সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় সাফল্য প্রাপ্তি। কর্মে দায়িত্ব বৃদ্ধিতে মানসিক চাপবৃদ্ধি। খেলাধূলায় সাফল্যের স্বীকৃতি। শত্রু মোকাবিলায় সতর্কতার ... বিশদ
রবিবার ফাইনালে গ্রিসের স্টেফানোস সিটসিপাসকে হারালেই শীর্ষ বাছাই সার্বিয়ান তারকার মাথায় উঠবে দ্বিতীয়বার ফরাসি ওপেন মুকুট। ২০১৬ সালে রোলাঁ গারোয় চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন জকোভিচ। আর একটা খেতাব তাঁকে তুলে নিয়ে যাবে শ্রেষ্ঠত্বের আরও কাছে। রবিবার জিতলে তাঁর গ্র্যান্ড স্ল্যাম সংখ্যা দাঁড়াবে ১৯। সেক্ষেত্রে ঘাড়ে নিঃশ্বাস পড়বে ২০টি করে গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ী নাদাল ও ফেডেরারের। অন্যদিকে জীবনের প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যাম ফাইনালে খেলতে নেমে অঘটন ঘটানোর আশায় রয়েছেন সিটসিপাস।
তবে গ্রিক তরুণের কাজটা যে সহজ হবে না, নাদালকে হারিয়ে তার নিদর্শন রেখেছেন জকোভিচ। প্রথম প্লেয়ার হিসেবে রোলাঁ গারোয় দু’বার রাফার বিজয়রথে লাগাম টেনেছেন তিনি। মুখোমুখি সাক্ষাতে নাদালের বিরুদ্ধে ২৯-২৮ ফলে এগিয়ে জকোভিচ। তবে ফরাসি ওপেনে নাদাল এগিয়ে ৫-২ ব্যবধানে। শনিবারের হারে তাঁর সবকিছু শেষ হয়ে গেল, এমনটা মানতে নারাজ স্প্যানিশ মহারথী। নাদালের সাফ কথা, ‘আমি এর আগে একাধিকবার ফরাসি ওপেনে চ্যাম্পিয়ন হতে পারিনি। যে কোনও খেলায় হার-জিত থাকে। আরে সেটা মেনে নিতে হয়। এই হারকে আমি বিপর্যয় বলব না। নোভাক এমনই একজন প্লেয়ার, যাকে কোর্ট পজিশন থেকে সরানো কঠিন।’
বুধবার প্যারিসের কোর্ট ফিলিপ চার্টারে স্বমহিমায় খেলা শুরু করেন নাদাল। প্রথম সেট তিনি জিতে নেন জকোভিচকে প্রায় দাঁড় করিয়ে রেখে। দ্বিতীয় সেটে কৌশল বদলে ঘুরে দাঁড়ান জোকার। স্প্যানিশ তারকার নিখুঁত সার্ভিস অনবদ্য বেসলাইন প্লে’তে রিটার্ন করেন তিনি। যার কোনও জবাব রাফার কাছে ছিল না। তৃতীয় সেটেও হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়। ম্যাচ গড়ায় টাই-ব্রেকারে। প্রেসার ট্যাকটিক্স কাজে লাগিয়ে শেষ হাসি হাসেন জকোভিচ। চতুর্থ সেটে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেননি গত ১৭ বছরে রোলাঁ গারোয় মাত্র তিনটি ম্যাচে হারের মুখ দেখা নাদাল।