বিদ্যার্থীরা কোনও বৃত্তিমূলক পরীক্ষার ভালো ফল করবে। বিবাহার্থীদের এখন ভালো সময়। ভাই ও বোনদের কারও ... বিশদ
গোল্ড লোন নেওয়ার সুবিধাগুলি হল, এই ঋণ নিলে বেশি নথিপত্র জমা করতে হয় না। পার্সোনাল লোন বা অন্যান্য ক্ষেত্রে ঋণ পেতে সময় লাগে। এখানে চটজলদি তা মেলে। ফলে সোনার বিনিময়ে ব্যাঙ্ক বা রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অনুমোদিত অন্যান্য প্রতিষ্ঠান থেকে যে কেউ ঋণ পেতে পারেন।
গোল্ড লোনে মাসিক কিস্তিতে টাকা মেটানো যায়। আবার কেউ আগেই সুদ মেটাতে পারেন। যেমন, কোনও ব্যক্তি বার্ষিক ১০ শতাংশ সুদে ১০ হাজার টাকা ঋণ নিলে, তাঁকে গোড়াতেই ৯ হাজার টাকা দেওয়া হয়। তিনি বছর শেষে শোধ করেন ১০ হাজার টাকা। আরবিআইয়ের নিয়ম অনুযায়ী সোনার বাজারদরের ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ নেওয়া যায়। সোনার দাম বাড়লে বাড়তি ঋণ পেতে পারেন গ্রাহক। ধরা যাক, ১০ গ্রাম সোনার দর ৪০ হাজার টাকা। কোনও ব্যক্তি ১০ গ্রাম সোনা জমা রেখে সর্বোচ্চ ৩০ হাজার টাকা ঋণ পাবেন। যদি তিন মাস পর সোনার দর ৫০ হাজার টাকা হয়, তাহলে ওই গ্রাহক ১০ হাজার টাকার উপর ৭৫ শতাংশ, অর্থাৎ আরও সাড়ে সাত হাজার টাকা বেশি ঋণ পাবেন। যদি সোনার দাম কমে, তাহলে আবার বাড়তি টাকা শোধ করে দিতে হয় গ্রাহককে। বা তাঁকে সেই অনুপাতে নতুন করে সোনা জমা রাখতে হয়। গয়নার ক্ষেত্রে ঋণদাতা সংস্থা সোনার বিশুদ্ধতা যাচাই করে নিয়ে ঋণের অঙ্ক ঠিক করে।
ঋণদানকারী সংস্থাগুলি বলছে, গোল্ড লোন নিয়ে মানুষের মধ্যে ভুল ধারণারও শেষ নেই। যেমন, এখানে সোনা নিরাপদ নয়। সংস্থাগুলি সোনা গলিয়ে ফেলে। সুদের হার চড়া। কিন্তু বাস্তবে তা হয় না, এমনটাই জানাচ্ছেন তাঁরা। বলছেন, প্রায় সব ক্ষেত্রেই জমা করা সোনার উপর বিমা করা থাকে। সোনা গলানোর প্রশ্নই নেই। সুদের হারও সর্বাধিক বছরে ১২ শতাংশের আশপাশে।
মুটুথ ফিনান্সের জেনারেল ম্যানেজার অভিনব আইয়ার বলেন, বিগত বছরগুলিতে এমনিতেই গোল্ড লোনের চাহিদা বেড়েছে। আমাদের ব্যবসা বৃদ্ধির হার প্রায় ২০ শতাংশ। একবার বা একাধিকবার ঋণ দেওয়ার নিরিখে আমরা ৭২ কোটি গ্রাহক পেয়েছি। সম্প্রতি গোল্ড লোনের জন্য বিশেষ প্রকল্প চালু করেছে কানাড়া ব্যাঙ্কও। এখানে ৩০ জুন পর্যন্ত বার্ষিক ৭.৮৫ শতাংশ সুদে গ্রাহক এই ঋণ পাবেন। কৃষি ক্ষেত্রে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত এবং ব্যক্তিগত দরকারে ২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ মিলবে।