হঠাৎ জেদ বা রাগের বশে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়া শ্রেয়। প্রেম-প্রীতির যোগ বর্তমান। প্রীতির বন্ধন ... বিশদ
মনোরম পরিবেশে ম্যাচ দেখতে এদিন মোহন বাগান মাঠে ভিড় জমিয়েছিলেন সমর্থকরা। ইডেন গার্ডেন্সের দিকে থাকা গোলপোস্টের পিছন দিকের গ্যালারিতে উপস্থিত উৎসাহী অনুরাগীরা গেরুয়া, সাদা ও সবুজ রংয়ের কাগজ সারিবদ্ধভাবে সাজিয়ে বাকিদের দৃষ্টিসুখের আনন্দ দিয়েছেন। রঙিন ধোঁয়া-বোম ব্যবহার করা হয়েছে এদিন গ্যালারিতে। কিন্তু আদজা নামার পর মোহন বাগানের পারফরম্যান্সে রংয়ের ছোঁয়া ছিল না। প্রথমার্ধে শুধুমাত্র হোসেবা বেইতিয়ার জন্য বেশ কয়েকটি আক্রমণ তৈরি করে সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। ২১ মিনিটে আসে কাঙ্ক্ষিত গোল। চামারো সালভার পাস বক্সের বাইরে পেয়েই ঝলসে ওঠে মুনোজের ডান পা। কাস্টমস গোলরক্ষক শুভম সেনের পক্ষে এই গোলার মতো শট রোখা সম্ভব ছিল না (১-০)। উল্লেখ্য, এর আগের মুভেই বেইতিয়ার ফ্রি-কিক থেকে নেওয়া চামারোর হেড রুখে দিয়েছিলেন তিনি। এই পর্বে কাস্টমস চেষ্টা করেছে রক্ষণ সামলে আক্রমণে ওঠার। ৩৯ মিনিটে জনের পরিবর্তে ফিলিপ আদজা নামার পর মোহন বাগান বারবার সমস্যায় পড়েছে। মাঠে এসেই দুরন্ত গতিতে কিমকিমাকে ছিটকে দিয়ে গোলমুখ খুলে ফেলেছিলেন তিনি। এক্ষেত্রে দলের নিশ্চিত পতন রোধ করেন দুর্গপ্রহরী শঙ্কর রায়।
দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য কাস্টমস দুরন্ত ফুটবল মেলে ধরে। ৬০ মিনিটে পরিবর্ত হিসেবে নেমে সুমিত দাস বাঁ দিক দিয়ে একের পর এক আক্রমণ তৈরি করেন। দু’বার ইনসাইড কাটে মোহন বাগান ডিফেন্ডারকে বোকা বানালেও লক্ষ্যভেদে নিখুঁত হতে পারেননি তিনি। এই পর্বে আদজার ‘উইথ দ্য বল স্পিড’ রুখতে নাভিশ্বাস ওঠে মুনোজ-কিমকিমাদের। ৬২ মিনিটে বক্সের সামান্য বাইরে আদজাকে পিছন থেকে লাথি মেরে ফেলে দেওয়ায় লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন কিমকিমা। ফ্রি-কিক থেকে আদজার নেওয়া শট শূন্যে উড়ে গিয়ে ফিস্ট করে রোখেন শঙ্কর। বাধ্য হয়ে চামরো সিলভাকে তুলে নিয়ে ডিফেন্ডার ফ্রান মোরান্তেকে নামাতে বাধ্য হন মোহন কোচ। এরপর ৭৫ মিনিটে দিনের সেরা সুযোগটি নষ্ট করেন মোহন বাগানের রোমারিও। বাঁ দিক থেকে গুরজিন্দরের মাইনাস ঠিকমতো রিসিভই করতে পারেননি তিনি। দ্বিতীয় চেষ্টায় নেওয়া তাঁর ভলি ক্রসবারের উপর দিয়ে বেরিয়ে যায়। ৮৩ মিনিটে বেইতিয়াকে ফাউল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন কাস্টমসের দেবায়ন সাহা। ফলে আনুপাতিক সংখ্যাগরিষ্ঠতার সুযোগ খুব বেশিক্ষণ পায়নি তারা। কিন্তু এর ছ’মিনিট পরেই ম্যাচে সমতা ফেরায় কাস্টমস। ডানদিক থেকে ভেসে আসা কর্নার ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হয় মোহন রক্ষণ। জটলার মধ্যে থেকে বল পেয়ে তা গোলে ঠেলতে ভুল হয়নি স্ট্যানলির (১-১)।
ম্যাচের পর কাস্টমস কোচ রাজীব দে’র কাছে গিয়ে মোহন প্রশিক্ষক কিবু ভিকুনা বলেন, ‘জয়ের জন্য খেলুন।’ রাজীবরে উত্তর, ‘আপনার কি মনে হচ্ছে আমরা ড্রয়ের জন্য খেলছি।’ প্রথমার্ধে দলের খেলায় খুশি কিবু বলেন, ‘দ্বিতীয়ার্ধে ওরা সময় চুরি করেছে। তবে এটা ঠিক যে, সুযোগ নষ্টের খেসারত দিতে হয়েছে আমাদের।’