সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় সাফল্য প্রাপ্তি। কর্মে দায়িত্ব বৃদ্ধিতে মানসিক চাপবৃদ্ধি। খেলাধূলায় সাফল্যের স্বীকৃতি। শত্রু মোকাবিলায় সতর্কতার ... বিশদ
বছর চারেক আগে এক সাক্ষাৎকারে কথাটা বলেছিলেন ফুটবলসম্রাট পেলে। যা মেনে নিতে হবে প্রত্যেককে। বিশ্বকাপ হোক বা কোপা আমেরিকা, খেতাব জয়ের দাবিদারের প্রসঙ্গ উঠলে ব্রাজিলের নাম থাকবেই। প্রত্যাশার এই প্রবল চাপ নিয়ে দশকের পর দশক খেলতে হচ্ছে সাম্বা ফুটবলারদের। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, ঘরের মাঠে এবার কোপা আমেরিকাতেও চ্যাম্পিয়ন হতে পারে তিতের দল। পরিসংখ্যান বলছে, কোপার ইতিহাসে সফলতম দল উরুগুয়ে। তারা খেতাব জিতেছে ১৫বার। দ্বিতীয় স্থানে আর্জেন্তিনা (১৪)। আর পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল রয়েছে তৃতীয় স্থানে (৯)। তবে ঘরের মাঠে আয়োজিত কোপায় খেতাব জেতা অভ্যাসে পরিণত করেছেন পেলে-গ্যারিঞ্চার দেশের ফুটবলাররা। সেই রেকর্ড এবারও ধরে রাখতে বদ্ধপরিকর তিতে-ব্রিগেড। রবিবার রাতে ব্রাসিলিয়াতে ব্রাজিল বনাম ভেনেজুয়েলা ম্যাচ দিয়ে কোপার ঢাকে কাঠি পড়ছে। প্রথম ম্যাচ জয়ের জন্য শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে মরিয়া নেইমাররা।
২০১৯ সালে অপরাজিত আখ্যা নিয়েই কোপা আমেরিকা ঘরে তুলেছিল ব্রাজিল। মনে রাখতে হবে, সেবার নেইমারের সার্ভিস পায়নি তারা। কিন্তু এবার ছন্দেই রয়েছেন পিএসজি’র তারকা ফুটবলারটি। তার ঝলক বিশ্বকাপের বাছাই পর্বের ম্যাচে চোখে পড়েছে। নেইমার ছাড়াও ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার মতো ফুটবলার একাধিক রয়েছেন এই ব্রাজিল দলে। অভিজ্ঞ থিয়াগো সিলভার নেতৃত্বে রক্ষণও যথেষ্ট আঁটসাঁট। মাঝমাঠে ভরসা দিতে রয়েছেন কাসেমিরোরা। প্রথম ম্যাচের প্রতিদ্বন্দ্বী ভেনেজুয়েলাকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছেন তিতে। কারণ, ব্রাজিলের বিরুদ্ধে তাদের জ্বলে ওঠার পুরনো অভ্যাস রয়েছে। শেষ সাক্ষাতেও কষ্টার্জিত জয় পেয়েছিল হলুদ-ব্রিগেড। তবে সম্প্রতি ভেনেজুয়েলা ফর্মে নেই। শেষ ছ’টি ম্যাচের মধ্যে মাত্র একটিতে জয় পেয়েছে তারা। দলের প্রধান তারকা স্ট্রাইকার সলোমন রন্ডন এবারের কোপায় খেলছেন না। তবুও অঘটন ঘটাতে সক্ষম ভেনেজুয়েলা। তবে কাগজে-কলমে অবশ্যই ফেভারিট ব্রাজিল। কোচ তিতে বলেছেন, ‘ছেলেরা ভালো খেলছে। তবে আত্মতুষ্টির জায়গা নেই। যে কোনও প্রতিযোগিতার প্রথম ম্যাচ কঠিন হয়। মনে রাখবেন, হারানোর কিছু নেই ভেনেজুয়েলার। তাই ওরা অনেক খোলা মনে খেলতে পারবে।’