বিশেষ কোনও কর্মের আর্থিক সংস্থান নিয়ে মানসিক চিন্তা বৃদ্ধি পাবে। আর্থিক ঝুঁকি নেবার আগে দুবার ... বিশদ
শুক্রবার বিকেলের দিকে ভাষা দিবসের অনুষ্ঠানে পুরসভার কর্মীরা হাজির ছিলেন। সেসময় তৃণমূল অবসরপ্রাপ্ত পৌর কর্মচারী সমিতির সদস্যরা চেয়ারপার্সনকে ডেপুটেশন দিতে জড়ো হন। তাঁরা পেনশন, গ্র্যাচুইটি সহ বিভিন্ন দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তাঁরা স্লোগান দিতে শুরু করলে অনুষ্ঠানের মাইকের সাউন্ড বাড়িয়ে দেওয়া হয়। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, এনিয়ে তাঁরা আপত্তি জানালে চেয়ারপার্সনের লোকজন তাঁদের উপর চড়াও হয়। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে শাসকদলের চেয়ারপার্সনের গোষ্ঠী ও প্রাক্তন শহর সভাপতির গোষ্ঠীর কাউন্সিলাররা নিজেদের মধ্যে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন।
তৃণমূল অবসরপ্রাপ্ত পৌর কর্মচারী সমিতির সভাপতি সমর চক্রবর্তী বলেন, চেয়ারপার্সন পেনশন, গ্র্যাচুইটির টাকা দেননি। দু’বছর ধরে আমাদের ঘোরানো হচ্ছে। চেয়ারপার্সনের লোকজন আমাদের উপর হামলা চালিয়ে আন্দোলন বানচাল করার চেষ্টা করেছে। আমরা এসব মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানাব।
পুরসভার চেয়ারপার্সন বলেন, বিকেল সাড়ে ৩টের দিকে অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল। হঠাৎ বাইরে পেনশনার্স অ্যাসোসিয়েশনের লোকজন চেঁচামেচি শুরু করেন। তাঁরা বাইরে ১৪-১৫বছরের ছেলেদের নিয়ে জড়ো হয়েছিলেন। তারা তো পেনশন হোল্ডার নয়। আমাদের লোকজন অনুষ্ঠানে এসেছিলেন। তাঁরা কেউ মারপিট করতে আসেননি।
চেয়ারম্যান আরও বলেন, কাউন্সিলার প্রকাশ দাস ও পলাশ দাস মারধর করার জন্য বারান্দায় ছুটে এসেছিল। আমরা একই দলের লোক। তাঁরা যদি এরকম অশান্তি করেন, আমরা কীভাবে কাজ করব? এঁদের অত্যাচারে স্টাফরা পর্যন্ত অতিষ্ঠ। দলের কাউন্সিলাররা কাজে বাধা দিচ্ছে। তারা প্রতিটি বৈঠকে অনভিপ্রেত কথা বলছে। কাউন্সিলর পলাশ দাস বলেন, বিক্ষোভকারীদের উপর চেয়ারম্যানের লোকজন চড়াও হয়েছিল। তখন পুরসভার কাছে ওয়ার্ডে অফিসে ছিলেন কাউন্সিলর প্রকাশ দাস ও সৌগতকৃষ্ণ দেব। তাঁরা ঝামেলা ঠেকাতে যান। তখন ওঁদের উপরও চেয়ারম্যানের লোকজন চড়াও হয়। পরে আমি সেখানে গিয়েছিলাম। পুরকর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গ্র্যাচুইটি ও পেনশনের টাকা রাজ্য সরকার থেকে দেওয়া হয় না। পুরসভার নিজস্ব তহবিল থেকে সেই টাকা দিতে হয়। ২০২২ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ৮ কোটি ৬৭ লক্ষ ৩৩ হাজার ৩৭৫ টাকা গ্র্যাচুইটি দেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে পেনশন দেওয়া হয়েছে ৪৯ কোটি ৩ লক্ষ ৬৭ হাজার ৯২২ টাকা। নিজস্ব চিত্র