শারীরিক কারণে কর্মে বাধা দেখা দেবে। সন্তানরা আপনার কথা মেনে না চলায় মন ভারাক্রান্ত হবে। ... বিশদ
অক্ষর প্যাটেল ও রবিচন্দ্রন অশ্বিনের স্পিন ভেল্কিতে যথারীতি চোখে সর্ষে ফুল দেখল সফরকারী দল। এই জুটি গোটা সিরিজেই ভূত হয়ে তাড়া করেছে ইংরেজদের। অবস্থা বেগতিক বুঝে ‘অযোগ্য পিচের’ জিগিরও তুলেছে তারা। তাতে হয়তো সাময়িক গোল বাঁধানো যায়, কিন্তু নিজেদের ব্যর্থতা লুকানো সম্ভব নয়। মোতেরার যে পিচে ভারত এক ইনিংসে ৩৬৫ করেছে, সেই বাইশ গজে দু’বার ব্যাট করেও তা তুলতে পারেনি ইংল্যান্ড। ইনিংস হারের লজ্জা নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছে রুটদের। এরপরেও কি পিচ নিয়ে নিন্দামন্দ চালিয়ে যাবেন মাইকেল ভনরা? বোধহয় সেই সুযোগ তাঁরা আর পাবেন না। ঋষভ পন্থের সেঞ্চুরি, ওয়াশিংটনের সুন্দর অপরাজিত ৯৬ রানের ইনিংস যে তাঁদের মুখে ঝামা ঘষে দিয়েছে।
২৯৪-৭ নিয়ে তৃতীয়দিনের খেলা শুরু করেছিল ভারত। স্কোরবোর্ডে আরও ৭১ রান যোগ হওয়ার পর ভারতের প্রথম ইনিংসে যবনিকা নামে। দ্বিতীয়দিন ৬০ রানে অপরাজিত থাকা সুন্দর সঙ্গীর অভাবে সেঞ্চুরি পাননি। ৯৬ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। অক্ষর প্যাটেল ৪৩ করে রান আউট হওয়ার পর খাতা না খুলেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন ইশান্ত শর্মা ও মহম্মদ সিরাজ। তাঁরা একটু সঙ্গ দিতে পারলে টেস্ট কেরিয়ারে প্রথম শতরানের স্বাদ পেতে পারতেন উদীয়মান এই অলরাউন্ডার। যদিও সুন্দরের আক্ষেপ অনেকটাই ভুলিয়ে দিয়েছে দলের বড় জয়।
সবমিলিয়ে ১৬০ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই হোঁচট খেতে থাকে ইংল্যান্ড। অক্ষর-অশ্বিনের বিষাক্ত ঘূর্ণিতে রীতিমতো দিশেহারা দেখিয়েছে সফরকারী দলের ব্যাটসম্যানদের। ১০ রানে প্রথম উইকেট খোয়ানোর পর তাসের ঘরের মতো ধস নেমেছে তাদের ইনিংসে। চা পানের বিরতির আগে ৯১ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে তৃতীয়ে দিনেই ইনিংস হার কার্যত নিশ্চিত করে ফেলে তারা। কিছুটা লড়াই চালিয়ে ছিলেন জো রুট ও ড্যান লরেন্স। কিন্তু ৩০ রানের মাথায় অশ্বিনের বলে লেগবিফোর হয়ে ফেরেন ইংরেজ অধিনায়ক। এরপর ইনিংস হার এড়ানোর দায়িত্ব গিয়ে পড়ে লরেন্সের (৫০) উপর। শেষ অবধি অর্ধশতরান পূর্ণ করে তিনি ফিরতেই ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসে যবনিকা নেমে আসে। অক্ষর-অশ্বিন জুটির কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ করে মাত্র ১৩৫ রানে গুটিয়ে যায় ইংরেজরা। ৫টি করে উইকেট ভাগ করে নেন অক্ষর ও অশ্বিন। সিরিজের সেরা প্লেয়ারের পুরস্কার পেয়েছেন অশ্বিন। তবে জীবনের প্রথম তিন টেস্টের সবক’টিতেই ইনিংসে পাঁচ উইকেট দখলের যে কীর্তি স্থাপন করেছেন অক্ষর, তার উজ্জ্বলতাও কোনও অংশে কম নয়।