অতি সত্যকথনের জন্য শত্রু বৃদ্ধি। বিদেশে গবেষণা বা কাজকর্মের সুযোগ হতে পারে। সপরিবারে দূরভ্রমণের যোগ। ... বিশদ
ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া বরাবরই শক্তিশালী প্রতিপক্ষ। ফের তার প্রমাণ মিলল ভারতের বিরুদ্ধে একদিনের সিরিজের প্রথম ম্যাচেই। টসে জিতে অ্যারন ফিনচ প্রথমে ব্যাটিং নেন। তিনি জানতেন, বড় মাঠ হলেও পিচে রান রয়েছে। সেই সুযোগ দুর্দান্ত কাজে লাগিয়ে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ফিনচ ও স্মিথ। তার সুবাদেই অস্ট্রেলিয়া ৬ উইকেটে ৩৭৪ রানের বিশাল স্কোর খাড়া করে। এই ধরনের কঠিন চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করতে গেলে টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের ভূমিকা হয়ে ওঠে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রোহিত শর্মার অনুপস্থিতিতে শিখর ধাওয়ানের সঙ্গে ওপেন করতে নেমে শুরুটা বেশ ভালোই করেছিলেন মায়াঙ্ক আগরওয়াল। একটা সময় ভারতের রান রেট ছিল দশের উপর। আচমকাই অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে ফিরে আসে জস হ্যাজলউডের দুরন্ত বোলিংয়ের সুবাদে। বাউন্সারকে অস্ত্র করে অজি পেসারটি একে একে সাজঘরে ফেরান মায়াঙ্ক (২২), কোহলি (২১) ও শ্রেয়াস আয়ারকে (২)। তবে ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলিকে এক রানেই মাঠ ছাড়তে হত যদি কামিন্সের বলে জাম্পা তাঁর সহজ ক্যাচ না ফেলতেন। সুযোগ অবশ্য কাজে লাগাতে ব্যর্থ বিরাট। হতাশ করেন শ্রেয়াসও। শরীরের দিকে ধেয়ে আসা হ্যাজলউডের বাউন্সার কার্যত চোখেই দেখতে পেলেন না তিনি। কোনওক্রমে সামাল দিতে গিয়ে কট বিহাইন্ড হন। তবে সবচেয়ে হতাশ করেছেন লোকেশ রাহুল। আইপিএলে কমলা টুপি জয়ী তারকাটি যেভাবে লো ফুলটসে জাম্পাকে উইকেট উপহার দিয়েছেন, তা তাঁর নামের সঙ্গে বড়ই বেমানান। পঞ্চম উইকেটে হার্দিক ও ধাওয়ান ১২৮ রান যোগ করায় ৩৯তম ওভার পর্যন্ত লড়াইয়ে টিকে ছিল টিম ইন্ডিয়া। হার্দিক দুর্দান্ত দৃঢ়তা দেখিয়ে ৯০ রান করেন। শিখরের সংগ্রহ ৭৪। দু’জনকেই আউট করেন জাম্পা। ভারতের লড়াই শেষ হয় ৮ উইকেটে ৩০৮ রানে।
কথায় বলে, সকাল দেখে বোঝা যায় দিনটা কেমন যাবে। ওপেনিং জুটিতে ডেভিড ওয়ার্নার ও অ্যারন ফিনচ ১৫৬ রান যোগ করে ভারতীয় বোলারদের বেআব্রু করে দেন। শেষ পর্যন্ত ওয়ার্নারকে ৬৯ রানে ফিরিয়ে কোহলির মুখে হাসি ফোটান সামি। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। ফিনচ ১১৭ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। শতরানে পৌঁছাতে স্মিথের লেগেছে ৬২টি বল। তবে ১৫ রানে তাঁকে লেগ বিফোর দিয়েছিলেন আম্পায়ার। রিভিউতে জীবন পেয়ে সেরাটা মেলে ধরেন স্মিথ। ক্যাপ্টেন ফিনচের সংগ্রহ ১১৪ রান। স্মিথ ১০৫ রান করে আউট হন। ১৯ বলে ঝোড়ো ৪৫ রান যোগ করেন ম্যাক্সওয়েল।