শারীরিক কারণে কর্মে বাধা দেখা দেবে। সন্তানরা আপনার কথা মেনে না চলায় মন ভারাক্রান্ত হবে। ... বিশদ
ভারতের হয়ে মাত্র চারটি টেস্ট খেলেছেন ওয়াশিংটন সুন্দর। আগমনেই দারুণ ভরসা জুগিয়েছেন ২১ বছর বয়সি স্পিন অলরাউন্ডারটি। ব্যাট হাতে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে দারুণ ইনিংস খেলে ম্যাচ জিতিয়েছেন। ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষেও লোয়ার অর্ডারের হাল ধরেছেন তিনি। এখনও পর্যন্ত মোট ৪ ম্যাচে করেছেন ২৬৫ রান। তিনটি হাফ-সেঞ্চুরিসহ তাঁর গড় ৬৬.২৫। পাশাপাশি বল হাতে তুলে নিয়েছেন ৬টি উইকেট। সেই শিকার তালিকায় রয়েছে স্টিভ স্মিথ, জো রুটের বহুমূল্যবান উইকেটও। উদীয়মান ক্রিকেটারটির প্রশংসা করতে গিয়ে রবি শাস্ত্রী বলেন, ‘কেরিয়ারের শুরুতেই নিজের প্রতিভার পূর্ণ প্রতিফলন ঘটিয়েছে সুন্দর। ভারতীয় দলের হয়ে খেলার মতো মানসিক দৃঢ়তা ও যোগ্যতা ওর রয়েছে। দীর্ঘ পথ যাওয়ার সুযোগ আছে ওর সামনে। শুধুমাত্র ঘরের মাঠেই নয়, বিদেশ সফরেও সাফল্য পাওয়ার দক্ষতা ওর রয়েছে। তবে বোলিংয়ে ওকে একটু মনোযোগ দিতে হবে।’ ভারতের হয়ে ৮০টি টেস্ট খেলেছেন শাস্ত্রী। ১১টি সেঞ্চুরিসহ প্রায় চার হাজার রান রয়েছে তাঁর। এছাড়াও ঝুলিতে আছে ১৫১টি উইকেট। আশির দশকে ব্যাট হাতে ৬০-৭০ রান করার পাশাপাশি ২০-২৫ ওভার হাত ঘুরিয়ে দু’টি বা তিনটি উইকেট তুলে নেওয়াই ছিল তাঁর প্রধান কাজ। ওয়াশিংটন সুন্দরও সেই দায়িত্ব পালন করে যাবেন বলে বিশ্বাস শাস্ত্রীর। তাঁর কথায়, ‘রাজ্য পর্যায়ে সুন্দর সহজেই চারে ব্যাট করতে পারে। এ নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। বিষয়টি নিয়ে তামিলনাড়ুর নির্বাচকদের সঙ্গে আমি আলোচনা করব। এমনকী দীনেশ কার্তিকের সঙ্গেও কথা বলব। আমি মনে করি, টপ অর্ডারে ব্যাট করা উচিত সুন্দরের।’
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে বিরাট কোহলির ব্যাট থেকে বড় রান আসেনি। গত ৪টি টেস্টে ১৭২ রান করেছেন ভারত অধিনায়ক। গড় মাত্র ২৮.৬৭। যদিও বিরাটের ব্যাটে রান খরা নিয়ে চিন্তিত নন ভারতের প্রধান কোচ। বরং অধিনায়কের প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘সবাই বিরাটের ব্যাটে রান দেখতে চায়। এতে ভুলের কিছু নেই। কিন্তু কখনও সখনও ব্যর্থ হতে পারে সেও। সেটা নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনও কারণ নেই। তাছাড়া দলের উন্নতির ক্ষেত্রে বিরাটের অবদান ভুলে গেলে চলবে না। নিজের ব্যাটিং ছাড়াও ওকে অনেক কিছু বিষয় নিয়ে ভাবতে হয়। ওর জমানায় দলের পেশাদারিত্ব ও ফিটনেস অনেকটাই বেড়েছে। ক্যাপ্টেন হলেও ড্রেসিং-রুমে সবার সঙ্গে সহজেই মিশতে পারে। সে জন্যই সবার কাছ থেকে বিশ্বাস ও ভরসা আদায় করতে পেরেছে বিরাট। আর এটাই আমাদের সাফল্যের অন্যতম আধার। ছেলেদের জন্য সত্যিই আমি গর্বিত। চাপের মুখে পর্যন্ত কখনও লড়াই ছাড়েনি ওরা। এটাই আমাদের দলের বৈশিষ্ট্য।’