উপন্যাস পাঠকদের মধ্যে আলোড়ন ফেলে দিয়েছিল। ‘মাধুকরী’ নামের বিশাল, বর্ণময়, বেগবান এই উপন্যাসের পটভূমি জঙ্গলমহল। কেন্দ্রীয় চরিত্র পৃথু ঘোষ, যে চেয়েছিল বড় এক বাঘের মতো বাঁচবে। কারও ওপর নির্ভরশীল না হয়ে। বিশদ

গোবরডাঙায় স্টুডিও থিয়েটার শিল্পায়নের উদ্যোগ

  উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙা, শিল্প-সংস্কৃতির এক উৎকৃষ্ট কেন্দ্র। গোবরডাঙার এই ঐতিহ্য অতি প্রাচীন। বর্তমানে গোবরডাঙাকে কেন্দ্র করে রয়েছে ২৫টি নাট্যদল। যাদের নতুন ভাবনার নতুন নতুন প্রযোজনা, শুধু বাংলাতেই নয়, সমগ্র দেশের থিয়েটার প্রেমী মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছে।
বিশদ

 দি বয়েজ ওন লাইব্রেরির
শিশু-কিশোর নাট্য প্রশিক্ষণ শিবির

  আজকের দিনে শিশু-কিশোররা কেউই কেবলমাত্র পড়াশোনার মধ্যে নিজেদের গণ্ডিবদ্ধ করে রাখে না। অনেকের পছন্দ নৃত্য, গীত, অঙ্কন, খেলাধূলা আবার অনেকেই মঞ্চে অভিনয় করতে আগ্রহী হয়। মঞ্চে অভিনয় করতে হলে শিক্ষা নেওয়াটা জরুরি। বিশদ

পূর্বরঙ্গ নাট্যোৎসব

  পূর্বরঙ্গ গঙ্গা পদ্মা নাট্যোৎসব শুরু হয়েছিল ২২ ডিসেম্বর ২০১৯ মধ্যমগ্ৰামে। আটদিনের ওই উৎসবের শুরুতে ছিল ক্যালকাটা পাপেট থিয়েটারের পুতুল নাটক আলাদীন। ওইদিন সন্ধ্যায় মঞ্চস্থ হয় রোকেয়া রায় পরিচালিত পূর্বরঙ্গের নতুন নাটক পাঁচ অধ্যায় ।
বিশদ

গল্পই মূল চালিকাশক্তি
প্রস্তর যুগ

মফসস্‌লের স্কুলের ভূগোলের শিক্ষক রবিকান্ত চৌধুরী তাঁর শিক্ষক রথীনবাবুর প্রেরণায় শিক্ষকতাকে নিজের পেশা হিসেবে বেছে নেন। রথীনবাবুর একটি কথা তার মনকে আষ্টেপৃষ্ঠে ঘিরে থাকে, ‘একটি প্রদীপ শত প্রদীপকে প্রজ্বলিত করে।’
বিশদ

কথায় গানে সময়ের প্রতিচ্ছবি 

বাদল সরকারের ‘ভুল রাস্তা’ নাটকটি পুনর্নির্মাণ করে ‘রাজ কাহানী’ নাম দিয়ে মঞ্চস্থ করল আসানসোলের চর্যাপদ। রুদ্রপ্রসাদ চক্রবর্তী নির্দেশিত এই নাটকটি সম্প্রতি মিনার্ভা থিয়েটারে পরিবেশিত হল। ১৯৮৮ সালে বাদল সরকার এই নাটকটি লিখেছিলেন।  বিশদ

11th  January, 2020
উদীয়মান নারীর মঞ্চ ২০১৯ 

সম্প্রতি গোবরডাঙায় হয়ে গেল মানিকতলা দলছুট আয়োজিত নাট্যোৎসব ‘উদীয়মান নারীর মঞ্চ’। ‘দলছুট’, এই শব্দটির মধ্যে লেগে রয়েছে অদ্ভুত এক প্রতিষ্ঠান বিরোধী গন্ধ। আর দলের তরফেও লেখা হয়, ‘...থিয়েটারকে অভিজাত শ্রেণীর দখলদারি থেকে মুক্ত করে সর্বজনীন করার লক্ষ্যে মানিকতলা দলছুটের জন্ম...।’  বিশদ

11th  January, 2020
দেবতা না‌ই ঘরে... 

আচ্ছা দেবতার বাস কোথায়? মন্দিরে কি? যেখানে ফুল, ফল, দুধ, ভোগ্য সামগ্রী দিয়ে মহা সমারোহে, আড়ম্বরে পুজোর নাম দিয়ে প্রচুর অর্থব্যয়ে রাজসূয় যজ্ঞ হয় প্রতিদিন, সেইখানে? নাকি সেই বাচ্চাটা, যার দুটো হাত নেই, মন্দিরে আসে ভোগ-প্রসাদের আশায়, তার মধ্যে?  বিশদ

11th  January, 2020
থিয়েটার পাড়ার গপ্পো
সাংবাদিক সম্মেলন করে অবসর
নিয়েছিলেন অভিনয় জীবন থেকে

বড়পর্দা জুড়ে দাপটের সঙ্গে অভিনয় করলেও, পেশাদারি রঙ্গমঞ্চে তাঁর আবির্ভাব হয়েছিল দেরিতে। অভিনেতা বিকাশ রায়ের মঞ্চাভিনয় সম্পর্কে লিখেছেন ড. শঙ্কর ঘোষ। বিশদ

04th  January, 2020
কথায় গানে সময়ের প্রতিচ্ছবি
রাজকাহিনী

বাদল সরকারের ‘ভুল রাস্তা’ নাটকটি পুনর্নির্মাণ করে ‘রাজকাহিনী’ নাম দিয়ে মঞ্চস্থ করল আসানসোলের চর্যাপদ। রুদ্রপ্রসাদ চক্রবর্তী নির্দেশিত এই নাটকটি সম্প্রতি মিনার্ভা থিয়েটারে পরিবেশিত হল। ১৯৮৮ সালে বাদল সরকার এই নাটকটি লিখেছিলেন। তারপর অনেকগুলো বছর কেটে গিয়েছে, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সমাজ, রাজনীতি, অর্থনীতিরও অনেক পরিবর্তন হয়েছে।
বিশদ

04th  January, 2020
 অঙ্গন নাট্য সংস্থার পরিযায়ী

 সম্প্রতি অঙ্গন নাট্য সংস্থার নিবেদনে শিশিরমঞ্চে অনুষ্ঠিত হল এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে ছিল এক সুন্দর আলেখ্য ‘প্রাণের পরে’। সঙ্গীত ও ভাষ্যপাঠের মাধ্যমে সাত্যকি সরকারের ভাবনা ও পরিকল্পনায় এই আলেখ্যটিতে প্রাণসঞ্চার করেছেন শিল্পীরা।
বিশদ

04th  January, 2020
মতিলাল পাদরি 

কমলকুমার মজুমদারের সাহিত্য নিয়ে চলচিত্র হলেও বাংলা রঙ্গমঞ্চে কোনও কাজ হয়েছে কি? জানা যায় না। তবে এবার কলকাতার নাট্যপ্রেমীদের জন্য এই দুরূহ কাজটি করেছেন মাঙ্গলিক ও তার পরিচালক সমীর বিশ্বাস। 
বিশদ

28th  December, 2019
পদাবলির বর্ষপূর্তি 

যোগেশ মাইম অ্যাকাডেমির ৪১তম বর্ষপূর্তি এবং খালেদ চৌধুরীর জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে পদাবলি তাদের নিজস্ব অডিটোরিয়ামে তিন দিনের এক উৎসবের আয়োজন করে। অত্যন্ত শৈল্পিক কায়দায় সাজানো অনুষ্ঠানের প্রতিদিনই ছিল আকর্ষণীয় কিছু উপস্থাপনা। প্রথমদিনে সুরজিত দাশগুপ্তের নির্মিত ‘আ সাইলেন্ট আর্ট’ তথ্যচিত্রটি দেখানো হয়। 
বিশদ

28th  December, 2019

Pages: 12345

একনজরে
বিএনএ, আরামবাগ: পথ দুর্ঘটনায় আরামবাগে মৃত দুঃস্থ যুবকের শেষকৃত্য সম্পন্ন করতে আর্থিক সাহায্যের জন্য পথে নামলেন মুসলিম সম্প্রদায়ের স্থানীয় যুবকরা। বর্তমান পরিস্থিতিতে শহরে সম্প্রীতির এমন ...

ডার্বির ইতিহাসে প্রথম পাঁচ গোলদাতার মধ্যে একমাত্র বাঙালি তিনি। আট ও নয়ের দশকে তাঁকে ঘিরে আবর্তিত হত সমর্থকদের স্বপ্ন। দুই প্রান্ত থেকে ভেসে আসা বল ...

 সমৃদ্ধ দত্ত, নয়াদিল্লি, ১৭ জানুয়ারি: মেগা ডেটা ব্যাঙ্ক তৈরি করছে কেন্দ্র। কৃষক থেকে শ্রমিক। ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ী থেকে ক্ষুদ্র ঋণগ্রাহকের সংখ্যা। মোদি সরকার বিভিন্ন ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: অন্যান্য পুরসভাগুলির সঙ্গে আগামী পুরভোটে উত্তর দমদম, দক্ষিম দমদম এবং দমদম পুরসভার আসন সংরক্ষণের খসড়া তালিকা শুক্রবার প্রকাশিত হল। সেই তালিকা অনুযায়ী কোথাও চেয়ারম্যান, কোথাও চেয়ারম্যান-ইন-কাউন্সিল এবার নিজের জেতা ওয়ার্ডে ভোটে দাঁড়াতে পারছেন না। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

উচ্চবিদ্যায় ভালো ফল হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে সুযোগ আসবে। কোনও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। ব্যবসায় যুক্ত ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৯৪৭: সঙ্গীতশিল্পী কে এল সায়গলের মৃত্যু
১৯৭২: ক্রিকেটার বিনোদ কাম্বলির জন্ম
১৯৯৬: রাজনীতিক ও অভিনেতা এন টি রামারাওয়ের মৃত্যু
২০০৩: কবি হরিবংশ রাই বচ্চনের মৃত্যু
২০১৮ – বিশিষ্ট বাঙালি সাংবাদিক ও কার্টুনিস্ট চন্ডী লাহিড়ীর মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.১৭ টাকা ৭১.৮৭ টাকা
পাউন্ড ৯১.২২ টাকা ৯৪.৫১ টাকা
ইউরো ৭৭.৬১ টাকা ৮০.৫৭ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪০,৪৪৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৮,৩৭০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৮,৯৪৫ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৬,৬০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৬,৭০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৩ মাঘ ১৪২৬, ১৮ জানুয়ারি ২০২০, শনিবার, নবমী ৫৪/৫ দিবা ৪/১। স্বাতী ৪৪/৪১ রাত্রি ১২/১৬। সূ উ ৬/২৩/৪, অ ৫/১০/৩৪, অমৃতযোগ দিবা ৯/৫৮ গতে ১২/৫০ মধ্যে। রাত্রি ৭/৪৮ গতে ১০/২৭ মধ্যে পুনঃ ১২/১২ গতে ১/৫৮ মধ্যে পুনঃ ২/৫১ গতে ৪/৩৬ মধ্যে। বারবেলা ৭/৪৩ মধ্যে পুনঃ ১/৭ গতে ২/২৭ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৮ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৬/৪৯ মধ্যে পুনঃ ৪/৪৪ গতে উদয়াবধি। 
৩ মাঘ ১৪২৬, ১৮ জানুয়ারি ২০২০, শনিবার, অষ্টমী ৬/৩২/৩৮ দিবা ৯/২/৫৩। স্বাতী ৫২/৪১/৩১ রাত্রি ৩/৩০/২৬। সূ উ ৬/২৫/৫০, অ ৫/৯/৩২, অমৃতযোগ দিবা ১০/০ গতে ১২/৫৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৫৭ গতে ১০/৩৩ মধ্যে ও ১২/১৬ গতে ২/০ মধ্যে ও ২/৫২ গতে ৪/৩৬ মধ্যে। কালবেলা ৭/৪৬/১৯ মধ্যে ও ৩/৪৯/৪ গতে ৫/৯/৩২ মধ্যে, কালরাত্রি ৬/৪৯/৪ মধ্যে ও ৪/৪৬/১৮ গতে ৬/২৫/৫৫ মধ্যে। 
২২ জমাদিয়ল আউয়ল 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল  
মেষ: কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে সুযোগ আসবে। বৃষ: বুঝেশুনে পদক্ষেপ করলে ভালো হবে। মিথুন: উপার্জন ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
১৯৪৭: সঙ্গীতশিল্পী কে এল সায়গলের মৃত্যু১৯৭২: ক্রিকেটার বিনোদ কাম্বলির জন্ম১৯৯৬: ...বিশদ

07:03:20 PM

ট্যাংরায় গাড়ি পার্কিং এলাকায় ভেঙে পড়ল গেট, কিশোরীর মৃত্যু
ট্যাংরার ডি সি দে রোডের একটি গাড়ি পার্কিং এলাকায় গেট ...বিশদ

06:16:44 PM

মুম্বই-পুনে এক্সপ্রেসওয়েতে গাড়ি দুর্ঘটনা, গুরুতর জখম অভিনেত্রী শাবানা আজমি
মুম্বই-পুনে এক্সপ্রেসওয়েতে গাড়ি দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হলেন অভিনেত্রী শাবানা আজমি। ...বিশদ

05:25:00 PM

  কৃষি দপ্তরের কর্মীকে মারধরের অভিযোগ পঞ্চায়েত সহ সভাপতির বিরুদ্ধে
উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের কৃষি দপ্তরে কর্তব্যরত এক কর্মীকে মারধর করার ...বিশদ

03:39:00 PM

আলিপুরদুয়ারে গুপ্তধনের সন্ধান
গুপ্তধনের সন্ধান মিলল আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটার আলিনগরে। আজ শনিবার ১০০ দিনের ...বিশদ

03:28:46 PM