নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ২০২৪ সালের মধ্যে ভারতকে পাঁচ লক্ষ কোটি মার্কিন ডলারের অর্থনীতির দেশ হিসেবে দেখতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তা সম্ভব করতে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে হবে ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পক্ষেত্রগুলিকে। কিন্তু এই শিল্পক্ষেত্রে পণ্যের জোগান দেওয়ার পর, তার পেমেন্ট বা টাকা পাওয়া যে এখনও অন্যতম বড় সমস্যা, তা মানলেন কেন্দ্রীয় ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পমন্ত্রী নীতিন গাদকারি। সোমবার কলকাতায় ভারত চেম্বার অব কমার্সের বার্ষিক সাধাররণ সভা উপলক্ষে এক অনলাইন আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন তিনি। সেখানে বলেন, ভারতকে অর্থনীতিতে তার লক্ষ্য পূরণ করতে হলে দেশের অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বা জিডিপির ৬০ শতাংশ বহন করতে হবে ছোট শিল্পকে। পাশাপাশি রপ্তানির ৪০ শতাংশ আসতে হবে এই শিল্পক্ষেত্র থেকে। তবে তার জন্য চাই প্রযুক্তির ব্যবহার। কারণ পণ্যের উৎপাদন খরচ না কমাতে পারলে লক্ষ্যপূরণ সম্ভব নয়। এদিকে ছোট শিল্পের অন্যতম সমস্যা তার পেমেন্ট। সেই সমস্যার দ্রুত সমাধান যাতে করা যায়, তার জন্য সরকার চেষ্টা চালাচ্ছে বলে দাবি করেন মন্ত্রী। সরকারের কাছে যে টাকা শিল্পসংস্থাগুলির পাওনা আছে, তার পেমেন্ট সম্পর্কে জানতে ‘সমাধান’ পোর্টালের দিকে নজর রাখতে আর্জি জানিয়েছেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, পেমেন্টের পাশাপাশি পণ্য পরিবহণ ও মজুতকরণ সংক্রান্ত খরচও বেশি ছোট শিল্পে। সেই সমস্যাও কাটিয়ে উঠতে হবে। তবে ছোট শিল্পের পাশাপাশি গাড়ি শিল্পে নজির গড়বে ভারত, আশা প্রকাশ করেছেন নীতিন গাদকারি। তিনি বলেন, আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই এদেশে ৪.৫ লক্ষ কোটি টাকার ব্যবসা হবে গাড়ি শিল্পে। রপ্তানি হতে পারে ১.৪৫ লক্ষ কোটি টাকার। পাশাপাশি গ্রামীণ অর্থনীতিও ঢেলে সাজা হবে বলে দাবি করেছেন তিনি। বলেন, এখন যেখানে গ্রামগুলি থেকে ৮০ হাজার কোটি টাকার শস্য ও অন্যান্য সামগ্রী আসে, তা পাঁচ কোটি টাকায় নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। তার জন্য দেশের ১১২টি জেলাকে চিহ্নিত করা হয়েছে।
এদিন নীতিন গাদকারি জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সরকার পণ্য পরিবহণে গতি আনতে ২,৪৭৮টি রাস্তা নির্মাণের প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এর জন্য ২০ লক্ষ ৩৩ হাজার কোটি টাকা ইতিমধ্যেই দেওয়া হয়েছে। মোট দু’টি ‘গ্রিন এক্সপ্রেসওয়ে’ চিহ্নিত করা হয়েছে। অতি দ্রুত গতির রাস্তা হিসেবে গড়ে তোলা হবে।