বিশেষ কোনও কর্মের আর্থিক সংস্থান নিয়ে মানসিক চিন্তা বৃদ্ধি পাবে। আর্থিক ঝুঁকি নেবার আগে দুবার ... বিশদ
মিয়াঁদাদের লাফ: ১৯৯২ বিশ্বকাপ, জাভেদ মিয়াঁদাদ ব্যাট করছেন। কিরণ মোরের ক্রমাগত আপিলে তিতিবিরক্ত হয়ে ওঠেন তিনি। স্টাম্পের পিছন থেকে ক্রমাগত কথা বলে যাচ্ছিলেন ভারতীয় উইকেটকিপার। দ্রুত সিঙ্গলস নিয়ে মিয়াঁদাদ তাই মোরেকে অনুকরণ করে লাফাতে থাকেন ক্যাঙারুর মতো। আসলে ভারতীয় কিপারের অভ্যাস ছিল প্রতিবার আপিলের সময় ওইভাবে লাফানো। মিয়াঁদাদের এমন আচরণে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন ভারত অধিনায়ক আজহারউদ্দিন।
প্রসাদের প্রতিশোধ: ১৯৯৬ বিশ্বকাপে বেঙ্গালুরুতে ২৮৯ রান তাড়া করছে পাকিস্তান। দুই ওপেনার আমির সোহেল ও সঈদ আনোয়ার দশ ওভারে তুলে ফেলেছেন ৮৪ রান। চাপে ভারত। এমন সময়ই মিডিয়াম পেসার ভেঙ্কটেশ প্রসাদকে চার মেরে সেদিকে আঙুল তুলে অঙ্গভঙ্গি করেন সোহেল। যা, বলটা তুলে নিয়ে আয়— এমন কিছুই হয়তো বলেছিলেন। পরের ডেলিভারিতেই সোহেলের স্টাম্প ছিটকে দেন প্রসাদ। এবার তিনি হাতের মুদ্রায় পাল্টা বোঝান— অনেক হল, এবার মাঠ থেকে বেরিয়ে যা!
ইনজামামের কাণ্ড: ইমজামাম উল-হক সাধারণত ঠান্ডা স্বভাবের। মেজাজ হারাতে দেখা যায় না তাঁকে। কিন্তু ১৯৯৭ সালে টরন্টোতে এক ম্যাচে গ্যালারিতে উঠে এক ভারতীয় সমর্থককে ব্যাট দিয়ে আঘাত করেন তিনি। সীমানার ধারে ফিল্ডিংয়ের সময় ইনজিকে ‘আলু’ বলে কটূক্তি করা হচ্ছিল। একসময় মেজাজ হারিয়ে ড্রেসিং-রুম থেকে ব্যাট আনিয়ে গ্যালারিতে পৌঁছে যান ইনজি। নিরাপত্তারক্ষীদের হস্তক্ষেপে ঝামেলা বেশিদূর গড়ায়নি।
গম্ভীর-আফ্রিদি সংঘর্ষ: লেগস্পিনার শাহিদ আফ্রিদিকে ২০০৭ সালের এক ম্যাচে চার মেরেছিলেন গৌতম গম্ভীর। সেই শুরু বাদানুবাদের। তর্ক-বিতর্কেই তা থেমে থাকেনি। কিছুক্ষণ পর রান নেওয়ার সময় দু’জনের মধ্যে ধাক্কা লাগে। অনেকটা ইচ্ছাকৃতভাবেই। ফের শুরু ঝামেলা। আম্পায়ার এগিয়ে এসে পরিস্থিতি সামাল দেন। তবে গম্ভীর-আফ্রিদির সম্পর্ক ভালো হয়নি খেলা ছাড়ার পরও।
শোয়েব-হরভজন ডুয়েল: ২০১০ এশিয়া কাপ। ভারতীয় দল রান তাড়া করার সময় ব্যাটসম্যান হরভজনকে ডট বল খেলা নিয়ে স্লেজ করেন বোলার শোয়েব আখতার। শেষ পর্যন্ত ছক্কা মেরে জয় ছিনিয়ে আনেন উত্তেজিত ভাজ্জি। তারপর শোয়েবের সামনেই শুরু করেন বিশেষ সেলিব্রেশন। সদ্য চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য এক প্রমোশন ভিডিওতে সেই ডুয়েলই অভিনয় করে দেখিয়েছেন হরভজন-শোয়েব।