শারীরিক কারণে কর্মে বাধা দেখা দেবে। সন্তানরা আপনার কথা মেনে না চলায় মন ভারাক্রান্ত হবে। ... বিশদ
তবে দেশের মাটিতে আইপিএল ফিরলেও ইডেনের গ্যালারিতে বসে নাইটদের হয়ে গলা ফাটানোর সুযোগ পাবেন না কলকাতার ক্রিকেটপ্রেমীরা। কারণ, এবার হোম-অ্যাওয়ে বলে আলাদা কোনও ম্যাচ নেই। প্রতিটি দলকে খেলতে হবে নিরপেক্ষ ভেন্যুতে। কলকাতা, মুম্বই, চেন্নাই, বেঙ্গালুরু, দিল্লি ও আমেদাবাদে হবে গ্রুপ পর্বের ৫৬টি ম্যাচ। শুরুতে গ্যালারি থাকবে দর্শকশূন্য। পরিস্থিতি বিচার করে ধীরে ধীরে দর্শক প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হতে পারে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, ভারত-ইংল্যান্ড টেস্ট সিরিজের শেষ তিনটি ম্যাচে দর্শক প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। তাহলে আইপিএলের ক্ষেত্রে নিয়ম বদল হল কেন?
রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন থাকায় টুর্নামেন্টের প্রথম চার সপ্তাহে কোনও খেলা হবে না কলকাতায়। বিকেলে খেলা শুরু ৩-৩০ মিনিটে। সন্ধ্যার ম্যাচের জন্য সময় নির্ধারিত হয়েছে ৭-৩০ মিনিট। গ্রুপ পর্বের খেলাগুলি মোট ছ’টি ভেন্যুতে ভাগ করা হলেও, প্লে-অফ সহ ফাইনাল হবে আমেদাবাদের মোতেরা স্টেডিয়ামে। বোর্ডের এই সিদ্ধান্ত ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক।
করোনার পর দেশের মাটিতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফিরেছে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ দিয়ে। চারটির মধ্যে প্রথম দু’টি টেস্ট হয় চেন্নাইয়ে। বাকি দু’টি টেস্ট মোতেরায়। শুধু তাই নয়, টি-২০ সিরিজের পাঁচটি ম্যাচই হবে আমেদাবাদে। আর পুনেতে ওডিআই সিরিজ। এক্ষেত্রে বোর্ডের রোটেশন পদ্ধতি মানা হচ্ছে না বলেও অভিযোগ। নিয়ম অনুযায়ী, ভারত-ইংল্যান্ড ওয়ান ডে সিরিজের একটি ম্যাচ কলকাতা অর্থাৎ ইডেনে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এক্ষেত্রে বঞ্চিত ‘বাংলা’। বোর্ডের একতরফা সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন সিএবি কর্তারা। ক্রিকেট মহলের একাংশের ধারণা, সৌরভ গাঙ্গুলি বোর্ড সভাপতি হলেও, দ্বিপাক্ষিক ও আইপিএলের মতো টুর্নামেন্টের ক্রীড়াসূচি তৈরির ক্ষেত্রে বোর্ড সচিব জয় শাহ, কোষাধ্যক্ষ অরুণ ধুমালদের গুরুত্বকেই প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বোর্ডের এক শীর্ষ কর্তা জানান, ‘অন্যায় হচ্ছে দেখেও কেউ মুখ খুলবে না। কারণ, সবাই জানেন বিসিসিআই এখন কারা চালাচ্ছেন, আর তাঁরা কতটা ক্ষমতাশালী। সেই ভয়েই রাজ্য ক্রিকেট সংস্থাগুলি মুখ বুজে অন্যায় সিদ্ধান্ত মেনে নিতে বাধ্য হচ্ছে। যে সকল ভেন্যুতে গ্রুপ পর্বের খেলা হবে, সেখানে প্লে-অফের ম্যাচ করতে সমস্যা কোথায়? আসলে নবনির্মিত মোতেরার ব্র্যান্ডিং চলছে। এক্ষেত্রে বোর্ড দোহাই দেবে নিরপেক্ষ ভেন্যুর। কিন্তু তাঁদের বোঝা উচিত, প্লে-অফে খেলবে চারটি দল। বাকি দুটি ভেন্যু তো ফাঁকাই থাকবে? তাহলে আমেদাবাদ শুধু প্রাধান্য পাবে কেন?’ উল্লেখ্য, হায়দরাবাদ, পাঞ্জাবের মতো রাজ্যগুলিও কোভিড প্রটোকল মেনেই আইপিএলের ম্যাচ আয়োজন করতে চেয়েছিল। কিন্তু সেই আবেদন গ্রাহ্য না হওয়ায় ওই দুই রাজ্যের ক্রিকেট সংস্থার কর্তারাও বেশ ক্ষুব্ধ।