উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
এদিন এরিয়ানের হয়ে দুটি গোল করেন সঞ্জীব মণ্ডল ও দীপেশ মুর্মূ। ব্যান্ডেলের ছেলে সঞ্জীবের বাবা বাজারে মাছ বিক্রি করেন। মগরা থেকে উঠে আসা দীপেশের বাবা মাঠে চাষবাস করেন। আর সুদীপ্তর বাবা সুব্রত মালাকার একসময় ময়দানে পিয়ারলেস, ভ্রাতৃ সংঘের মতো ছোট দলে চুটিয়ে খেলেছেন। বাবার উৎসাহেই তাঁর ফুটবলে আসা। সুদীপ্ত মা ২০১২ সালে মারা যান। ফলে তাঁর বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করেন। জীবনে অনেক বাধা-প্রতিবন্ধকতা টপকে তিনি এক চরম জেদ সম্বল করে এগিয়ে যাচ্ছেন। এদিন ইস্ট বেঙ্গল মাঠে উপস্থিত একঝাঁক প্রাক্তন ফুটবলার মানস ভট্টাচার্য, প্রদীপ চৌধুরি, ভাস্কর গাঙ্গুলি, দেবাশিস মুখার্জি, গৌতম ঘোষ, আলভিটো ডি’কুনহাদের মুখে প্রশংসা শোনা গেল সুদীপ্তর। ছেলেটার বল কন্ট্রোল, পাসিং, ড্রিবলিং বেশ ভালো।
এদিন ম্যাচের শেষে এরিয়ান অধিনায়ক সুদীপ্ত বলছিলেন, ‘অনূর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপের স্কোয়াড থেকে বাদ পড়াটা মেনে নিতে পারব না জীবনে। ফলে যেখানেই খেলি না কেন নিজেকে প্রমাণ করার জন্যই খেলি।’ পাঠচক্র ক্লাবের হয়ে কলকাতা ফুটবলে তাঁর উত্থান। জেলার প্রবাদপ্রতীম কোচ মুরারি মোহন শূরের কাছে ফুটবলের প্রাথমিক পাঠ নিয়েছেন সুদীপ্ত।
জি বাংলা ফুটবলের স্পটাররা এই টুর্নামেন্ট থেকে ৫০ জন ফুটবলার বাছবেন। সেখান থেকে স্ক্রিনিং করে সেরা ২০ জন ফুটবলার বাছাই করে জি’র কর্তাদের হাতে তুলে দেবেন তাঁরা। তারপর তারা বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর হাতে এই ২০ জনের তালিকা তুলে দেবেন। এবার রাজ্য সরকার এই ফুটবলারদের স্পেশাল ট্রেনিং, এক্সপোজার ট্যুর, বিদেশের আকাদেমিতে পাঠানোর ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করবে।
মঙ্গলবার হুগলি মার্শালসের খেলা দেখে হতাশ প্রাক্তন ফুটবলাররা। প্রশান্ত ব্যানার্জি-কৃষ্ণেন্দু রায়রা বলছিলেন, ‘হাওড়া-হুগলি-উত্তর ২৪ পরগনাকে বলা হয় বাংলা ফুটবলের আঁতুড়ঘর। সেই হুগলির টিম গেম এদিন একেবারেই ভালো লাগেনি। যদিও ব্যক্তিগতভাবে কয়েকজন ফুটবলারকে আমরা স্পট করেছি।’ দলটির কোচ সুবিমল সিনহা। একপ্রকার দলটার মেন্টর প্রাক্তন জাতীয় গোলরক্ষক তনুময় বসু। কিন্তু এরিয়ানের বেশিরভাগ ফুটবলার পাঠচক্রর হয়ে খেলেছেন। একটা সেট টিম হিসেবে এরিয়ান খেলে। অনেক গোলের সুযোগ নষ্ট করে। দলটা প্রায় তৈরি করে দিয়েছেন জেলার ফুটবলার তুলে আনার কারিগর নবাব ভট্টাচার্য। সেই বোঝাপড়া কাজে লাগিয়ে হুগলিকে টেক্কা দিল এরিয়ান। এদিকে,দ্বিতীয় ম্যাচে বর্ধমানকে আটকে দিল শিলিগুড়ি। খেলার ফল গোলশূন্য। এর আগে দু’বারের সাক্ষাতে শিলিগুড়িকে হারিয়েছিল বর্ধমান। মঙ্গলবার ম্যাচের সেরা বর্ধমানের গোলরক্ষক রুমিত যাদব। এদিন তিনি একটি পেনাল্টি সেভ করেন। অন্তত ছ’সাতবার দলের পতন রোধ করেন। আসানসোলের চিত্রা থেকে উঠে আসা রুমিতের বাবার খাটাল রয়েছে। তিনি বাবাকে অবসরে সাহায্য করেন। দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র রুমিতের পারফরম্যান্স এদিন ইস্ট বেঙ্গল মাঠে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল।