কর্মোন্নতি ও কর্মের প্রসার। সামাজিক সুনাম বৃদ্ধি। শারীরিক সমস্যার আশঙ্কা। ধনাগম মন্দ নয়। দাম্পত্যে চাপ, ... বিশদ
এতে রাজ্যের চটশিল্প নতুন করে সঙ্কটে পড়তে পারে। বিষয়টি রাজ্য খাদ্যদপ্তরের নজরেও রয়েছে। তাই পাঞ্জাব, ছত্তিশগড়ের মতো অ-বিজেপি দুই রাজ্যের সঙ্গে একসুরে চটের বস্তার পক্ষেই সওয়াল করেছেন খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ। সিন্থেটিক লবির চাপে এই ধরনের কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে বাংলা যে তা মানবে না, সেটা তিনি স্পষ্ট করেছেন। প্রয়োজনে এই ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও দিল্লিতে চিঠি দিতে পারেন বলে জানিয়েছেন রথীনবাবু। পাঞ্জাব ও ছত্তিশগড় ইতিমধ্যে এক ধাপ এগিয়ে চটের ব্যাগ কেনার জন্য আলাদা করে টেন্ডার ডেকে দিয়েছে। পাঞ্জাবের খাদ্যসচিব রাহুল তিওয়ারি শুক্রবার কলকাতায় এসে চটকল মালিকদের সংগঠন আইজেএমএ’র কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকও করেছেন এনিয়ে। পাশাপাশি তিনি বস্ত্রমন্ত্রকের অধীনস্থ জুট কমিশনার মলয়চন্দন চক্রবর্তীর সঙ্গেও কথা বলেছেন। মলয়বাবু অবশ্য বলেন, সিন্থেটিক বস্তা ব্যবহার নিয়ে কোনও লিখিত অর্ডার মন্ত্রক বের করেনি। চটশিল্পের একাংশ বিষয়টি নিয়ে আগাম শোরগোল তুলছে।
জুট কমিশনারের দপ্তর ও আইজেএমএ সূত্রের খবর, খরিফ মরশুমের জন্য ১৫ লক্ষ গাঁট বস্তা সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখনও পর্যন্ত প্রায় ১৭ শতাংশ কম বস্তা সরবরাহ করা হয়েছে। মলয়বাবুর তরফে চটকল মালিকদের কড়া চিঠি দিয়ে সম্প্রতি জানানো হয়েছে, আগামী নভেম্বর পর্যন্ত এই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে হবে মাসওয়ারি। তবে জুন থেকে যেভাবে সরবরাহে ঘাটতে চলছে, তা বেশি দিন বরদাস্ত করা যাবে না। সেক্ষেত্রে কেন্দ্র সিন্থেটিক বস্তার বরাত দেওয়ার পথে হাঁটবে। আর এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে বছরে ১৪ হাজার কোটি টাকার চটশিল্প বড় রকমের ধাক্কা খাবে। চটকলগুলিতে কর্মহীন হয়ে পড়বেন বহু শ্রমিক।
তবে পাঞ্জাবের খাদ্যসচিব চটকল মালিকদের সঙ্গে বৈঠকে বলেছেন, খরিফ বা রবি, কোনও মরশুমেই গমের জন্য তাঁদের রাজ্যের কৃষকরা সিন্থেটিক বস্তা ব্যবহার করতে চান না। তাই কেন্দ্রকে এড়িয়ে পাঞ্জাব সরাসরি বস্তা কিনতে চায়। একই মনোভাব নিয়েছে কংগ্রেস শাসিত অপর রাজ্য ছত্তিশগড়ও। এবার এই ইস্যুতে অমরেন্দ্র সিং-ভূপেশ বাঘেলদের সঙ্গে মমতাও হাত মিলিয়ে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সরব হবেন বলে মনে করা হচ্ছে।