শারীরিক কারণে কর্মে বাধা দেখা দেবে। সন্তানরা আপনার কথা মেনে না চলায় মন ভারাক্রান্ত হবে। ... বিশদ
নামের পাশে পাঁচটি টেস্ট শতরান। ১১টি অর্ধশতরান। দশ বছরের ক্রিকেট জীবনের এই নিয়ে অষ্টমবার ‘ম্যান অব দ্য সিরিজের’ পুরস্কার পেলেন অশ্বিন। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে চার টেস্টের সিরিজে তামিলনাড়ুর এই স্পিনারের সংগ্রহে ৩২টি উইকেট। ঝুলিতে রয়েছে ১৮৯ রানও। টেস্টে দ্বিতীয় দ্রুততম বোলার হিসেবে তিনি ৪০০ উইকেটের মাইলস্টোন স্পর্শ করেছেন। সব তথ্য-পরিসংখ্যান মাথায় রেখেও এই বোলিং অলরাউন্ডার সবচেয়ে বেশি খুশি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে যোগ্যতা অর্জন করে। প্রসঙ্গক্রমে অশ্বিন বলেন, ‘নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে পেরে আমি সবচেয়ে তৃপ্ত। অস্ট্রেলিয়া থেকে ফেরার পর দল মানসিকভাবে ভালো জায়গায় ছিল। তা সত্ত্বেও চেন্নাইয়ে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে হারতে হয়। তারপর ঘুরে দাঁড়িয়ে টানা তিনটি টেস্ট জিতে সিরিজ জয় আমার জীবনের অন্যতম সাফল্য। সবচেয়ে বড় কথা, ইংল্যান্ড সিরিজে টিম ইন্ডিয়া বারবার চাপের মুখে পড়েও ঘুরে দাঁড়িয়েছে। এটাই একটা দলের ইতিবাচক দিক।’
দ্বিতীয় টেস্টে রোহিত শর্মার ১৬১ রান। ঋষভ পন্থ, ওয়াশিংটন সুন্দরের অসাধারণ ব্যাটিং। অভিষেক সিরিজে অক্ষর প্যাটেলের অবিশ্বাস্য বোলিং। প্রতি ক্ষেত্রেই এই সিরিজ থেকে ইতিবাচক দিক খুঁজে পাচ্ছেন অশ্বিন। তাঁর মন্তব্য, ‘সবদিক খতিয়ে দেখে বলতে পারি, গত কয়েক বছরের মধ্যে অন্যতম সেরা একটি সিরিজ উপভোগ করলাম। যেখানে প্রতি মুহূর্তে চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করতে হয়েছে।’ ভারতের প্রাক্তন অফ স্পিনার হরভজন সিং টেস্টে ৪১৭টি উইকেট পেয়েছেন। তাঁকে স্পর্শ করতে আর ৮টি শিকার প্রয়োজন অশ্বিনের। এই প্রসঙ্গে তাঁকে বলতে শোনা গেল, ‘ভাজ্জু পা (হরভজনকে এই নামেই ডাকেন অশ্বিন) অসাধারণ বোলার। ওঁর কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছি। এখনও সময় পেলে হরভজন সিংয়ের বোলিংয়ের ভিডিও দেখি। উনি আমার জীবনের অনুপ্রেরণা। ওঁকে দেখেই অফ স্পিনার হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলাম।’