ছোট ও মাঝারি ব্যবসায় উন্নতি। বেচাকেনা আর উপার্জন বাড়বে। যে কোনও কাজে ব্যস্ততা বৃদ্ধির যোগ। ... বিশদ
প্যারিস: কেন এমন বিষণ্ণ বিদায়! শনিবার পার্ক দ্য প্রিন্সেসের টানেল থেকে ড্রেসিং-রুমের পথে হাঁটতে হাঁটতে হয়তো এই খেদটাই মাথায় ঘুরছিল লায়োনেল মেসির। প্যারিসে দু’বছরের পাট চুকিয়ে পিএসজি’কে পাকাপাকি ভাবে বিদায় জানালেন আর্জেন্তাইন মহাতারকা। শনিবার ফরাসি ক্লাবটির হয়ে শেষ ম্যাচে মাঠে নেমেছিলেন তিনি। হয়তো আশা করেছিলেন, অতীত ভুলে শেষলগ্নে তাঁকে ভালোবাসায় ভরিয়ে দেবেন সমর্থকরা। তবে হল ঠিক উল্টো। মেসির সঙ্গে সমর্থকদের দূরত্ব শেষ ম্যাচেও বহাল রইল। এদিন আরও একবার প্যারিসের সমর্থকদের বিদ্রুপের মুখে পড়তে হল তাঁকে। আসলে ফ্রান্সকে হারিয়ে তাঁর বিশ্বকাপ দখলের ‘অপরাধ’ এখনও মানতে পারেননি পিএসজি’র অতি দেশপ্রেমী ভক্তরা।
ম্যাচে দু’গোলে লিড নিয়েও জিততে ব্যর্থ পিএসজি। ২-৩ ব্যবধানে হেরে লিগ অভিযান শেষ করল চ্যাম্পিয়নরা। অথচ সের্গিও র্যামোস ও এমবাপের (পেনাল্টি থেকে) লক্ষ্যভেদে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গিয়েছিল পিএসজি। কিন্তু আরও একবার রক্ষণের ব্যর্থতায় ভুগতে হল ক্রিস্টোফে গালতিয়েরের দলকে। প্রথমার্ধে জোহান গাস্তিয়েন ও মেহদি জেফানের গোলে সমতায় ফেরে ক্লেরমন্ট। এরপর ৬৩ মিনিটে গ্রেজন কেইয়ের লক্ষ্যভেদে জয় নিশ্চিত করে তারা। বিদায়ী ম্যাচে স্কোরশিটে নাম তোলার সুযোগ পেয়েও তা কাজে লাগাতে ব্যর্থ মেসি। তারই জেরে সমর্থকদের টিটকিরি শুনতে হয় তাঁকে। অভিমান আর চেপে রাখতে পারেননি লিও। ম্যাচ শেষে গোটা দল মাঠে খেতাব জয়ের সেলিব্রেশনে মাতলেও মেসি সোজা ড্রেসিং-রুমে ফিরে যান।
এদিন অবশ্য মেসিকে বিদায় জানাতে গ্যালারিতে হাজির ছিলেন নেইমার। ম্যাচ শেষে ড্রেসিং-রুমে বন্ধুকে জড়িয়ে ধরে বেশ আবেগপ্রবণ দেখায় ব্রাজিলিয়ান তারকাকে। এরপর ইনস্টাগ্রামে মেসির সঙ্গে ছবি পোস্ট করে তিনি লেখেন, ‘বন্ধু, আমাদের চাওয়াটা সবসময় সফল হয় না। তবে চেষ্টা করেছিলাম। তোমার সঙ্গে আরও দু’টি বছর ভাগ করে নিতে পেরে ভালো লাগছে। তোমার আগামী দিনগুলি আরও মধুর হোক।’