একাধিক সূত্র থেকে আয় ও সঞ্চয় বৃদ্ধির যোগ। কাজকর্মে উন্নতি হবে। মানসিক চঞ্চলতা ও ভুল ... বিশদ
পুলিস তদন্তে নেমে জানতে পারে, একটি বড় চক্র কাজ করছে। তারা বর্ধমান এবং হুগলি জেলায় এজেন্ট ছড়িয়ে রেখেছে। এজেন্টদের কাজ হল গ্রাহক জোগাড় করা। অর্থাৎ কারও জন্ম সার্টিফিকেট দরকার হলে তারা চক্রের মাথাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে দেয়। তারজন্য সার্টিফিকেট পিছু তারা ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা কমিশন পেত। কয়েকদিন আগে পুলিস ছোটনীলপুরের বাসিন্দা এক এজেন্টকে জেরা করে। তার কাছে থেকে হুগলির সিঙ্গুরের দুই প্রতারকের নাম তারা জানতে পারে। শনিবার পুলিস সিঙ্গুর থেকে গণেশ চক্রবর্তী এবং অনির্বাণ সামন্ত নামে দু’জনকে গ্রেপ্তার করে। তাদের কাছ থেকে মোবাইল, কম্পিউটার সহ বিভিন্ন ধরনের সামগ্রী উদ্ধার করে। পুলিস জানতে পেরেছে, এই চক্রে আরও অনেকেই জড়িত রয়েছে। তারা আগেও এরকম ভুয়ো জন্ম সার্টিফিকেট বিক্রি করেছে। তবে তা দিয়ে পাসপোর্ট তৈরি হয়েছে কি না, সেটাই তদন্তকারীরা খতিয়ে দেখছেন। এক পুলিস আধিকারিক বলেন, আবেদনপত্রের সঙ্গে দেওয়া সমস্ত নথি যাচাই করা হয়। এর আগে নকল নথি দিয়ে পাসপোর্ট তৈরি করতে এসে কয়েকজন গ্রেপ্তার হয়েছে। আগামী দিনে এই বিষয়টি আরও গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে।
ধৃতরা জেরায় জানিয়েছে, টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন ধরনের সার্টিফিকেট তারা বিক্রি করেছে। পাসপোর্ট তৈরি ছাড়াও বিভিন্ন কাজে বার্থ সার্টিফিকেট দরকার হয়। অনেক ক্ষেত্রে সার্টিফিকেট যাচাই করা হয় না। সেকারণে বিষয়টি আগে চাউর হয়নি। পূর্ব বর্ধমানের পুলিস সুপার সায়ক দাস বলেন, আর কেউ যুক্ত রয়েছে কি না, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এমএসভিপি তাপস ঘোষ বলেন, সার্টিফিকেট নকল করা হলে সহজেই ধরা যাবে। সবকিছুই কম্পিউটারাইজড করে রাখা হয়েছে।